টার্গেট ৩০ হাজার বৃক্ষ রোপণ: উন্নতমানের চারার খোঁজে বন বিভাগে তৈমূর আলম

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

‘একটি বাড়ি, একটি খাদ্যভান্ডার’ স্লোগানে করোনা পরবর্তী পরিস্থিতি সামাল দেয়ার লক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় ৩০ হাজার গাছের চারা রোপণ কর্মসূচি পালন করছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। ইতিমধ্যে বন বিভাগ থেকে চারা সংগ্রহ করেছেন তিনি। কিন্তু চারাগুলো সন্তোষজনক না হওয়ায় আবারো বন বিভাগে গিয়ে চারাগুলো পরিদর্শন করেন। উন্নতমানের চারা সরবরাহ করার জন্য বন বিভাগকে অনুরোধ করেন তিনি।

অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার দাবি করেন- এই কর্মসূচি তিনি নামমাত্র কিংবা ফটোশেসনের কর্মসূচি করতে চান না। ৩০ হাজার গাছের চারার মধ্যে যেন ৩০ হাজারই রোপন করা হয় এবং প্রত্যেকটিই যেন ভালভাবে রোপণ করা হয় সেভাবেই তিনি প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সেই সাথে বিতরণকৃত প্রত্যেকটি গাছের চারা যেন সবল হয় এবং রোপণের পর যেন মারা না যায় সেজন্য তৈমূর আলম খন্দকার নিজে গিয়ে গাছের চারা মান যাচাই করছেন।

দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে তিনি গাছের চারা সংগ্রহণ করছেন। তারই ধারাবাহিকতায় মানসম্মত গাছের চারার যাছাইয়ের লক্ষ্যে ২৮ জুলাই মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ বন বিভাগে গিয়ে চারা দেখে এসেছেন। এর আগেও তিনি এখান থেকে গাছের সংগ্রহ করেছিলে। কিন্তু সেগুলোর মান তেমন ভাল না হওয়াই এবার তৈমূর আলম খন্দকার নিজে গিয়ে গাছের চারা দেখে আসছেন।

এসময় বন বিভাগের কর্মকর্তা মোঃ আবু মুন্না তৈমূর আলম খন্দকারকে আশ^স্ত করেছেন চাহিদা অনুযায়ী গাছের চারা সরবরাহ করার চেষ্টা করবেন।

অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, এই কর্মসূচির দ্বারা আমার কোনো উদ্দেশ্য নেই। আমি চাচ্ছি দেশের মানুষগুলো ভাল রাখার জন্য পরিবেশ রক্ষায় যেন সবাই সচেতন হয়। এজন্য মানসম্মত গাছ বিতরণের চেষ্টা করছি। যাতে করে প্রত্যেকটি গাছই যেন বাঁচে এবং ফুল ফলে যেন সুশোভিত হয় আমাদের পরিবেশ।

তিনি আরও বলেন, আমার লক্ষ্য হচ্ছে আমার এই কর্মসূচির অনুসরণ করে যেন অন্যরাও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালনে উৎসাহিত হয়। এবার আমি ৩০ হাজার বৃক্ষ রোপন করছি। আগামী বছর আরও বেশি বৃক্ষ রোপণ করা চেষ্টা করবে। আমার এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

এর আগে কর্মসূচির শুরুতেই তৈমূর আলম খন্দকার জানিয়েছিলেন, করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে সামাল দিতে অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের থিওরি ‘একটি বাড়ি একটি খাদ্য ভান্ডার’ এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় ১ হাজার স্বেচ্ছাসেবী কর্মীর মাধ্যমে বিভিন্ন প্রজাতির ৩০ হাজার চারা গাছ রোপণ কর্মসূচি শুরু করেছেন তিনি। ইতিমধ্যে ৮ হাজার বৃক্ষ রোপন শেষ পর্যায়ে। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ, সিদ্ধিরগঞ্জ, বন্দর ও ফতুল্লার বক্তাবলী এলাকায় মাসব্যাপী এই কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট এপিলেট ডিভিশনের আইনজীবী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার জানান, ইতিমধ্যে রাজশাহী থেকে উন্নত জাতের আমের চারা আনা হয়েছে যা রোপন করা হচ্ছে। ৩ হাজার আম গাছের চারা রাজশাহী থেকে আনা হয়েছে। যা জেলার বিভিন্ন এলাকায় রোপন করা হচ্ছে এবং তার রক্ষণাবেক্ষণ করবেন টিমের সদস্যরা। এই কাজে সহযোগীতা করবেন ১ হাজার স্বেচ্ছাসেবী কর্মী। যারা সকলে টি-শার্ট পরিধান করে কাজ করবেন। সেজন্য ১ হাজার টি-শার্ট তৈরি করা হয়।

তিনি আরও জানান, এসব গাছ বিভিন্ন মসজিদ মাদ্রাসা বিদ্যালয় সহ রাস্তার দুইপাশে রোপণ করা হবে। এ ছাড়াও যেখানে খালি থাকবে সেখানেই চারা রোপণ করা হবে। ১ হাজার কর্মীরাও এসব গাছ রক্ষণাবেক্ষণে কাজ করবে। মোট কথা করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে মানুষের যে খাদ্যের সংকট দেখা দিবে সেই সংকট মোকাবেলায় একটি বাড়ি একটি খাদ্য ভান্ডার থিওরি নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছি।