কোনো ভাইয়ের রাজনীতি করি না: বিএনপি নেতা রাজীব

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব।

কর্মীবান্ধব বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, রাজনীতি করতে হলে সৎ ও আদর্শবান হতে হবে, মনে সাহস থাকতে হবে। শহীদ জিয়াউর রহমানের আদর্শ আর দেশনেত্রী ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে রাজনীতি করি, কোন ভাইয়ের রাজনীতি করি না। দল থেকে কোন চাওয়া পাওয়া নাই। চাওয়া একমাত্র আল্লাহ পাকের কাছে আদর্শগতভাবে রাজনীতি করেছি কোন কিছু পাওয়ার জন্য নয়। আল্লাহ যদি চায় ভবিষ্যতে আরও বড় পদ পদবী পাবো আর আল্লাহ না চাইলে পাবোনা। দলের জন্য দেয়া শ্রম কখনো বৃথা যায় না।

১৩ সেপ্টেম্বর রবিবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় একটি রেস্তোরায় জেলা ছাত্রদল নেতা শাহাজাদা আলম রতন ও রুবেল হোসাইনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় এক সাংগঠনিক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা গুলো বলেন।

রাজীব নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, যখন রাজনীতি করেছি, তখন কোন পোষ্ট পজিশন ছিলো না। তারপর প্রতিটি কর্মসূচিতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছি। আদর্শ ও সততাকে পুঁজি করে রাজনীতি করেছি আর দল সেটার প্রতিদান দিয়েছে বারবার। তাই জাতির প্রয়োজনে দলের জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে যাওয়ার প্রকৃত সময়ই এখন নেতৃত্ব পদ পদবী এখন বিবেচ্য বিষয় না আমার কাছে। আমি চাই তোমরা যারা আগামীতে নেতৃত্ব দিবে তোমার মধ্যে আদর্শ ও সততা নিয়ে রাজনীতি করবে। এমন কারও নেতার আন্ডারে গিয়া রাজনীতি করা যাবে না যার প্রতি মন থেকে শ্রদ্ধা না আসে। বিগত দিনে সবসময় মাঠে ছিলাম সময়ের প্রয়োজনে আমরা অবশ্যই মাঠে থাকবো।

তিনি বলেন, পদ পদবি বড় কিছু না, তবে যারা দলের জন্য কাজ করবে তাদের মৃল্যায়ন না করলেও মেনে নেয়া যায়। কিন্তু কিছু না করে মূল্যায়িত হলে এবার সেটা কোন অবস্থায় মেনে নেয়া হবেনা, প্রতিবাদ প্রতিরোধ অবশ্যই হবে। প্রয়োজন হলে আদায় করে নিতে হবে সততা আর পরিশ্রমের ফল। দলের জন্য আমরা অনেক আন্দোলন সংগ্রাম করেছি এবং ভবিষ্যতেও করবো। সেই সময় কিন্তু কোন পদ পদবী ছিলো না। আর যারা পদ পদবীর জন্য রাজনীতি করেছে তাদের অনেকেই আজ মাঠে নেই। কারন তাদের রাজনীতি ছিলো পদ পদবীর জন্য। অনেক সংগঠনের কমিটি হয়েছে কিন্তু তারা আজও পর্যন্ত একটি মিটিং মিছিল করতে পারেনি কোন কার্যক্রম পরিলক্ষিত হয়নি। তাহলে এসকল কমিটিতে থেকে কি লাভ? এ ব্যর্থতা কার? সঠিক নেতৃত্বের অভাবেই এগুলো হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, আমার ভাইয়েরা যখন রাজনীতি করবে তখন দাপটের সাথে রাজনীতি করতে হবে। নাম মাত্রক রাজনীতি করে লাভ নাই। তোমাদের নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক অটল রাখতে। তোমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকো তাহলে যেকোনো সংগঠনের চেয়েও শক্তিশালী।

নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সম্পাদক আবদুল জব্বার, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সারোয়ার জাহান, সোনারগাঁও উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফ মোল্লা, সরকারি তোলারাম কলেজের সাবেক ছাত্রদল নেতা অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আবুল হোসেন পায়েল, রুবেল কিবরিয়া, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মঈনুল হাসান রবিন, মহানগর ছাত্রদলের সহ-সভাপতি নাজিম পারভেজ অন্তু, সহ- সহ-সভাপতি হামিদুর রহমান সুমন, ছাত্রদল নেতা পিয়াল, তপু ভূঁইয়া, মোজাম্মেল হক, কাজী হিমেল, শাহাদাত হোসেন, সাইফুল ইসলাম, রছি, জহিরুল ইসলাম রনি, নাজমুল হাসান রাব্বি, সুজন, রুহুল আমিন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।