‘নো মাস্ক, নো এন্ট্রি’ স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিজয় দিবসের কর্মসূচি পালন করতে হবে: ডিসি

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক (ডিসি) জসিম উদ্দিন বলেছেন, নারায়ণগঞ্জে আসন্ন বিজয় দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠান ছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠান থাকবে না। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অথবা ভার্চুয়ালে বিজয় দিবসের কর্মসূচি পালন করতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ অন্যান্য সকল অফিস আদালতে বিজয় দিবস উপলক্ষে কর্সসূচী পালন করতে হবে। ২৫ নভেম্বর বুধবার সকালে আসন্ন বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভায় তিনি একথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে যে নির্দেশনা আসছে তার মধ্যে অন্যতম, একটি হলো ‘নো মাস্ক, নো এন্ট্রি’। এই বিষয়ে যদি জনসাধারণে সচেতনতা বাড়ানো যায় তাহলে করোনা মোকাবেলায় কাজ অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে। পাশাপাশি শহরে ঢুকতেই বড় বড় বিলবোর্ড ও এলইডি মনিটর চোখে পড়ে সেখানে এ বিষয়ে প্রচারণা চালাতে হবে। যাতে করে বিষয়টি মানুষের সামনে দৃশ্যমান হয়। এছাড়াও নারায়ণগঞ্জের প্রতিটি উপজেলাতেও যাতে করে এরকম প্রচারণা প্রতিনিয়ত থাকে সে বিষয়ে ইউএনওদের ও কাজ করতে হবে।

‘যত কথাই বলি না কেন? আমাদের কিন্তু ডাক্তার লাগবেই। তারা যাতে আবার পিছনে চলে না যায় সে বিষয়ে লক্ষ রাখতে হবে। একজন ডাক্তার জাহিদ নয়। ১ হাজার, ১ লক্ষ ডা. জাহিদ তৈরি করতে হবে। এখন পর্যন্ত আমাদের জেলায় টিকা লাগবে ৯ হাজার ৮৫১টি। কিন্তু র‌্যাবসহ কিছু সংগঠনের এখনও লিস্ট পাইনি।’

নারায়ণগঞ্জে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তা বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (বিপিএটিসি) রেক্টর মো. রকিব হোসেন ভিডিও কনফারেন্সে বলেন, জনবহুল স্থানসমূহ যেমন মার্কেট, বিপণি-বিতান, হাট-বাজারে সাধারণ মানুষ যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে তাই মোবাইল কোর্ট চালাতে হবে। ইউএনওরা এ বিষয়ে লক্ষ রাখবেন। সামনে ১৬ই ডিসেম্বর আছে সেখানেও স্বাস্থ্যবিধির বিষয়টি আপনারা সবাই লক্ষ রাখবেন। এ বিষয়ে সবাই মিলে একটি ফোরাম করবো। সেই ফোরামটি জুম অ্যাপসের মাধ্যমে চাইলে তাদের মধ্যে করোনার বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা ও বিভিন্ন বিষয়ে একে অপরের মতামত নিতে পারে।

এ সময় ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল আমিন, নাসিকের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা প্রমুখ।

জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) জাহেদ পারভেজ চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) শফিউল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক সার্কেল) মেহেদী ইমরান সিদ্দিকী, জেলা সিভিল সার্জন ড. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শামীম বেপারী, রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ্ নুসরাত জাহান, বিকেএমইএ’র সহ-সভাপতি (অর্থ) মোর্শেদ সারোয়ার সোহেল, খানপুর ৩০০ শয্যা হাসাপাতালের তত্ত্বাবধায়ক গৌতম রায়, মন্ডলপাড়া ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন প্রমুখ।