স্বপনের মুক্তি চাইলেন বিএনপি নেতা সেলিম হক রুমী ও যুবদল নেতা আব্দুল মতিন

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

সন্ত্রাস বিরোধী আইনের মামলায় গ্রেপ্তারকৃত নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সোনারগাঁও উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শহিদুর রহমান স্বপনের মুক্তির দাবি করেছেন সোনারগাঁওয়ের কাঁচপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সেলিম হক রুমী ও কাঁচপুর ইউনিয়ন যুবদল নেতা আব্দুল মতিন। এক বিবৃতিতে তারা এই দাবি জানান। একই সঙ্গে তারা কারাবন্ধি শহিদুর রহমান স্বপনকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

এদিকে জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানা পুলিশের দায়েরকৃত সন্ত্রাস বিরোধী আইনের মামলায় গ্রেপ্তারকৃত জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সোনারগাঁও উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শহিদুর রহমান স্বপনের জামিন আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন আদালত।

১১ নভেম্বর বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ আনিসুর রহমানের আদালতে জামিনের জন্য আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।

এর আগে গত ৬ নভেম্বর শুক্রবার বিকেলে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ হুমায়ুনের আদালত শহিদুর রহমান স্বপনের ৩দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

৫ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুর রহমান আমান বাদী হয়ে ২০০৯ সালের সন্ত্রাস বিরোধী আইনে শহিদুর রহমান স্বপনকে প্রধান আসামী করে ১০১ জনের বিরুদ্ধে রূপগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার বাকী আসামীরা হলেন- বিএনপির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভুঁইয়া, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন, জেলা যুবদল যুগ্ম সম্পাদক আরিফুজ্জামান ইমন, রূপগঞ্জ যুবদলের আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন, সজীব, নারায়ণগঞ্জ যুবদল নেতা দুলাল, সারোয়ার হোসেন রাজীব, আবু বক্কর, নয়ন, রাশিদুল হক ও গনির নাম উল্লেখ্য করে ৮০-৯০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপুর প্ররাচনায় বিদেশে অবস্থানরত তাদের দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাথে ল্যাপটপ প্রজেক্টরের মাধ্যমে রাষ্ট্রবিরোধী অপরাধ সংগঠনের উদ্দেশ্যে ষড়যন্ত্রমূলক সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করার লক্ষ্যে শলা পরামর্শ করিতেছে। গোপন সংবাদে এমন খবর পেয়ে অভিযান চালায় ভুলতা ফাঁড়ির পুলিশ।