আইনজীবী সমিতির নির্বাচনী শোডাউনে চাঙ্গা বিএনপির হুমায়ুন-কামাল প্যানেল

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

আগামী ২৮ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে আওয়ামীলীগ ও বিএনপির দুটি প্যানেল থেকে ১৭ জন করে মোট ৩৪ জন আইনজীবী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। ১৮ জানুয়ারি সোমবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছে দুটি দলের প্রার্থীরা। পৃথকভাবে নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ায় শোডাউন করে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন।

১৯ জানুুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ায় জেলার আলোচিত আইনজীবী নেতা ও মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের নেতৃত্বে ব্যাপক শোডাউন করেছেন বিএনপির আইনজীবীরাও। ওই সময় আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন, সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট নবী হোসেন, আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ জাকির, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এইচএম আনোয়ার প্রধান ও সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফাতেমা মাসুদ সহ অন্যান্য আইনজীবীরা এই শোডাউনে অংশগ্রহণ করেন। পরে তারা এক নির্বাচনী সমাবেশে বক্তব্য রেখে তাদের প্রচারণা শেষ করেন।

বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদ প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ুন কবির বলেন, আওয়ামীলীগের চেয়ে আমাদের বিএনপি প্যানেল অনেক শক্তিশালী প্যানেল। ত্যাগী ও পরীক্ষিত বিএনপির নেতাকর্মীদের দিয়ে প্যানেল গঠন করা হয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু নিরপেক্ষ প্রভাবমুক্ত হুমকি ধমকি না থাকলে আওয়ামীলীগ প্যানেলের একটি পদেও কেউ নির্বাচিত হতে পারবেনা, ১৭টি পদেই বিএনপি প্যানেলের প্রার্থীরা বিজয়ী হবে। এ কারনেই তারা নিজেদের মনগড়া নির্বাচন কমিশন তৈরি করেছে। আমরা নির্বাচন কমিশন পূণর্গঠনের দাবি জানিয়ে আসছি।

আগামী ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদ প্যানেল গঠন করেছে বিএনপি। অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ুন কবিরকে সভাপতি ও কামাল হোসেন মোল্লাকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৭টি পদেই প্রার্থী চূড়ান্ত করে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন বিএনপির প্রার্থীরা।

নির্বাচনের শুরুতেই বিএনপির আইনজীবীদের অন্যতম অভিভাবক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছিলেন, আমরা জয়ের আশা নিয়েই হুমায়ুন-কামাল প্যানেল তৈরি করেছি। নির্বাচনে কোন ধরণের কারচুপি কিংবা প্রভাব বিস্তার হুমকি ধমকি যদি না দেয়া হয়, যদি নির্বাচন সুষ্ঠ হয়, আমরা ১৭টি পদেই বিজয়ী হবো। তারা ভয়ে আগেই নির্বাচন কমিশন নিজেদের মনগড়া মত গঠন করেছে। আমরা আপত্তি জানিয়ে আসছি। আমরা এখনও নির্বাচন কমিশন পূনর্গঠন চাই। আমরা শক্তিশালী প্রার্থীদের বাছাই করেই প্যানেল গঠন করেছি। আওয়ামীলীগের আইনজীবীদের চেয়ে দিগুণ আইনজীবী নিয়ে আমরা আমাদের প্যানেলের মনোনয়ন দাখিল করেছি।

প্যানেলে সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে রয়েছেন অ্যাডভোকেট মানিক মিয়া, সহ-সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল আলম রিপন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট সালাউদ্দিন ভূঁইয়া সবুজ, কোষাধ্যক্ষ পদে অ্যাডভোকেট জাহিদুল ইসলাম মুক্তা, আপ্যায়ণ সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট জাহিদুর রহমান, লাইব্রেরী সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট মোহসীন শেখ, ক্রীড়া সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট অ্যাডভোকেট গোলাম সারোয়ার, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট সারোয়ার জাহান, সমাজ সেবা সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট আসমা হেলেন বিথি, আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম, কার্যকরী সদস্য পদে অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে শুক্কুর মাহামুদ, অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান মাসুদ, অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান ও অ্যাডভোকেট জামান হোসেন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করবেন।