বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানীরাও হত্যা করতে পারেনি, অথচ হত্যা করলো এদেশের বিপথগামীরা: জুয়েল

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

মহান স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েল বলেছেন, যে পাকিস্তানীরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে পারেনি, বঙ্গবন্ধুর গায়ে একটি আচর দেয়ার সাহস করতে পারেনি, কিন্তু ৭৫ এর ১৫ আগস্ট এদেশেরই কিছু বিপথগামী হত্যা করলো বঙ্গবন্ধুকে, একটি স্বাধীনতা সত্ত্বাকে, একটি মানুষকে।

১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ও বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে জেলা আইনজীবীর অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি একজন মহানায়কের হত্যা করা হলো সহধর্মিনী বেগম ফজিলাতুন্নেছা, শিশু শেখ রাসেলকেও, শেখ কামাল, শেখ জামাল সহ তার পরিবারের সবাইকে হত্যা করা হলো, হত্যা করা হলো শেখ ফজলুল মনির অন্তসত্ত্বা স্ত্রীকেও, কতটা নির্মম কতটা অমানবিক হলে মানুষ এই কাজ করতে পারে।

তিনি বলেন, আজকে আমাদের নেত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সব হারিয়ে তিনি নি:শ্ব হয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা দেশকে উচ্চ শিখরে নিয়ে গেছেন। আজকে তার হাত ধরে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরিত হয়েছে।

১৫ আগস্ট মহান স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে জাতীয় শোক দিবসে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতি। একই সঙ্গে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গবন্ধু পরিবারের সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়।

১৫ আগস্ট শনিবার সকাল ১১টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নবনির্মিত ডিজিটাল বার ভবনে জাতীয় শোক দিবসে আলোচনা সভা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে সকাল ১০টায় চাষাড়া বিজয় স্তম্ভে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান আইনজীবী সমিতির নেতারা। দোয়া মাহফিল ও মোনাজাত শেষে সকলের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোনআন থেকে তেলোয়াত করা হয়। আলোচনা সভা দোয়া মাহফিলে শেষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সকল শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হয় এবং শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্থ্যতা কামনা ও তার দীর্ঘায়ু কামনা করা হয়।

এ ছাড়াও নারায়ণগঞ্জের প্রয়াত এমপি নাসিম ওসমান, বর্তমান এমপি একেএম সেলিম ওসমান ও এমপি একেএম শামীম ওসমান সহ ওসমান পরিবারের প্রয়াত সকল সদস্যদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয় এবং ওসমান পরিবারের সকলের দীর্ঘায়ু কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

এর আগে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মোহসীন মিয়া সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মাহাবুবুর রহম আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে বক্তব্য রাখেন সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুুয়েল, সাবেক সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট হোসনে আরা বেগম বাবলী, জেলা আইনজীবী সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট বিদ্যুত কুমার সাহা, জেলা মহিলা আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট সেলিনা ইয়াসমিন, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট দেলোয়ারা বেগম রীনা, সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুলতান উদ্দীন নান্নু।

সমিতির নেতাদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী সমিতির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট বরুণ চন্দ্র দে, কোষাধ্যক্ষ অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান কাজল, আপ্যায়ণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবুুল বাশার রুবেল, লাইব্রেরী সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহামুদুল হক মমিন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফাহমিদা আক্তার সিমি, সমাজ সেবা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট হাসিব উল হাসান রনি, আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নূসরাত জাহান তানিয়া, কার্যকরী পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন সুজন প্রধান, অ্যাডভোকেট আজিম ভুঁইয়া, অ্যাডভোকেট আসাদুল্লাহ সাগর ও অ্যাডভোকেট সূবর্ণা আক্তার।

অন্যান্য আইনজীবীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সমিতির সাবেক ক্রীড়া সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদ রানা, অ্যাডভোকেট রবিউল আমিন রনি, কার্যকরী পরিষদের সাবেক সাবেক আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ স্বপন ভুঁইয়া, সাবেক সদস্য অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান, অ্যাডভোকেট আসাদুর রহমান বিপ্লব, অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দীন শেখ, অ্যাডভোকেট ফয়সাল আহম্মেদ সহ অন্যান্য আইনজীবীরা।