পিটুনিতে পিছু হটেছিল মোশারফ-মুকুল, দখলে রাখলো টিটু-খোকন!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের বাহিরে বন্দরের ৫টি ইউনিয়ন দখলে রেখেছিল মহানগর যুবদল। সেখানে যুবদলের কমিটিও দিয়েছিল মহানগর কমিটি। এর আগে ২০১৪ সালের নির্বাচনের পূর্বে ৫টি ইউনিয়ন নিয়ে কমিটি গঠনের চেষ্টা করেছিল তৎকালীন জেলা যুবদলের সভাপতি মোশারফ হোসেন ও সেক্রেটারির শাহআলম মুকুল। যুবদলের এক নেতাকে পিটুনির পর বন্দরের ৫টি ইউনিয়ন ছেড়ে দিয়েছিলেন তারা। তবে এবার নিজেদের দখলে রেখেছে জেলা যুবদলের বর্তমান সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু ও সেক্রেটারি গোলাম ফারুক খোকন।

জানাগেছে, গত ২৩ জুলাই কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম নীরব ও সেক্রেটারি সুলতান সালাউদ্দীন টুকু এক চিঠির মাধ্যমে নির্দেশনায় জানিয়েছেন বন্দরের ৫টি ইউনিয়ন এলাকা জেলা যুবদলের আওতাধীন থাকবে। এমন ঘোষণার পর ২৫ জুলাই শনিবার সকালে বন্দর উপজেলা যুবদলের নেতাকর্মীরা সন্তোষ প্রকাশ করে শোকরানা দোয়া মাহফিল করেছেন।

ঘটনা সূত্রে জানাগেছে, ২০১৪ সালের নির্বাচনের পূর্বে ঢাকায় বিএনপির এক সমাবেশে বন্দর উপজেলা যুবদলের ব্যানারে তৎকালীন বন্দর থানা ছাত্রদলের সভাপতি মহিউদ্দীন শিশির যুবদলের নেতাকর্মীদের নিয়ে ঢাকায় মিছিল নিয়ে যোগদান করেছিলেন। ওই সময় কমলাপুর এলাকায় মহানগর যুবদলের বর্তমান সভাপতি মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের নেতৃত্বে মহিউদ্দীন শিশিরকে মারধর করা হয়।

ওই ঘটনার পরদিন বন্দরে এক প্রতিবাদ সভা করেছিলেন বন্দর থানা বিএনপির নেতাকর্মীরা। বন্দর থানা বিএনপির সেক্রেটারি মাজহারুল হক হিরন ও কেন্দ্রীয় ওলামাদলের বর্তমান সহ-সভাপতি মুন্সী সামসুর রহমান খান বেনুও সেই প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন। ওই দিন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার ও মাকসুুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের কুশপুত্তলিকাদাহ করা হয়েছিল।

এসব ঘটনার পর বন্দরের ৫টি ইউনিয়ন এলাকার নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দেন মোশারফ হোসেন ও শাহআলম মুকুল। যেখানে পরবর্তীতে বন্দর উপজেলা যুবদলের কমিটি দেন খোরশেদ। কমিটিতে রয়েছেন সভাপতি মনিরুল ইসলাম মনু, সেক্রেটারি শহিদুল ইসলাম রিপন ও সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ ইব্রাহীম। একইভাবে সিটি কর্পোরেশনের ভেতরে কদমরসূল পৌর এলাকা নিয়ে বন্দর থানা যুবদলের কমিটি দেন খোরশেদ। এই কমিটিতে সভাপতি আমির হোসেন, সেক্রেটারি আহম্মদ আলী ও সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয় আলী নওশাদ তুষারকে। ২৫ জুলাই শনিবার খোরশেদের দেয়া কমিটির নেতারাই শোকরানা দোয়া মাহফিল করেছেন।

এর আগে গত ২০১৯ সালের ৫ এপ্রিল মহানগর যুবদলের ২০১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় যুবদল। তারও আগে কমিটিতে সভাপতি মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, সেক্রেটারি পদে মমতাজ উদ্দীন মন্তু, সিনিয়র সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেন শোখন, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাগর প্রধান ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে রশিদুর রহমান রশুকে নিয়ে সুপার ফাইভ কমিটি ঘোষণা করা হয়। তার আগের কমিটিতেও আহ্বায়ক ছিলেন খোরশেদ ও সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন সানোয়ার হোসেন।

পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের পর গত বছরের ৬ এপ্রিল নজরুল ইসলামকে আহ্বায়ক ও শাহাদুল্লাহ মুকুলকে সদস্য সচিব করে ৯০ দিনের জন্য বন্দর উপজেলা যুবদলের ১৯ সদস্যের আহবায়ক কমিটি অনুমোদন করেছিলেন সভাপতি মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ ও সাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন মন্তু। ১২ ঘন্টার মধ্যে কেন্দ্রীয় যুবদলেরর নির্দেশনায় এই কমিটি স্থগিত করে মহানগর যুবদল। অবশেষে সেই ৫টি ইউনিয়ন এখন জেলা যুবদলের আওতাধীন।