নারায়ণগঞ্জে নির্যাতিতদের নেতা তৈমূর আলম ও সাখাওয়াত হোসেন খান

আবদুল্লাহ আল মামুন, বিশেষ প্রতিবেদক:

নারায়ণগঞ্জে বিএনপির যে সব নেতাকর্মী মামলায় জর্জরিত সেইসব নির্যাতিত নেতাকর্মীদের নেতা এখন অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার ও অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান। নারায়ণগঞ্জের মামলায় আসামী হওয়া নেতাকর্মীদের অন্তত আইনি লড়াইটা চালিয়ে যাচ্ছেন এই দুই নেতা। যে কারনে ওইসব নেতাকর্মীদের ভরসাও এখন তৈমূর আলম খন্দকার ও সাখাওয়াত হোসেন খান। অসহায় নেতাকর্মীরাও এই নেতার উপর আস্থা রেখেছেন। বেহাল বিএনপির জন্য নারায়ণগঞ্জের নেতৃত্বে অপরিহার্য হয়ে ওঠেছেন এই দুই নেতা। এমনটাই বলছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।

জানাগেছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর বিএনপির ধানের শীষ মনোনিত প্রার্থীরা আড়ালে থাকলেও বিএনপির দুঃসময়ে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দাকার ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান দাড়াচ্ছেন নির্যাতিত নেতাকর্মীদের পাশে।

নেতাকর্মীরা বলছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রুপগঞ্জ আসন থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন তৈমূর আলম খন্দকার। প্রাথমিকভাবে মনোনয়নও পেয়েছিলেন তিনি। পরে জেলা বিএনপির বর্তমান সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনিরকে চূড়ান্তভাবে মনোনিত করা হয়। কিন্তু নির্বাচনে ভরাডুবির পর থেকে কাজী মনিরকে আর বিএনপির রাজনীতির মাঠে কোন কর্মসূচিতে দেখা যায়নি। কিন্তু নারায়ণগঞ্জ জেলার বিএনপির সাবেক সভাপতি তৈমূর আলম খন্দকার নির্বাচনের পরেও আগ থেকে যারা জেলখানায় আছেন হাইকোর্ট থেকে তাদের জামিনের ব্যবস্থা করছেন। তাছাড়া তিনি নির্যাতিত নেতাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের পরিবারকে বিভিন্ন সহযোগিতাও জামিন করার ব্যবস্থার আশ্বাস দিচ্ছেন এবং অনেকের জামিনও করিয়েছেন।

অন্যদিকে, নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান একাদশ জাতীয় সংসদের আগেই গ্রেপ্তার হন। তিনিও নারায়ণগঞ্জ জেলার সদর-বন্দর আসন থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন। পরে এসএম আকরামকে চূড়ান্তভাবে মনোনয়ন করা হয়। বেশ কিছুদিন আগে জামিনে মুক্তি পান বারবার কারানির্যাতিন এ নেতা সাখাওয়াত। মুক্তি পাওয়ার পর আবারো নারায়ণগঞ্জের মামলায় জর্জরিত নেতাকর্মীদের পক্ষে আইনি লড়াই নেমেছেন তিনি। এখনও নিয়মিত তিনি নেতাকর্মীদের দলীয় মামলাগুলো পরিচালনা করছেন। নারায়ণগঞ্জের নেতাকর্মীরা মামলায় আসামী হলে সবার আগে সাখাওয়াত হোসেন খানের কাছেই দৌড়াচ্ছেন। সকলের আস্থাও অর্জন করেছেন বিএনপির এই নেতা।