সোনারগাঁয়ে ভাইয়ের হাতে ভাই খুুন, মায়ের মামলায় বাবা গ্রেপ্তার

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের জামপুর ইউনিয়নের জামপুর গুদারাঘাট গ্রামে মা বাবাকে মারধর করতে গিয়ে ধস্তাধস্তিতে ছোট ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে বড় ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা হয়েছে।  এ ঘটনায় বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

২৮ মে শুক্রবার রাতে নিহত কিরনের মা মোর্শেদা বেগম বাদী হয়ে তিনজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন।  শনিবার ভোরে পুলিশ নিহতের বাবা শাহজামালকে গ্রেপ্তার করে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের শাহ জামালের ছেলে কিরণ দীর্ঘদিন ধরে মাদক সেবন করে আসছে।  বিভিন্ন সময়ে মাদকাসক্ত হয়ে তার বাবা মাকে মারধর করে আহত করে।  তার অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে ওই পরিবার।  মাদকাসক্ত কিরণের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে তার স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যায়।

গত শুক্রবার জুমা নামাজের পর কিরণ তার বাবা মাকে মাদকের টাকার জন্য অকথ্য ভাষায় গাল মন্দ ও মারধর করতে থাকে।  তার মারধরে তার মায়ের হাত ভেঙ্গে যায়।  এক পর্যায়ে কিরণ তার বাবাকে ছুরি নিয়ে মারধর করতে গেলে তার ভাই মেহেদী হাসান ও গাব্বা তার বাবাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসে।  এসময় তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়।

ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে কিরণের ছুরি তার পেটে দেবে যায়।  ছুরিকাঘাতের ফলে তার দেহ থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়।  আহত অবস্থায় কিরণকে আড়াই হাজার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে।  ঢামেকে নেওয়ার পথে সে মারা যায়।  কিরনের মৃত্যুর ঘটনায় নিহতের মা মোর্শেদা বেগম বাদী হয়ে স্বামী শাহ জামাল, ছেলে মেহেদী হাসান ও গাব্বাকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন।  পুলিশ কিরনের হত্যাকান্ডের ঘটনায় বাবা শাহ জামালকে গ্রেপ্তার করে।

সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হাফিজুর রহমান বলেন, নিহত কিরণ মাদকাসক্ত ও বিকৃত মস্তিষ্কের ছিল।  কিরণের হত্যাকান্ডের ঘটনায় মামলা হয়েছে।  এ মামলার প্রধান আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।