রির্টার্নিং অফিসারের হুশিয়ারীকে বৃদ্ধাঙ্গুলী: সোনারগাঁয়ে বাবু ওমরের আচরণবিধি লঙ্ঘন

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

প্রতীক বরাদ্ধ দেয়া হবে আগামী ১৪ মার্চ। গত ৬ মার্চ প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র যাচাই বাছাইয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ আতাউর রহমান সোনারগাঁয়ের প্রার্থীর কঠোর হুশিয়ারী দিলেও নির্বাচনী আচরণবিধি মানছেন না প্রার্থীরা। আচরণবিধি লঙ্ঘন করে চালিয়ে যাচ্ছে নির্বাচনী প্রচারণা। সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী বাবুল ওমর বাবুর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠেছে। তিনি প্রতীক বরাদ্ধের আগেই নির্বাচনী সভা ও আলোচনা করেছেন।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণ বিধির ৫-এর অনুচ্ছেদে উল্লেখ আছে, ‘কোনো প্রার্থী বা তাহার পক্ষে কোনো রাজনৈতিক দল, অন্য কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান প্রতীক বরাদ্দের পূর্বে কোনো প্রকার নির্বাচনী প্রচার শুরু করিতে পারিবেন না।’

অন্যান্য প্রার্থীদের সমর্থকরা বলছেন, জেলা রির্টার্নিং অফিসার আচরণবিধি লঙ্ঘন না করতে  হুশিয়ারি দিলেও বাবু ওমর সেই হুশিয়ারীকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন।

কিন্তু সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী বাবুল ওমর বাবু আচরণবিধি লঙন করে উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের গনকবাড়ি এলাকায় ৮ মার্চ শুক্রবার বিকেলে নির্বাচনী প্রচারণা ও আলোচনা সভা করেন। এ সময় ভোটারদের কাছে উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট চান। মনোনয়নপত্র বৈধ হওয়ার পর থেকেই প্রচারণা চালাচ্ছেন তিনি।

জানাগেছে স্থানীয় নূর হোসেন মেম্বারের সভাপতিত্বে নির্বাচনী প্রচারণা ও আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- শুক্কুর আলী মেম্বার, সিরাজ মেম্বার, মিয়াজউদ্দিন ভূঁইয়া, শাহজাহান ভূঁইয়া ও ফজলুল হক প্রমুখ।

তবে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের কাছে প্রার্থী বাবুল ওমর দাবি করেন- কোনো নির্বাচনী প্রচারণা নয়। একটি সংগঠনের ব্যানারে মাদক বিরোধী আলোচনা সভায় আমি অংশ নিয়েছিলাম।’ তবে বাবুল ওমর বাবুর বক্তব্যের সাথে মিল পাওয়া যায়নি তার অনুষ্ঠানের ছবির ব্যানারে।

এদিকে অপর ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু নাইম ইকবাল বলেন, নির্বাচন কমিশনের আচরণবিধিতে উল্ল্যেখ আছে, প্রতীক বরাদ্দের আগে নির্বাচনী প্র্রচার চালানো যাবেনা। তাই কমিশনের আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই প্রতীক বরাদ্দের আগে প্রচারে অংশ নিচ্ছিনা।

নারায়ণগঞ্জ জেলা নির্বাচন অফিসার ও নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার আতাউর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, প্রতীক বরাদ্দের আগে কোনো প্রচার ও লিফলেট বিলি করা যাবেনা। এটা করলে প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’