প্রশংসায় ভাসছেন নারায়ণগঞ্জের এসপি জায়েদুল আলম

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের পাশে অবস্থিত আলোচিত চাঁদমারী বস্তি অবশেষে উচ্ছেদ করেছেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) জায়েদুল আলম। প্রায় ২’শ শতাংশ জায়গা যার মুল্য প্রায় ১৪০ কোটি টাকা। সরকারি এই সম্পত্তি এতদিন বেদখল ছিল। বস্তিটি ছিল মাদকের আস্তানা। মাদক ব্যবসায়ী, চোর ছিনতাইকারী পকেটমার সহ বিভিন্ন অপরাধীদের আখড়াও ছিল এই চাঁদমারী বস্তিটি। ফলে বহু অপকর্মের এই জায়গাটি দখলমুক্ত করেছেন পুুলিশ। যা দীর্ঘদিন দাবি ওঠে আসলেও ইতিপূর্বে কেউ পারেনি। এমন একটি কাজ করে নারায়ণগঞ্জবাসীর প্রশংসায় ভাসছেন এসপি জায়েদুল আলম।

২৯ জুলাই বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) জায়েদুল আলমের নেতৃত্বে ভেকু দিয়ে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়। পরে দুপুর ১২টায় ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন এসপি।

এর আগে গত ৯ মে নারায়ণগঞ্জে জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় চাঁদমারী বস্তি উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। জেলা প্রশাসনের দেয়া আল্টিমেটামের মধ্যেই মঙ্গলবার থেকে অনেকে স্বেচ্ছায় নিজেদের ঘর সরিয়ে নেয়। বৃহস্পতিবার বাকি ঘরগুলোও ভেকু দিয়ে ভেঙ্গে দেয়া হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৫ শতাধিক ঘর ছিল এই চাঁদমারী বস্তিতে। এখানে শীষ দিয়ে মাদক বিক্রি প্রচলিত ছিল। প্রশাসনের নাকের ডগায় এ বস্তিতে কয়েক যুগ ধরেই মাদক ব্যবসা চলছিল। প্রায়ই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানও হতো। তবে শত প্রচেষ্টার পরও রহস্যজনক কারণে বন্ধ হয়নি বস্তিকে ঘিরে মাদক ব্যবসা।

উচ্ছেদ শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসপি জায়েদুল আলম বলেন, নারায়ণগঞ্জে কোনো মাদকের স্পট, মাদকের আস্তানা কিংবা মাদক বিক্রেতার স্থান হবে না। কেউ মাদক নিয়ে কোনো ধরণের চিন্তা করে থাকলে এখনি সচেতন হোন।

এসপি বলেন, এই চাঁদমারী বস্তি ছিল মাদকের স্পট। এখানে মাদক বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চলতো। মাদক কারবারিদের গ্রেপ্তার, সাজা দেয়া, বন্দুকযুদ্ধের মতো ঘটনাও এখানে ঘটেছে। মাদক বিক্রেতারা এই এলাকাটিকে বেছে নিয়েছিল মাদকের হাট হিসেবে। প্রায় ২০০ শতাংশ জমি এখানে ছিল অবৈধ স্থাপনা। আমরা এটিকে উচ্ছেদ করেছি এবং সড়ক ও জনপদকে বলেছি তাদের জমিতে যেন দ্রুত তারা সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করেন, যেন কেউ আর এখানে অবৈধ স্থাপনা করতে না পারে।

জানা যায়, এই ২০০ শতাংশ জমির দাম প্রায় ১৪০ কোটি টাকা। এই জমিটি প্রভাবশালীরা দীর্ঘদিন ধরে দখলে রেখে এখানে মাদক বিক্রেতাদের ভাড়া দিয়ে তাদেরকে দিয়ে মাদকের কারবার করাতেন। এখন এটি উচ্ছেদ হওয়ায় স্বস্তি পেয়েছেন নগরবাসী।