কোন অর্বাচীনের কথায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণ কাজ বন্ধ করা হবে না: মন্ত্রী মোজাম্মেল হক

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

কোন অর্বাচীনের কথায় ঢাকায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নির্মাণ কাজ বন্ধ করা হবে না বলে সাফ জানালেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক।

১৮ নভেম্বর বুধবার দুপুরে বিআইডব্লিউটি’র নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের ভিআইপি জেটিতে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আরো বলেন, সারাদেশে জাতির জনকের অসংখ্য ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়েছে। পথে ঘাটে কে কি বললো তা নিয়ে গুরুত্ব দেয়ার কোন কারন নেই। বর্তমান সরকার যে কথা বলে তা বাস্তবায়ন করার সক্ষমতা নিয়েই বলে।

এর আগে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হক বন্দর এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীতে নোঙর করা মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত যুদ্ধজাহাজ এম.ভি আকরাম সংরক্ষণের ব্যাপারে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করেন।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় নৌ কমান্ডোরা চাঁদপুর এলাকায় মেঘনা নদীতে পাক সেনাদের অস্ত্র মজুদকৃত এম.ভি আকরাম জাহাজটি ডুবিয়ে দিয়েছিল। এটি মহান মুক্তিযুদ্ধের একটি বড় নিদর্শন। এটি সংরক্ষণ করার জন্য ৬টি মন্ত্রনালয়ের প্রতিনিধি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করে দু’টি জায়গার নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। একটি মাদারীপুর বিআইডব্লিউটি’র টেনিং সেন্টারের পাশে এবং অপরটি চাঁদপুর নতুন পোর্টের পাশে। গঠিত কমিটি পর্যালোচনা করে প্রতিবেদন পেশ করার পর যে স্থানটি জনবহুল ও দর্শণীয় বলে বিবেচিত হবে সেখানে জাহাজটি রেখে সংরক্ষরণ করা হবে বলে তিনি জানান।

তিনি আরও জানান, এর জন্য যে পরিমান অর্থ চাহিদা দেয়া হবে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রনালয় সেটি সরকারের কাছে থেকে বরাদ্ধ এনে জাহাজটি স্থায়ীভাবে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করবে। জাহাজটির সৌন্দর্য্যবর্ধনে প্রয়োজনে বিদেশী স্থপতি প্রকৌশলীদের পরামর্শ নেয়া হবে বলেও জানান মন্ত্রী মোজাম্মেল হক।

জাহাজটি পরিদর্শনের সময় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর সাথে ছিলেন সাবেক নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, নৌ-পরিবহন মন্ত্রনালয়ের সচিব মেজবাউদ্দিন, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সেলিম রেজা ও নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা নাহিদা বারিক প্রমূখ।

১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময় মেঘনা নদীতে নৌ-কমান্ডোরা পাকসেনাদের যুদ্ধজাহাজ এমভি অকরাম ডুবিয়ে দেয়। পরবর্তীতে জাহাজটি সংরক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রনালয়।