সোনারগাঁয়ে এমপির নাতি গ্রুপের ৮ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁয়ে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরের লাল মিয়া হত্যাকান্ডের ঘটনায় স্থানীয় এমপির নাতি পরিচয়ে নাতি গ্রুপের প্রধান হাজী আনোয়ার হোসেন সহ ৮ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে মামলায় আনোয়ার হোসেনকে ৫নং আসামী করায় নিহতের পরিবারের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। কারন হত্যাকান্ডের মুলহোতা এই কথিত নাতি গ্রুপের প্রধান আনোয়ার হোসেন। নিহত লাল মিয়ার ছেলে খোকন বাদি হয়ে ২২ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার রাতে ৮ জনের নাম উল্ল্যেখ সহ অজ্ঞাতনামা আরো ১৫ থেকে ২০ জনে আসামী করে এ মামলাটি করেন। মামলায় প্রধান আসামী ছামাদ মিয়া।

সোনারগাঁ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান জানান, গত ২১ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়নের ললাটি গ্রামের রাজমিস্ত্রী লাল মিয়া হত্যার ঘটনায় নিহতের ছেলে খোকন বাদি হয়ে জমির মালিকানা দাবিকারী মোঃ ছামাদ মিয়াকে প্রধান আসামী করে এবং ছামাদ মিয়ার ছেলে মহিউদ্দিন ও জসিমসহ ইমরান ভুইয়া, গোলজার হোসেন, হাজী আনোয়ার, হাবিবুল্লাহ ও মিঠুর নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলায় আরো ১৫/২০জনকে অজ্ঞাত দেখানো হয়েছে।

এ বিষয়ে বাদি খোকন মিয়া বলেন, আমার বাবা লাল মিয়াকে হত্যার ঘটনায় আমি বাদি হয়ে ৮ জনের নাম উল্ল্যেখ করে আরো ১৫/২০জনকে অজ্ঞাতনামা করে সোনারগাঁ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছি। আমরা এই হত্যাকান্ডের ন্যায্য বিচার চাই।

জানাগেছে, উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়নের ললাটি গ্রামের আব্দুস সামাদের সাথে খোরশেদের দীর্ঘদিন ধরে ২০ শতাংশ জমি নিয়ে দ্বন্ধ চলছিল। জমিটি খোরশেদের দখলে রয়েছে এবং একাধিকবার বিচার শালিসে খোরশেদ এ জমির রায় পেয়েছেন। আব্দুস সামাদ এ জমিটি দখল করতে ব্যর্থ হয়ে সম্প্রতি এ বিরোধপূর্ণ জমিটি সনমান্দী ইউনিয়নের নাজিরপুর বড়বাড়ি এলাকার জাতীয় পার্টির নেতা ও স্বঘাষিত এমপি লিয়াকত হোসেন খোকার নাতি পরিচয়ে নাতি গ্রুপের প্রধান প্রভাবশালী ভূমিদস্যূ সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ হাজী আনোয়ার হোসেনের কাছে বিক্রি করে দেয়। হাজী আনোয়ার জমিটি ক্রয় করে দখলে নেয়ার জন্য বৃহস্পতিবার দুপুরে তার নেতৃত্বে মদনপুরের সন্ত্রাসী হাবিবুর রহমান হাবিব, মিঠু, গোলজারসহ ৭০-৮০ জন ব্যক্তি ওই জমি দখল করতে যায়। এ সময় খোরশেদেও ফুফা লাল মিয়া মিস্ত্রী এতে বাধা দিতে আসলে তাকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে হাজী আনোয়ার ও তার লোকজন। পরে তাকে হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান। ঘটনার পর পরই এ ঘটনায় জড়িত আব্দুস সামাদ ও তার ছেলে মহিউদ্দিনকে আটক করে পুলিশ।