জেলা ছাত্রদল নেতার পরকীয়া, অভিমানে স্ত্রীর আত্মহত্যা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জে ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাহামুদল্লাহকে পরকীয়ায় প্রেমে বাধা দিয়ে ফেরাতে ব্যর্থ হয়ে অবশেষে তার সামনেই তার স্ত্রী শামীমা অভিমান করে নিজের শরীরে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা চেষ্টা চালায়, পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির নেতা হাবিবুর রহমান হাবু ওই নারীর বড় ভাই। মাহামুদুুল্লাহ ও হাবিবুর রহমান হাবু একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম আজাদ বলয়ে রাজনীতি করেন।

জানাগেছে, মাহামুদল্লাহর পরকীয়ায় একাধিকবার বাধা দিলেও সে সরে না আসায় শেষ পর্যন্ত তার সামনেই শরীরে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা করলো স্ত্রী শামীমা। ৪ আগষ্ট ভোরে তিনি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

এর আগে গত ২৬ জুলাই রাতে সে স্বামীকে পরকীয়া প্রেমিকার বাড়ি থেকে ধরে এনে তার সামনেই শরীরে আগুন ঢেলে আত্মহত্যা করে।

নিহত শামীমা ফাতেহপুর ইউনিয়নের দক্ষিনপাড়া গ্রামের ইমান আলী মেম্বারের মেয়ে। জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্ল্যাহ উপজেলার শিবপুর থানা সংলগ্ন হালিম মোক্তারের ছেলে।

সে উপজেলার এক নারীর সাথে দীর্ঘদিন ধরেই পরকীয়ায় লিপ্ত বলে নিহতের ভাই থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবু অভিযোগ করেছেন। ওই নারীর স্বামী মালয়েশীয়া প্রবাসী।

হাবিবুর রহমান হাবু অভিযোগ করেন, এর আগেও একাধিকবার পরকীয়া করায় মাহামুদুল্লাহকে সতর্ক করেছিল শামীমা। এর আগেও ৩ বার আত্মহত্যার চেষ্টা করে স্বামীকে এ পথ থেকে ফেরাতে চায় শামীমা। সর্বশেষ ঈদের আগে ২৬ তারিখ রাতে সে স্বামীকে নারীর ঘর থেকে পরকীয়ারত অবস্থা থেকে ধরে নিয়ে আসে। পরে স্বামীর সাথে এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে রাতে সে শরীরে দুবার আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সেখানের ডাক্তাররা জানায় তার দেহের ৪০ শতাংশ পুরোই পুড়ে গিয়েছিল। মঙ্গলবার ৪ আগষ্ট ভোরে সে মারা যায়।

তবে এ ব্যাপারে মাহামুদুল্লাহর দাবি- অভিযোগ সত্য নয়। দূর্ঘটনাবশত তার দেহে আগুন লেগে যায়। পরে আমি দ্রুত তাকে হাসপাতালে ভর্তি করি।

আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, নিহতের পরিবার কোন অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করা হবে।