বন্দর ইউনিয়নের সেই বরখাস্তকৃত ইউপি সচিবের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ ও ইউপি চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর জাল মামলায় বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সচিব (বরখাস্ত) ইউসুফের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

৪ অক্টোবর রবিবার সিনিয়র জুডিশিয়াল নুররুন্নাহার ইয়াসমিনের আদালত এ আদেশ দেন।

বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিনের করা মামলায় তার বিরুদ্ধে এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সচিব (বরখাস্ত) ইউসুফের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শরীফুল ইসলাম শিপলু।

গত বছরের ২৮ নভেম্বর জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন সনদ জাল ও নিবন্ধনের সরকারি ফি আত্মসাতের অভিযোগে সচিবের বিরুদ্ধে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন চেয়ারম্যান এহসান৷ মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে দায়িত্ব দেয়া হয়।

মামলায় চেয়ারম্যান এহসানউদ্দিন দাবি করেন, ৩৩ লাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় বরখাস্ত সরকারি কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইউসুফ বন্দর ইউনিয়নের সচিব থাকাবস্থায় জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন সনদ জাল করে তৈরি করতেন এবং সেসব টাকা আত্মসাৎ করেছেন৷ নিবন্ধনের সরকারি ফি ব্যাংকে জমা না দিয়ে নিজেই আত্মসাৎ করেছেন।

পাশাপাশি চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর জাল করার অভিযোগও করেন চেয়ারম্যান এহসানউদ্দিন। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত করে ইউসুফের বিরুদ্ধে ৩৩ লাখ ৭২ হাজার টাকা আত্মসাতের সত্যতা পায়। অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গ করে প্রতারণা, দলিল জালিয়াতি, প্রতারণার উদ্দেশ্যে জালিয়াতি করেছে মর্মে মো. ইউসুফের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করে। তদন্তে বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ইউসুফের নামে খােলা জন্ম ও মৃত্যু আইডি ব্যবহার করে জন্ম সনদ জাল, এডিট করার বিষয়টি প্রমাণ পায়।

এমনকি সরকারী ছুটির দিনে তথা শুক্রবার, ২১ শে ফেব্রুয়ারী, ২৬ শে মার্চেও জন্ম সনদ ইস্যু করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করে। লাশ কবর, এয়ারপাের্ট থেকে লাশ ছাড়পত্রের ক্ষেত্রে প্রত্যয়নপত্রসহ জরুরী কাজে ব্যবহারের জন্য চেয়ারম্যানের পূর্ব স্বাক্ষরিত প্যাডে নিজের ইচ্ছামতাে ডকুমেন্ট তৈরী করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন তদন্ত কর্মকর্তা।