নৌকার বিরুদ্ধে আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সেক্রেটারি বিদ্রোহী প্রার্থী!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার ৫টি উপজেলা পরিষদের মধ্যে তিনটি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন আগামী ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে না বিএনপি। তিনটি উপজেলায় নৌকা প্রতীকে প্রার্থী দিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে গিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন দুটি উপজেলা আওয়ামীলীগের এক সভাপতি ও আরেক সেক্রেটারি। তারা নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে লড়বেন। নির্বাচনের শুরুতেই আওয়ামীলীগের সভাপতির ভয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আড়াইহাজার থেকে নারায়ণগঞ্জে এসে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন। অপর এলাকায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকদের উপর হামলা চালিয়েছেন আওয়ামীলীগের সেক্রেটারি প্রার্থীর লোকজন। পিটিয়ে আহত করেছেন ২০ নেতাকর্মীকে।

জানাগেছে, আড়াইহাজার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পেয়েছেন মুজাহিদুর রহমান হেলো সরকার। তিনি উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান। তিনি রাজনীতি করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল পারভেজের বলয়ে। তবে এ নির্বাচনে স্থানীয় এমপি নজরুল ইসলাম বাবুর পছন্দ ছিল আড়াইহাজার উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান শাহজালাল মিয়া। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হেলো সরকার ইকবাল পারভেজের পক্ষে কাজ করেছিলেন। ইকবাল পারভেজ জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশি ছিলেন। আর শাহজালাল মিয়া কাজ করেছিলেন এমপি বাবুর পক্ষে।

মনোনয়ন বঞ্চিত হলেও ৪ মার্চ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাৃিখল করেছেন শাহজালাল মিয়া। তিনি আড়াইহাজার উপজেলা নির্বাচন কমিশন বরাবর মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। এদিকে সংঘর্ষের ভয়ে গুটিকয়েকজন নেতাকর্মীদের নিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে এসে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন হেলো সরকার।

অন্যদিকে সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পেয়েছেন উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন। তিনি আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাতের আপন চাচা। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এখানে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন চেয়ে মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে নামেন কায়সার হাসনাত। ওই নির্বাচনে মোশারফ হোসেন স্বতন্ত্র প্রার্থী কায়সার হাসনাতের পক্ষে কাজ করেছিলেন।

এখানে উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান কালাম স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন। তিনি গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে মহাজোটের প্রার্থী বর্তমান এমপি লিয়াকত হোসেন খোকার পক্ষে কাজ করেছিলেন। কালাম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন প্রত্যাশি ছিলেন। ৪ মার্চ সোমবার তিনি সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ে মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে নৌকার প্রার্থীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। তিনি এখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়াই করবেন।