তৈমূরের বাড়িতে হামলায় জেলা শ্রমিকদলের সেক্রেটারি সহ আহত ১০, নিন্দা প্রতিবাদ

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারের জন্মদিন উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে হামলা চালিয়ে সরকারি দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ভাংচুরের অভিযোগ ওঠেছে। ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে এই হামলা ভাংচুরের অভিযোগ করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে আসা ৩০ জন নেতাকর্মী এই হামলায় আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়। এতে নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান সহ আরও ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। জেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান সহ আহত হয়েছেন জেলা যুবদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক সেলিম হোসেন দিপু, গোপালদি পৌর শ্রমিকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রজব আলী, আড়াইহাজার থানা শ্রমিকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জুলহাস, বারদী ইউনিয়ন শ্রমিকদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম, বারদী ইউনিয়ন শ্রমিকদলের সাংগঠনিক সম্পাদক শাওন, কাচপুর ইউনিয়ন শ্রমিকদল নেতা সাহাবউদ্দীন, শরীফ, সনমান্দি ইউনিয়ন শ্রমিকদলের সভাপতি শাহআলম ও আড়াইহাজার থানা শ্রমিকদল নেতা এবায়েদ হোসেন।

এই ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিকদল তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন জেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান।

জানাগেছে, ১৯ সোমবার বিকেলে রূপগঞ্জের রূপসী খন্দকার বাড়িতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেছেন জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি মোশারফ হোসেন। অনুষ্ঠানে দর্শক সারিতে বসেছিলেন তৈমূর আলম খন্দকার ও তার মেয়ে মার-ই-য়াম খন্দকার। মার-ই-য়াম খন্দকার বক্তব্যও রাখেন অনুষ্ঠানে।

অভিযোগ করা হয়েছে- এ সময় মঞ্চ থেকে টেনে-হিঁচড়ে মাটিতে ফেলা হয় তৈমূর আলম খন্দকার, তার মেয়ে ব্যারিস্টার মার-ই-য়াম খন্দকার, নাগরিক ঐক্যের নেতা মাহমুদুর মান্নাসহ অনেককে। এতে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে অনুষ্ঠানের ওই মঞ্চে থাকা চেয়ার টেবিল ও সাউন্ড সিস্টেম।

তৈমূর আলম খন্দকারের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) তুহিন পারভেজ আলাল জানান, বিএনপি চেয়ারপারসনের রোগমুক্তি কামনা, তৈমূর আলম খন্দকারের জন্মদিন উপলক্ষে রূপসী খন্দকার বাড়িতে দোয়ার আয়োজন করা হয়। বিকেল ৪টার মধ্যে মঞ্চে উপস্থিত হন মাহমুদুর রহমান মান্না, তৈমূর আলম খন্দকার, তার মেয়ে মার-ই-য়াম সহ অনেকেই। ওই সময়ে স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের লোকজন অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। উপস্থিত লোকজনদের একের পর এক মারধর করতে থাকে। মঞ্চ থেকে নেতাদের ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।

এছাড়া হামলাকারীরা সেখানে থাকা বেশ কয়েকটি গাড়ি ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। আকস্মিক এ হামলায় লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এভাবে একটি হামলা ন্যাক্কারজনক।

রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান জানান, সন্ধ্যা পৌনে ৬টা পর্যন্ত তাদের কাছে হামলার কোনো খবর আসেনি। তবে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।