মাদকের বিরুদ্ধে দুলাল প্রধানের ভাষণ, তার কর্মীদের অনেকের বিরুদ্ধে বিক্রির অভিযোগ

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ সিটিকর্পোরেশনের ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন আহমেদ দুলাল প্রধান বলেছেন, মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যাবার এখনই শ্রেষ্ঠ সময়। কেননা, মাদকের থাবায় যখন যুব সমাজ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে ঠিক সেই সময়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার সুচারু পদক্ষেপে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর অগ্রনী ভূমিকায় মাদকের বিরুদ্ধে জিরো ট্রলারেন্সে পরিনত হয়েছে। অতএব, মাদক থেকে দূরে রাখতে যুব সমাজকে বেশি বেশি খেলাধুলা ও বিনোদনের আয়োজন করতে হবে।

১৬ ফেব্রুয়ারি শনিবার বিকাল ৫টায় বন্দরের ইস্পাহানী বাজার সংলঘœ আয়োজিত উক্ত কমিটির উদ্যোগে মাদক মুক্ত সমাজ গড়ার লক্ষে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তবে এলাকাবাসীর অনেকেই অভিযোগ করে জানিয়েছেন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের এই সাধারণ সম্পাদকের চারপাশে অনেক মাদক বিক্রেতাদের আনাগোনাই দেখা যায় বেশি। বন্দরের যে সব মাদক বিক্রেতা রয়েছে তাদের বেশির ভাগ মাদক বিক্রেতাদের দুলাল প্রধানের সভা সমাবেশে মিছিলে দেখা যায়। প্রতিটি এলাকায় তার নাম ভাঙ্গিয়ে চলছে মাদকের বিক্রির ছড়াছড়ি। এমন বিষয়টি তার নজরে আসছেনা কিন্তু তিনি করছেন মাদকের বিরুদ্ধে ভাষণ! তার বক্তব্যের ওই অনুষ্ঠানের পাশেই দাড়িয়ে থাকা বেশকজন নিচু স্বরে এমন মন্তব্য করেন।

তিনি আরো বলেন, আমি মাদক ব্যবসায়ীদের হুশিয়ারী উচ্চারণ করে বলতে চাই আজ থেকে ২৩নং ওয়ার্ডে কোন মাদক ব্যবসায়ী থাকবেনা। যদি সংবাদ পাই কেউ মাদক বিক্রি করছে তাদের পরিবারসহ অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হবে। আমি জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি। আমার এলাকায় মাদককে জিরো ট্রলারেন্সে পরিনত করাই আমার একমাত্র কাজ। যারা মাদকের পক্ষে সুপারিশ করবে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে। মাদকের কুফল সম্পর্কে যুব সমাজকে অবগত করার জন্য যত সহযোগীতা প্রয়োজন আমি করব। কেননা,এটা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।

ইস্পাহানী বাজার কমিটির সভাপতি ও দৈনিক স্বদেশ আমার পত্রিকার উপদেষ্টা কিতাব আলীর সভাপতিত্বে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন বন্দর ফাড়ীর ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বীরমুক্তিযোদ্ধা মুক্তা বেগম, দৈনিক স্বদেশ আমার পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক খান সোহেল, ইস্পাহানী বাজার কমিটির উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান মন্টু, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রানা প্রধান, ২৩নং ওয়ার্ড শ্রমিকপার্টির নেতা মোঃ ফরিদ হোসেন, সমাজসেবক আব্দুল বারেক, ব্যাংকার কামাল উদ্দিন, সমাজ সেবক আজিজ হালদার, হাজী মাঈন উদ্দিন, হাজী সাত্তার, আতাউর হোসেন, আসাদুল সরকার ও জাহাঙ্গীর আলম প্রমূখ।