তৈমূর আলমের নির্দেশে বন্দরে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের নির্দেশে নারায়ণগঞ্জের বন্দরে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করেছে যুবদলের নেতাকর্মীরা। ২৭ জুুলাই সোমবার বন্দরের বিভিন্ন এলাকায় এই বৃক্ষ রোপণ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন যুবদল নেতা আমির হোসেন, নজরুল ইসলাম, আলী নওলাদ তুষার ও কাজী সোহাগ প্রমূখ।

এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, এই কর্মসূচির দ্বারা আমার কোনো উদ্দেশ্য নেই। আমি চাচ্ছি দেশের মানুষগুলো ভাল রাখার জন্য পরিবেশ রক্ষায় যেন সবাই সচেতন হয়। এজন্য মানসম্মত গাছ বিতরণের চেষ্টা করছি। যাতে করে প্রত্যেকটি গাছই যেন বাঁচে এবং ফুল ফলে যেন সুশোভিত হয় আমাদের পরিবেশ।

তিনি আরও বলেন, আমার লক্ষ্য হচ্ছে আমার এই কর্মসূচির অনুসরণ করে যেন অন্যরাও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালনে উৎসাহিত হয়। এবার আমি ৩০ হাজার বৃক্ষ রোপন করছি। আগামী বছর আরও বেশি বৃক্ষ রোপণ করা চেষ্টা করবে। আমার এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

এর আগে কর্মসূচির শুরুতেই তৈমূর আলম খন্দকার জানিয়েছিলেন, করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে সামাল দিতে অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের থিওরি ‘একটি বাড়ি একটি খাদ্য ভান্ডার’ এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় ১ হাজার স্বেচ্ছাসেবী কর্মীর মাধ্যমে বিভিন্ন প্রজাতির ৩০ হাজার চারা গাছ রোপণ কর্মসূচি শুরু করেছেন তিনি। ইতিমধ্যে ৮ হাজার বৃক্ষ রোপন শেষ পর্যায়ে। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ, সিদ্ধিরগঞ্জ, বন্দর ও ফতুল্লার বক্তাবলী এলাকায় মাসব্যাপী এই কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট এপিলেট ডিভিশনের আইনজীবী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার জানান, ইতিমধ্যে রাজশাহী থেকে উন্নত জাতের আমের চারা আনা হয়েছে যা রোপন করা হচ্ছে। ৩ হাজার আম গাছের চারা রাজশাহী থেকে আনা হয়েছে। যা জেলার বিভিন্ন এলাকায় রোপন করা হচ্ছে এবং তার রক্ষণাবেক্ষণ করবেন টিমের সদস্যরা। এই কাজে সহযোগীতা করবেন ১ হাজার স্বেচ্ছাসেবী কর্মী। যারা সকলে টি-শার্ট পরিধান করে কাজ করবেন। সেজন্য ১ হাজার টি-শার্ট তৈরি করা হয়।

তিনি আরও জানান, এসব গাছ বিভিন্ন মসজিদ মাদ্রাসা বিদ্যালয় সহ রাস্তার দুইপাশে রোপণ করা হবে। এ ছাড়াও যেখানে খালি থাকবে সেখানেই চারা রোপণ করা হবে। ১ হাজার কর্মীরাও এসব গাছ রক্ষণাবেক্ষণে কাজ করবে। মোট কথা করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে মানুষের যে খাদ্যের সংকট দেখা দিবে সেই সংকট মোকাবেলায় একটি বাড়ি একটি খাদ্য ভান্ডার থিওরি নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছি।