আইনজীবী সমিতি নির্বাচন: এসপির সহযোগীতা চাইলো বিএনপি

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

আগামী ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ভোট গ্রহণ। এই নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলমের সহযোগীতা চেয়েছেন বিএনপির আইনজীবীরা। বিএনপির দাবি-নির্বাচন সুষ্ঠু প্রভাবমুক্ত করতে হলে নির্বাচনের দিন ভোট কেন্দ্রে একজন অতিরিক্ত পুুলিশ সুপারের নেতৃত্বে বিপুুল পরিমান পুলিশের প্রয়োজন।

নির্বাচনের দিন সরকারি দল আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে পারে এমন শঙ্কা থেকেই মুলত বিএনপির আইনজীবীরা জেলা পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়েছেন। নির্বাচনের দিন যেনো বহিরাগতরা এসে আইনজীবীদের উপর ও সাধারণ ভোটারদের উপর চাপ সৃষ্টি না করে সে বিষয়টি অবগত করেন।

২০ জানুয়ারি বুধবার দুপুরে জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের নেতৃত্বে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে গিয়ে এ বিষয়ে একটি লিখিত আবেদন জমা দিয়েছেন বিএনপির আইনজীবীরা।

বিএনপির আইনজীবীরা জানিয়েছেন, ওই সময় পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম আইনজীবী নেতাদের আশ্বস্ত করেছেন এবং নির্বাচনের দিন যেকোন ধরণের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সর্বদা তৎপর থাকবে।

এ সময় অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ করে জানান, নির্বাচনে সরকারি দল কারচুপি করার লক্ষ্যে তাদের দলীয় লোককে প্রধাণ নির্বাচন কমিশনার বানিয়েছে। আইনজীবীদের নির্বাচনে বহিরাগতদের নিয়ে এসে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হয়। তাছাড়া নির্বাচনের আগে বিএনপির আইনজীবীদের নানাভাবে হুমকি ধমকি ও হয়রানি করা হয়। এমনকি আইনজীবীদের পরিবারের সদস্যদেরকেও নানাভাবে হয়রানি করা হয়।

পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম এসব কথা শুনে আইনজীবীদের কোন প্রকার হুমকি প্রদান করা হলে সাথে সাথে তাকে অবহিত করতে বলেন এবং তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেন।

আবেদনপত্রে কি লেখা ছিলো জানতে চাইলে জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ জাকির জানান, নির্বাচনের দিন সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে আমরা একজন এএসপি’র নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল সার্বক্ষনিকভাবে নিয়োজিত রাখার আবেদন জানিয়েছি। সেইসাথে নির্বাচনের আগে আইনজীবীদের নানাভাবে হুমকি প্রদান করা হয় বলেও জানিয়েছি এবং এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানিয়েছি।

এ সময় প্রার্থীদের সাথে আরো উপস্থিত ছিলেন- সিনিয়র আইনজীবী সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট নবী হোসেন, অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান মোল্লা, অ্যাডভোকেট রকিবুল হাসান শিমুল, অ্যাডভোকেট কাজী আবদুর গাফফার, জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আজিজুল হক হান্টু, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ জাকির, যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট এইচএম আনোয়ার প্রধান, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক নয়ন, আইনজীবী ফোরাম নেতা অ্যাডভোকেট আবদুস সামাদ মোল্লা, অ্যাডভোকেট নুরুল আমিন মাসুম, অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম মাসুম, অ্যাডভোকেট শেখ আনজুম আহমেদ রিফাত, অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান ফাহিম সহ বিএনপির শতাধিক আইনজীবী।

বিএনপি সমর্থীত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদ প্যানেলের সভাপতি পদে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ুন কবীর, সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মানিক মিয়া, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল আলম রিপন, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামাল হোসেন মোল্লা, যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট সালাহউদ্দিন ভূইয়া সবুজ, কোষাধ্যক্ষ অ্যাডভোকেট জাহিদুল ইসলাম মুক্তা, আপ্যায়ন সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহিদুর রহমান, লাইব্রেরী সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহসীন মিয়া, ত্রীড়া সম্পাদক অ্যাডভোকেট গোলাম সারোয়ার, সাহিত্য সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সারোয়ার জাহান, সমাজ সেবা সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসমা হেলেন বিথি, আইন ও মানবাধীকার বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম।

কার্যকরী সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান শুক্কুর মাহমুদ, অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান, অ্যাডভোকেট আসিয়া সুলতানা জেমী, অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান মাসুদ ও অ্যাডভোকেট জামান হোসেন।