সিটি কর্পোরেশনের ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী মোখলেছুর রহমানের চ্যালেঞ্জ

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠ পর্যায়ে প্রচার- প্রচারনা ও মহামারী করোনার কারনে লকডাউনে অসহায় মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন অনেক কাউন্সিলর প্রার্থী। গত বছরের থেকে শুরু হওয়া লকডাউনে গৃহবন্দী অসহায় মানুষের বাড়ি বাড়ি নিজ উদ্যোগে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিয়েছিলেন সিটি কর্পোরেশনের বন্দরে ১৯নং ওয়ার্ডের নির্বাচনে কাউন্সিলর পদপ্রার্থী আওয়ামীলীগ নেতা মোখলেছুর রহমান চৌধুরী।

স্থানীয়রা জানান, মোখলেছুর রহমান চৌধুরী পারিবারিকভাবে আওয়ামীলীগের রাজনীতি করেন। বাল্যকালেই বাবার মুখে শোনা বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস। এরপর থেকেই বঙ্গবন্ধুর প্রতি তার ভালবাসা আওয়ামীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃতা। আওয়ামীলীগের যেকোনো মিটিং, মিছিল ও সমাবেশে হলেই দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে যোগদান করতেন।

১৯নং ওয়ার্ডে আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের যেকোনো অনুষ্ঠান হলে তিনি সব ধরণের সহযোগীতা করে থাকেন। গত একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চনে মহাজোটের প্রার্থীর পক্ষের ১৯নং ওয়ার্ডের ক্যাম্প পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন। তার কেনো পদ-পদবী নাই। আর পদ-পদবীর লোভ লালসাও করেন না। তিনি দলকে ভালোবাসেন দল প্রিয় মানুষ।

এ বিষয়ে মোখলেছুর রহমান চৌধুরী বলেন, আমি আওয়ামীলীগের রাজনীতি করি। আমার কোনো পদ-পদবী নাই। আওয়ামীলীগের যেকেনো মিটিং, মিছিল ও সমাবেশে ১৯নং ওয়ার্ডের দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে যোগদান করি। ১৯নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলো সুসংগঠিত করেছি এবং তাদের পাশে আছি। ১৯নং ওয়ার্ডের সমস্ত নেতাকর্মীদের নিয়ে দলীয় সকল অনুষ্ঠানে পালন করি ও সব ধরণের সহযোগীতা করে থাকি। আমি গত একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চনে মহাজোটের প্রার্থী একেএম সেলিম ওসমাসনের ১৯নং ওয়ার্ডের ক্যাম্প পরিচালনার দায়িত্বে ছিলাম। করোনা মহামরী ভাইরাসের লকডাউনের শুরুতেই আমি এই ওয়ার্ডের আসহায় মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছি। সাধ্য অনুযায়ী সহযোগিতা করেছি এবং এখন করছি। এছাড়াও প্রতিটি ঈদেও আমার পরিবারের পক্ষে থেকে অসহায় গরীব পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী ও নগদ অর্থ দিয়ে থাকি। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের পারিবারিক ঐতিহ্য রয়েছে। আমার পরিবার মদনগঞ্জের মধ্যে দানশীল পরিবার হিসেবে সাবাই চিনে । আমি গত সিটি নির্বাচনেও কাউন্সিলর প্রাথী ছিলাম। অল্প ভোটের ব্যবধারে পরাজিত হই। এবারও প্রাথী হয়েছি এলাকাবাসীর অনুরোধে। আর এই কারনেই আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। আমি নাকি বিএনপির সমর্থন নিয়ে কাজ করছি। আমি কেনো দিন বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলাম না। আমি ওপেন চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি যতি কেউ প্রমান দেখাতে পারে আমি ও আমার পরিবার বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত তাহলে জীবনে আর রাজনীতি করবো না।

জানাগেছে, মোখলেছুর রহমান চৌধুরীর পরিবার মদনগঞ্জের মধ্যে দানশীল পরিবার হিসেবে সবাই চিনে জানেন। তার পিতা মো.মহসেন আবেদ চৌধুরী মদনগঞ্জ ধান- চাল বণিক সমিতি ও মদনগঞ্জ নয়াপাড়া পঞ্চায়েত কমিটি এবং মদনগঞ্জ কেন্দ্রীয় মসজিদ মাদ্রাসা জামে মসজিদের সভাপতি ছিলেন। তিনি একজন সফল ব্যবসায়ী ও দানশীল ব্যক্তি ছিলেন। মোখলেছুর রহমানের দাদা বন্দর উপজেলার ডাক বাংলোর জন্য ৬৬.৮ শতাংশ এবং তার পিতা মদনগঞ্জ সিটি কবরস্থানের জন্য ৩০ শতাংশ জমি দান করেন। এছাড়াও শান্তিনগর প্রাইমারী স্কুলের জন্য ৪০ শতাংশ ও শান্তিনগর নতুন জামে মসজিদের জন্য ১০ শতাংশ জমি দান করেন তার পিতা। মোখলেছুর রহমান চৌধুরী মদনগঞ্জ ধান- চাল বণিক সমিতির সাধারন সম্পাদক ও মদনগঞ্জ নয়াপাড়া পঞ্চায়েত কমিটির সহ- সভাপতি। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে পরোক্ষভাবে জড়িত।