ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা যেভাবে হলেন ক্রীড়া সংগঠক ও শিক্ষানুরাগী

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের তুখোর কর্মী সক্রিয় ভুমিকা রেখে পরবর্তীতে আসেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কমিটিতে। ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে কখনও তার বিরুদ্ধে কোন ধরনের বিতর্কিত কর্মকান্ডের অভিযোগ ওঠেনি। ছাত্রলীগের রাজনীতিতে পদার্পণ ঘটলেও বর্তমানে সোনারগাঁয়ের মানুষের মাঝে একজন শিক্ষানুরাগী ও ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অজর্ন করেছেন আবু নাইম ইকবাল। আগামী ৩১ মার্চ সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ব্যাপক আলোচনায় এই শিক্ষানুরাগী যিনি উপজেলার শিক্ষার উন্নয়নে ব্যাাপক ভুমিকাও রেখেছেন।

ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আবু নাইম ইকবাল সম্পর্কে জানা গেছে, ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতির মাধ্যমে রাজনীতিতে আসেন আবু নাইম ইকবাল। স্কুল জীবন পেরিয়ে সোনারগাঁও ডিগ্রি কলেজ ইন্টারমিডিয়েটে ভর্তি হয়েই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে শ্লোগান তুলেন তিনি। বর্তমান সোনারগাঁও আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম যখন ছাত্রলীগের রাজনীতি করেন ওই সময় কালাম সোনারগাঁয়ে ছাত্র সমাজকে রাজনীতিতে সংগঠিত করার কাজ করেন। কালামের সঙ্গেই ছাত্রলীগের রাজনীতিতে পুরোদমে নেমে যান তিনি। প্রতিটি এলাকায় ছাত্রলীগের কমিটি গঠনে কাজ করেন তিনিও।

এছাড়াও ওই সময়ের দিকেই সোনারগাঁয়ে ছাত্রলীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটিতে আহ্বায়ক ছিলেন তোফাজ্জল হোসেন মাস্টার এবং যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন আবু নাইম ইকবাল ও এমএ সাঈদ। ওই আহ্বায়ক কমিটির মাধ্যমে সোনারগাঁয়ে ছাত্রলীগের সম্মেলন ভোটের মাধ্যমে কমিটি গঠন করা হয়। ওই সম্মেলনে সভাপতি নির্বাচিত হন মাহফুজুর রহমান কালাম ও সাধারণ সম্পাদক হন পিরোজপুুরের মাহফুজ।

ছাত্রলীগের রাজনীতিতে ব্যাপক ভুমিকা রাখায় ২০০০ সালের পর সোনারগাঁও থেকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কমিটিতে সদস্য পদে নির্বাচিত হন আবু নাইম ইকবাল। তারপর আর রাজনৈতিক কোন পদে আসেননি আবু নাইম ইকবাল। রাজনীতিতে পদার্পন ঘটলেও পরবর্তীতে তিনি জড়িয়ে পড়েন সমাজ সেবায়। ভুমিকা রাখতে শুরু করেন উপজেলার শিক্ষার ও ক্রীড়ার উন্নয়নে। যার ফলে এখন তিনি রাজনীতিবিদের চেয়ে একজন শিক্ষানুরাগী ও ক্রীড়া সংগঠক হিসেবেই সকলের কাছে পরিচিত।

বর্তমানে আবু নাঈম ইকবাল সোনারগাঁও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক। তিনি বিশ্বাস করেন খেলাধুলার দিকে যুব সমাজ ও ছাত্র সমাজকে আটকে রাখতে পারলে মাদক থেকেও তাদের দূরে রাখা যাবে। সেই সঙ্গে তিনি স্বপ্ন দেখেন সোনারগাঁও থেকে একদিন জাতীয় ক্রিকেট দলে ও জাতীয় ফুটবল দলে সোনারগাঁও থেকে জাতীয় মানের খেলোয়ার ওঠে আসবে। সেই লক্ষ্যেই তিনি কাজ করছেন। যে কারনে উপজেলার ক্রীড়া প্রেমী ও ক্রীড়া সংগঠকদের প্রথম পছন্দ আবু নাইম ইকবাল। ক্রীড়া প্রেমীরাও ইতিমধ্যে আবু নাইম ইকবালের নির্বাচনী প্রচারণায় নেমেছেন।

এছাড়াও তিনি বেশ কয়েক বছর ধরে উপজেলায় শিক্ষার উন্নয়নে কাজ করে আসছেন। উপজেলা শিক্ষা কমিটির সদস্যও তিনিও। রয়েছেন সোনারগাঁয়ের ভট্টপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদে। এই বিদ্যালয়টি বেশকয়েকার ফলাফলে শ্রেষ্ঠ হয়েছে। যার মুল ভুমিকায় ছিলেন তিনি। তিনি সোনারগাঁও মহিলা কলেজের দাতা সদস্য। আরও অসংখ্য সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গেও তিনি জড়িত। কাজ করছেন উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নেও। উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর নানা সমস্যাগুলো তিনি সমাধানে কাজ করেন। শিক্ষা কমিটির সদস্য হিসেবে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের সমস্যাগুলো তিনি স্থানীয় এমপি ও ইউএনও এর কাছে তুলে ধরেন এবং সমাধানেও নিজেকে জড়িয়ে ভুমিকা রাখেন সরাসরি। যে কারনে উপজেলায় শিক্ষকদের প্রথম পছন্দও তিনি। ইতিমধ্যে উপজেলার শিক্ষক সমাজ তাকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে সমর্থন ঘোষণা করেছেন।

তার বড় ভাই নারায়ণগঞ্জ আদালতের একজন ন¤্র ভদ্র ক্লিন ইমেজের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এটি ফজলে রাব্বী। নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী যুব আইনজীবী পরিষদের আহ্বায়ক পদে রয়েছেন অ্যাডভোকেট এটি ফজলে রাব্বী। তিনি সোনারগাঁও পৌরসভার গত নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকে মেয়র পদে নির্বাচন করেছিলেন। রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের কারনে তার জয়টা হাতছাড়া হয়। নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন আবু নাইম ইকবাল। তার প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী ফারুক ভূঁইয়াও সমাজ সংখ্যক ভোট পান। ফলে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে লটারির মাধ্যমে বিজয়ী নির্ধারণ করা হলে এতে ফারুক ভূঁইয়ার দিকে যায় লটারির ভাগ্য। তবে সেই পরিস্থিতির অনেক উত্তোরণ ঘটেছে এবার। যে কারনে এবার আবু নাইম ইকবালের জয়ের সম্ভাবনা অনেক বেশি। স্থানীয় এমপির সমর্থন ও আওয়ামীলীগ জাতীয়পার্টির সমর্থন ছাড়াও শিক্ষক সমাজ, ক্রীড়া প্রেমী, ক্রীড়া সংগঠক এবং জনপ্রতিনিধিদের সমর্থন নিয়ে জয়ের দ্বারপ্রান্তেই আবু নাইম ইকবাল।