আমি স্তব্ধ, নির্বাক, আমাদের প্রিয় ভাই, শফিউল বারী বাবু ভাই আর নেই: সালাউদ্দীন সালু

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

“আমি স্তব্ধ, নির্বাক … আমাদের প্রিয় ভাই, শফিউল বারী বাবু ভাই আর নেই”– এভাবেই মনের গহিন থেকে শোক প্রকাশ করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দিন সালু।

বিএনপির সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবুর মৃত্যুতে গভীর শোকাহত বিএনপি পরিবার। বিএনপি নেতারা শফিউল বারীকে সংগঠনের জন্য নিবেদিতপ্রাণ, রাজপথের কর্মী, তারুণ্যদীপ্ত, সম্ভাবনাময়ী ও সাহসী নেতা হিসেবে মূল্যায়ন করেছে শোকবার্তা এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

শোকবার্তায় সালাউদ্দিন সালু জানান, শফিউল বারীকে তারা একজন সফল তরুণ নেতা হিসেবে মূল্যায়ন করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। তাই ছাত্ররাজনীতি থেকে তাকে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতৃত্বে আনা হয়েছে। একসময়কার ব্যাকফুটে এই সংগঠনকে সারাদেশে ঢেলে সাজিয়েছেন বাবু। তিনি স্বেচ্ছাসেবক দলের আগের কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। ওই কমিটির সভাপতি ছিলেন ছাত্রদলের সাবেক সফল সভাপতি হাবীব-উন-নবী খান সোহেল। দুজন মিলে সারাদেশে ছাত্রদল থেকে অবসরে যাওয়া নেতাদের খুঁজে খুঁজে বের করে স্বেচ্ছাসেবক দল পুনরুজ্জীবিত করেন।

হাবীব-উন-নবী খান সোহেল বিএনপির রাজনীতিতে মনোযোগী হলে শফিউল বারী বাবু স্বেচ্ছাসেবক দলের হাল ধরেন শক্ত হাতে। তার কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক করা হয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েলকে। যিনি আজিজুল বারী হেলাল ও শফিউল বারী বাবুর ছাত্রদলের কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ছিলেন।

সালাউদ্দিন সালু বলেন, শফিউদ্দিন বাবু ভাই একটি ব্রান্ড ছিলেন জাতীয়তাবাদীর দল এর শক্তির জন্য। আমি দীর্ঘদিন তার সাথে রাজনীতি করেছি, যখন হাবিব উন নবী ভাই সভাপতি শফিউদ্দিন বাবু ভাই সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন তখন থেকে উনি আমাকে ব্যাক্তিগতভাবে খুব পছন্দ করতেন, যখন নারায়ণগঞ্জ জেলা সেচ্ছাসেবক দল এর কমিটি করা হয় তখন তার সাথে আমি অভিমান করে ছিলাম, তখন তিনি আমার পিঠে হাত দিয়ে বলেছিলেন সালাউদ্দিন করোনের সময় আছে আমিতো আছি কিসের সভাপতি কিসের সেক্রেটারি তোকে সাংগঠনিক দায়িত্ব দিয়েছি, তুই তোর দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করতে থাক। আমাকে এমনভাবে সান্ত্বনা দিয়েছে সত্যি আমার কষ্টগুলো দূর হয়ে গেছিলো। সেই প্রত্যাশায় তার হাত ধরে জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক হয়ে কাজ করছি। কিন্তু আজকে একটি কথা বার বার মনে পরে বাবু ভাই খুব ধৈর্যশীল ব্যাক্তি ছিলেন। তাকে আমি কখনো মলিন মুখ দেখিনি। এতই হাস্যজ্বল এবং তার বলিষ্ঠ ব্যাক্তিত্ব আমি খুব কম নেতাকে দেখেছি। রাব্বুল আলামিন এর কাছে আমি দোয়া করি, আল্লাহ পাক তাকে জান্নাতুল ফেরদৌসে দান করেন এবং তার পরিবারকে শোক সইবার তৌফিক দান করেন।

আমি তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকার্ত পরিবার, আত্মীয়স্বজন, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।

এখানে উল্লেখ্য যে, গত বছরের ২৮ জুলাই ভোর ৪টায় বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিউল বারী বাবু রাজধানীর এ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫১ বছর।