তৈমূর আলমের উদ্যোগে নারায়ণগঞ্জ শহরে দ্বিতীয় দফায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের উদ্যোগে নারায়ণগঞ্জ শহরের বাস টার্মিনাল এলাকায় দ্বিতীয় দফায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

করোনা পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় তৈমূর আলম খন্দকারের ‘একটি বাড়ি একটি খাদ্য ভান্ডার’ কনসেপ্টের ৩০হাজার বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি জেলা জুড়ে অব্যাহত রয়েছে। ইতিমধ্যে জেলার বিভিন্ন এলাকায় ৮ হাজার বৃক্ষরোপণ সম্পন্ন হয়েছে।

ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে ২৪ জুলাই শুক্রবার নারায়ণগঞ্জ বাস টার্মিনাল এলাকায় শ্রমিকদলের উদ্যোগে আম, জাম, কাঠাল ও পেয়ারা গাছ বৃক্ষ রোপন করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর পরিবহন শ্রমিক দলের সভাপতি মোঃ ফারুক হোসেন, জেলা পরিবহন শ্রমিক দলের সহ-সভাপতি মোঃ সেলিম হোসেন, জেলা পরিবহন শ্রমিক দলের সহ-সম্পাদক মোঃ বিল্লাল হোসেন, সহ-সাধারণ সম্পাদক মোঃ জামাল, ৯নং ওয়ার্ড শ্রমিক দলের সভাপতি মোঃ মামুন হোসেন, মোঃ সবুজ, সহ-সভাপতি মোঃ আলী সহ পরিবহন শ্রমিক দলের অন্যান্য নেতাকর্মীরা।

অন্যদিকে করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে সামাল দিতে অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের থিওরি ‘একটি বাড়ি একটি খাদ্য ভান্ডার’ এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় ১ হাজার স্বেচ্ছাসেবী কর্মীর মাধ্যমে বিভিন্ন প্রজাতির ৩০ হাজার চারা গাছ রোপণের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ, সিদ্ধিরগঞ্জ, বন্দর ও ফতুল্লার বক্তাবলী এলাকায় মাসব্যাপী এই কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে।

২ জুলাই বৃহস্পতিবার মিডিয়াতে এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট এপিলেট ডিভিশনের আইনজীবী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার এ তথ্য জানান।

তিনি আরও জানান, ইতিমধ্যে রাজশাহী থেকে উন্নত জাতের আমের চারা আনা হয়েছে যা রোপন করা হচ্ছে। ৩ হাজার আম গাছের চারা রাজশাহী থেকে আনা হয়েছে। যা জেলার বিভিন্ন এলাকায় রোপন করা হচ্ছে এবং তার রক্ষণাবেক্ষণ করবেন টিমের সদস্যরা। এই কাজে সহযোগীতা করবেন ১ হাজার স্বেচ্ছাসেবী কর্মী। যারা সকলে টি-শার্ট পরিধান করে কাজ করবেন। সেজন্য ১ হাজার টি-শার্ট তৈরি করা হয়।

তিনি আরও জানান, এসব গাছ বিভিন্ন মসজিদ মাদ্রাসা বিদ্যালয় সহ রাস্তার দুইপাশে রোপণ করা হবে। এ ছাড়াও যেখানে খালি থাকবে সেখানেই চারা রোপণ করা হবে। ১ হাজার কর্মীরাও এসব গাছ রক্ষণাবেক্ষণে কাজ করবে। মোট কথা করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে মানুষের যে খাদ্যের সংকট দেখা দিবে সেই সংকট মোকাবেলায় একটি বাড়ি একটি খাদ্য ভান্ডার থিওরি নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছি।