ভাগনের পক্ষে দুই মামার শক্তি পরীক্ষা!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় যুবদল।  ওই কমিটিতে সভাপতি ছিলেন কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ এবং সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন খোরশেদের ভাগনে রশিদুর রহমান রশু।  মহানগর যুবদলের কমিটি গঠনের লক্ষ্যে ১২ জুন নারায়ণগঞ্জের নেতাদের নিয়ে কেন্দ্রীয় যুবদলের কর্মীসভা করেছে।  যেখানে নেতৃত্ব প্রত্যাশা করে বক্তব্য রেখেছিলেন রশিদুর রহমান রশু।

নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার এবং মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মাকসুুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের আপন ভাগনে রশিদুর রহমান রশু।  যদিও কেউ কেউ জানিয়েছেন বিএনপির রাজনীতিতে দুই মামার আগেই রাজনীতিতে এসেছিলেন এক সময়কার রাজপথ কাঁপানো দাপটশালী ছাত্র নেতা রশিদুর রহমান রশু।  কিন্তু মামাদের উত্থানের সাথে পাল্লা দিয়ে ভাগনে রশুর সেভাবে উত্থান ঘটেনি বিভিন্ন কারনে।

নারায়ণগঞ্জ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল, তৎকালীন শহর ছাত্রদল এবং পরবর্তীতে মহানগর ছাত্রদলের রাজনীতিতে ছিলেন রশিদুর রহমান রশু।  মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক থেকেই তিনি মহানগর যুবদলের সুপার ফাইভের কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক হোন।  ওই সময় মহানগর যুবদলের নেতৃত্ব প্রত্যাশি থাকলেও তার মামা খোরশেদ নেতৃত্বে থাকায় রশু সেভাবে অগ্রসর হননি।  এবার যখন খোরশেদ নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন ঠিক তখন মহানগর যুবদলের নেতৃত্ব আসতে হলে রশুকে পেরুতে হবে বিরাট বাধা।  কারন এর মধ্যে নেতৃত্বের প্রতিযোগীতায় রয়েছেন ৭/৮জন শক্ত প্রতিদ্বন্ধি।  যেখানে ৩/৪ জন নেতা রয়েছেন যারা আবার তৈমূর-খোরশেদ অনুগামী হিসেবেই পরিচিত।

নেতাকর্মীরা বলছেন- প্রায় ৩০টির বেশি রাজনৈতিক মামলা কাঁধে নিয়ে মহানগর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছিলেন রশিদুর রহমান রশু।  কিন্তু মামা খোরশেদ সভাপতি থাকায় রশুর কোনো প্রভাবই সেভাবে মহানগর যুবদলে দেখা যায়নি।  এমনকি নিজ থেকে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গেও যোগাযোগটি রক্ষা করেননি রশু।  দুই মামার কারনে অনেকটা তিনি নিজস্ব স্বকীয়তা হারিয়েছেন।  সান নারায়ণগঞ্জকে কেউ কেউ বলছেন-দুই মামার জিম্মাদশায় পড়েছেন তুখোর এই রাজপথের নেতা।  বেশকবার রাজপথে আন্দোলন করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।  পুলিশি গ্রেপ্তারের কারনে নিজের গর্ভধারণী মায়ের মৃত্যুর সময়ও রশু পাশে থাকতে পারেননি।

কেউ কেউ বলছেন- তৈমূর আলম খন্দকার ও মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ অনুগামী হিসেবেই মহানগর যুবদলের নেতৃত্বের প্রতিযোগীতায় নেমেছেন মাজহারুল ইসলাম জোসেফ, মনোয়ার হোসেন শোখন ও রানা মুজিব। বর্তমান পরিস্থিতিতে দেখা যাচ্ছে এ বলয় থেকে রশুর চেয়ে তাদের অগ্রাধিকার বেশি। বিগত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক পদাধিকার নিয়ে আহ্বায়ক কমিটিতে সে রকম গুরুত্বপূর্ণ জায়গা রশু এবার পাবে কিনা সেটার উপর নির্ভর করছে তার দুই মামার জোরালো অবস্থান এবং রশুর ত্যাগের বিষয়টি কেন্দ্রীয় নেতাদের সুদৃষ্টি।  তবে রশুর ভাগ্যে এবার কি ঘটছে সেটা দেখার জন্য যুবদলের কমিটি গঠন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।  এটা তার দুই মামার শক্ত পরীক্ষাও বলে মনে করছেন নেতাকর্মীরা।