নির্বাচনী ভোটের দাবিতে চেয়ারম্যান প্রার্থী সায়েমের পাশে আলীরটেক ইউনিয়নবাসী

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার আলীরটেক ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোটের দাবীতে বিক্ষোভ ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। একইসাথে সভায় করোনা মোকাবেলা করার জন্য সচেতনামূলক আলোচনা ও মানুষের মাঝে মাস্ক বিতরণ করা হয়।

২ এপ্রিল শুক্রবার আলীরটেক ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড এলাকার গঞ্জকুমারিয়া শাহ্ আলী বাজারে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক চেয়ারম্যান প্রার্থী সায়েম আহম্মেদের নেতৃত্বে পুরান গোগনগর বাজার হতে মাস্ক বিতরণ শুরু হয়। যা কুড়েরপাড় হয়ে সবুজনগর ঘুরে গঞ্জকুমারিয়া শাহ আলী বাজারে গিয়ে শেষ হয়।

পরে আলোচনা ও মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে চেয়ারম্যান প্রার্থী সায়েম আহাম্মেদ বলেন, আমাদের এলাকার মুরুব্বিরা আমাকে গতবার ইউনিয়ন নির্বাচনে প্রার্থী হতে বলেছিলেন, তাদের অনুরোধে আমি নির্বাচনে প্রার্থী হই। ওই নির্বাচনে বর্তমান চেয়ারম্যান বিভিন্ন কায়দায় আমার মনোনয়ন আটকিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। আমি যেনো নির্বাচন না করি তার জন্য তার সন্রাসী বাহিনী দিয়ে আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান করে। এক পর্যায়ে আমাদের এলাকার মুরুব্বি সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলী আমাকে ফোন দিয়ে নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে যেতে বলেন এবং তার অনুরোধে আমি ওইখানে যাই। ওইখানে আমাদের আলীরটেক ইউনিয়নের আরো গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিতে মতি আমার কাছে চেয়ারম্যানি ভিক্ষা চায়। তিনি সবার সামনে বলেছিলেন ‘এবার আমাকে চেয়ারম্যান হতে দাও, এরপরে আমি আর নির্বাচন করিবো না।’ তিনি এখন সেই কথা ভুলে গেছেন। ওই সভায় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা আমাকে নির্বাচন থেকে সরে যেতে বলে। তখন আমি বলেছিলাম মতিউর রহমান আমার সাথে নির্বাচনের মাঠে আসুক। তার সাথে আমি ভোটের মাঠে খেলতে চাই। এবারও মতি একই কায়দায় বিনা ভোটে চেয়ারম্যান হওয়ার জন্য পায়তারা করছে। তার স্বপ্ন এবার আমরা সফল হতে দিবোনা। তার যদি সাহস থাকে মাঠে এসে আমাদের সাথে খেলুক। আমি তার সাথে ভোটের মাঠে খেলতে চাই।

সায়েম আহাম্মেদ আরও বলেন, মতি তো ওয়াদা দিয়েও তা ভঙ্গ করে। আমি আমার এলাকার এক মুরুব্বিকে বললাম ডিক্রিরচরের মানুষতো এমন হয়না, তখন তিনি আমাকে বললেন মতিতো ডিক্রিচরের বাসিন্দা না। সে মুন্সিগঞ্জ থেকে এসেছে। তিনি যদি আমাদের এলাকার বাসিন্দা হতেন তাহলে আলীরটেকের জন্য তার মায়া থাকতো। কিন্তু তার আচরণে আমরা তা পাইনা। ২৩ বছর চেয়ারম্যানি করার পরও কেন তার আরো চেয়ারম্যান হতে হবে। সৎ সাহস থাকলে তিনি ভোটে এসে নির্বাচন করুক।

আলীরটেকের সাবেক চেয়ারম্যান জাকিরকে উদ্দেশ্য করে সায়েম আহাম্মেদ বলেন, জাকির চেয়ারম্যান হাজার কোটি টাকার মালিক। তিনি চাইলে এমনিতে নিজের টাকা দিয়ে উন্নয়ন করতে পারতো। কিন্তু তা না করে উন্নয়ন করার জন্য তার চেয়ারম্যান হতে হবে। তারা চায়না আলীরটেকে নতুন নেতৃত্ব আসুক।

চেয়ারম্যান প্রার্থী সায়েম বলেন, বহিরাগতরা এসে আমাদেরকে জিম্মি করে রাখছে। তারা বার বার মানুষের ভোটের অধিকার ছিনিয়ে নিয়ে বিনা ভোটে চেয়ারম্যান হতে চায়। আমি মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য গতবার যতটুকু চেষ্টা করেছি এবার ২ হাজার গুণ বেশি করবো। প্রয়জনে আমার জান দিয়া দিবো তাও মানুষের ভোটের অধিকার ছিনিয়ে নিতে দিবোনা। আমরা পরিবর্তন চাই। এই পরিবর্তন হলো এলাকার উন্নয়ন মাধ্যমে মানুষের পরিবর্তন। এখানকার মানুষ যেন ন্যায় বিচার পেতে পারে তার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আপনারা যেন আপনাদের ভোট দিতে পারেন আমরা সেই পরিবেশ তৈরীর লক্ষে কাজ করছি। এই এলাকার মানুষ যদি আমাদেরকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে আমরা এলাকার রাস্তা ঘাট ব্রীজ কালভার্ট সহ সকল উন্নয়ন মূলক কাজ গুলো সবার আগে করবো। তা আপনাদেরকে সাথে নিয়ে করবো। আপনারা আমাদের জন্য দোয়া করবেন। একই সাথে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহ যেন তাকে সুস্থ রাখেন।

এই সময় উপস্থিত ছিলেন- সমাজ সেবক জাকির হোসেন, হাবিবুল্লাহ মাদবর, আওয়ামী লীগ নেতা মনির হোসেন, মো. নবী হোসেন মাদবর, মো. ইসমাইল মাদবর, মো. ওয়াজুদ্দিন মেম্বার, মো. মোনা মাদবর, মো. বাদশা মাদবর, মো. সিরাজুল ইসলাম মাদবর, মে. ছাত্তার মাদবর, মো. নূরু মিয়া, সদর থানা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এসটি আলমগীর সরকার, সদর থানা ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক সওদাগর খান, যুবলীগ নেতা নাজির হোসেন, তাঁতী লীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য মো. মনির হোসেন, গোগনগর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নূরু শিকদার, মো. নুরআলী মাদবর, মো. মানিক মাদবর, মো. ফিরোজ মাদবর, আলীরটেক ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো.জয়নাল আবেদিন জনু, ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মো.আঃ মালেক, ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহান উল্লাহ, শহর আলী মেম্বার, মো.শহর আলী মাদবর, আওয়ামীলীগ নেতা মো.দেলোয়ার হোসেন, মো.হাকিম , বিশিষ্ট সমাজ সেবক সালাউদ্দিন , মো.সুজা মাতব্বর, মোহাম্মদ আলী মাতব্বর, কামাল মাদবর, মো.নুরুউদ্দিন, সমাজ সেবক নাজির মাদবর, মো.শুক্কুর মেম্বার, জাকির হোসেন, সমাজ সেবক মো. মনির হোসেন, সমাজ সেবক মো. আলমগীর সরকার, মো. কবির সরকার , মো.জসিম, হাজী হাবিব উল্লাহ, মো.শাহালম তালুদার, মো.দিল মোহাম্মদ, মো. মহিউদ্দিন মহি সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।