বন্দর গকুল দাসেরবাগে রাস্তা নির্মাণ ধীরগতি, এলাকাবাসীর বিক্ষোভ

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা লায়ন সাইফুল ইসলাম ও তার ছোট ভাই আমিনুল ইসলাম কন্ট্রাক্টরের ব্যক্তিগত অর্থায়নে অত্র ওয়ার্ডের গকুলদাসেরবাগ পূর্বপাড়া ইদ্রিছ আলীর বাড়ী থেকে শারইল লাল মিয়ার বাড়ী পর্যন্ত প্রায় পৌনে ১ কিলোমিটার রাস্তাটির মাটি ভরাট কাজের ৯৫ ভাগ কাজ গত ১৫ দিনে শেষ করার পরও রাস্তার উদ্যোক্তারা অদৃশ্য কারণে রাস্তার নির্মাণ কাজ শেষ করতে পারছেন না জানতে পেরে স্থানীয়রা তাদের পক্ষে ১৩ ফেব্রুয়ারি বুধবার বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।

বিক্ষোভকালে স্থানীয়দের মধ্য থেকে আবদুর রহমান, আনোয়ার হোসেন, দ্বীন ইসলাম, শফিক, নজরুল ইসলাম, মোকাদ্দেছ, তারেক, শ্রমিক পার্টি নেতা রফিকুল ইসলাম, নূর হোসেন, হারুন সহ অন্যান্যরা উপস্থিত থেকে সাংবাদিকদের জানান, রাস্তার অভাবে অত্র শারইল গ্রামের কয়েক শত মানুষ দীর্ঘদিন কর্মস্থলে যাওয়া নিয়ে বিশাল বিপাকে পড়ে আছেন এবং স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরাও চলাচলে মারাত্মক সমস্যা মোকাবেলা করে আসছে। প্রয়োজনে উক্ত গ্রামের মানুষ অন্য এলাকা দিয়ে ঘুরে গকুলদাসেরবাগ চৌরাস্তায় আসা-যাওয়া করে যা তাদের কর্মস্পৃহাকে নষ্ট করে সময়ের যথেষ্ট অপচয় করে থাকে।

তারা আরও বলেন, জনসাধারণের ভোগান্তি লাঘবে স্থানীয় ৬নং ওয়ার্ডের গকুলদাসেরবাগের বাসিন্দা লায়ন সাইফুল ইসলাম ও তার ছোট ভাই আমিনুল ইসলাম কন্ট্রাক্টরের অক্লান্ত পরিশ্রমে ও তারা রাস্তার জায়গা ক্রয় করে ব্যক্তিগত অর্থায়নে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ১৫ ফুট প্রশস্ত করে রাস্তার মাটি ভরাটের কাজ ৯৫ ভাগ শেষ করলেও স্থানীয় মৃত আব্দুল হাইয়ের ছেলে প্রবাসী বাবুল রাস্তার জন্য তার বাড়ীর পাশে সামান্যটুকু জায়গা দিতে রাজি না হওয়ায় বাদবাকি ৫ ভাগ মাটি ভরাটের কাজ শেষ করা যাচ্ছেনা। প্রবাসী বাবুল একটা সময় রাস্তার জায়গা দিতে রাজি থাকলেও স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী কুচক্রিদের প্ররোচণায় বর্তমানে সে জায়গা দিতে রাজি হচ্ছেনা বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয়রা আক্ষেপ করে জানান, ঠিক ১৫ বছর আগেও বাবুলের পিতা আবদুল হাই জায়গা দিতে রাজি না হওয়ায় এই রাস্তা নির্মাণ করা যায়নি এবং সে কারণে এ রাস্তা নির্মাণ না হওয়ায় দীর্ঘদিন আমরা চলাচলের ভোগান্তিতে পড়ে আছি। এখন যখন রাস্তার সকল কাজ শেষ এখন স্থানীয় কিছু কুচক্রি মহল প্রবাসী বাবুলের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করে তাকে উল্টোপাল্টা বুঝিয়ে এখন রাস্তা নির্মাণকে বাধাগ্রস্থ করছে। যারা একাজ করেছে তারা চরম ঘৃণীত ও নীচু মনের পরিচয় দিয়েছেন। নির্মাণাধীন রাস্তাটি ধামগড় ইউপি চেয়ারম্যান মাসুম আহম্মেদ পরিদর্শণ করেছেন এবং নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও অত্র ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা ওসমান গণি ভূঁইয়া রাস্তার জায়গা দিতে বাবুল ও তার পরিবারকে অনুরোধ জানালেও তারা তা উপেক্ষা করায় রাস্তা নির্মাণ বর্তমানে আটকে আছে।

এ বিষয়ে ধামগড় ইউনিয়ন ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আমিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, জননেত্রী শেখ হাসিনা গ্রামকে শহরে রুপান্তর করার ঘোষণা দিয়েছেন এবং বন্দরের প্রতিটি গ্রামে ভাল রাস্তা থাকবে যাতে রাস্তা দিয়ে জনগণ নির্বিঘেœ কর্মস্থলে যেতে পারে এবং শিক্ষার্থীরা যাতে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার নির্বিঘেœ যেতে পারেন এমন স্বপ্ন নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর ও বন্দর) আসনের সাংসদ বীরমুক্তিযোদ্ধা একেএম সেলিম ওসমান দেখে যাচ্ছেন। তার স্বপ্নের আলোকে মানুষের ভোগান্তি লাঘবে আমরা রাস্তা নির্মাণের দিকে এগিয়ে গিয়েছি এবং বর্তমানে অবশিষ্ট রাস্তা নির্মাণের মাধ্যমে জনগণের চলাচলের বিষয়টি সুগম করতে এমপি সেলিম ওসমানের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছি।