লাঙ্গলের পক্ষে ছিল রেজাউল পন্থীরা, প্রমাণ মিলতে যাচ্ছে মঙ্গলবার

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ওই নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও) আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন পান আজহারুল ইসলাম মান্নান। নির্বাচনে প্রাথমিক মনোনয়নের তালিকাতেও আসেননি এ আসনের সাবেক এমপি রেজাউল করিমের নাম। যে কারনে ওই নির্বাচনে রেজাউল অনুগামী বিএনপির নেতাকর্মীরা কাজ করেছিলেন মহাজোটের প্রার্থী জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে লিয়াকত হোসেন খোকা। নির্বাচনে লাঙ্গল প্রতীকে কাজ করেছিলেন রেজাউল পন্থী বিএনপির নেতাকর্মীরা। যার প্রমান মিলতে যাচ্ছে আগামী মঙ্গলবার।

জানাগেছে, আগামী মঙ্গলবার রেজাউল করিম অনুগামী বিএনপির পদধারী ও এক সময়কার দাপটশালী বিএনপির কয়েকশ নেতাকর্মী আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয়পার্টিতে যোগদান করবেন। এদের মধ্যে বেশির ভাগই দলের বড় বড় পদ বহন করছেন। অনেকেই বিএনপির শীর্ষ পদে থাকলেও আগে থেকেই সরকারি দলের সঙ্গে লিয়োজো করে রাজনীতি করে আসছিলেন। ওই নির্বাচনের আগেই আজহারুল ইসলাম মান্নানের লোকজন অভিযোগ করেছিলেন রেজাউল করিমের লোকজন লাঙ্গল প্রতীকের পক্ষে কাজ করছেন। যেখানে ইতিমধ্যে ছাত্রদল নেতা ওমর ফারুক টিটু জাতীয়পার্টিতে যোগদান করেছেন। এই টিটু হলেন সোনারগাঁ পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি সালাউদ্দীনের ছেলে। একই সঙ্গে টিটুর আরেক ভাই হারুন অর রশীদ মিঠু বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি পদে রয়েছেন। এর আগে তিনি জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। টিটুর মত সালাউদ্দীন ও মিঠুকেও মঙ্গলবার যোগদানে দেখা যেতে পারে বলেও সোনারগাঁয়ের বিএনপির বেশকজন নেতা জানান। তারা প্রত্যেকেই বিএনপির আন্দোলনে নাশকতার মামলায় আসামী হয়েছেন এবং জেল খেটেছেন।

জানাগেছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোয়ন চেয়েছিলেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী রেজাউল করিম। কিন্তু এ আসন থেকে মনোনয়ন পান আজহারুল ইসলাম মান্নান। যদিও নির্বাচনে মান্নানের ভরাডুবি হয়েছিল। আর নির্বাচনের পর রেজাউল করিম পন্থী নেতাকর্মীরা অনেকে যোগ দিতে যাচ্ছে জাতীয় পার্টিতে। ওই নির্বাচনে দলের প্রাথমিক মনোনয়ন পান উপজেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু জাফর ও সেক্রেটারি আজহারুল ইসলাম মান্নান। কিন্তু খন্দকার আবু জাফর তার মনোনয়ন পত্রই দাখিল করেননি।

নেতাকর্মীরা বলছেন, উপজেলা বিএনপির রাজনীতির নিয়ন্ত্রন আজহারুল ইসলাম মান্নানের কাছে চলে যাওয়ায় এবং রেজাউল করিমের বয়সের কারনে রাজনীতি শেষের দিকে চলে যাওয়ায় রেজাউল অনুগামী নেতাকর্মীরা পিঠ বাঁচাতে জাতীয়পার্টিতে যোগদান করতে যাচ্ছেন।