সোনারগাঁয়ে দুই গ্রুপের ভূমিদস্যূতা, যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার বারদী ইউনিয়নের শান্তিরবাজার এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ডাকাত সর্দার হাবিবুর রহমান হাবু ও তার ছেলে আশিক সহ একটি সন্ত্রাসী বাহিনী বারদি ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি আমিনুল ইসলামকে কুপিয়ে জখম করেছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন- এলাকায় দুটি গ্রুপই ভূমিদস্যূতায় জড়িত। এসব ভূমিদস্যূদের কারনে শান্তিরবাজারে এখন অশান্তি।

১২ জুলাই রবিবার দুপুরে শান্তিরবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত যুবলীগ নেতাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় সোনারগাঁও থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে আহতের পরিবার।

স্থানীযদের সূত্রে, উপজেলার শান্তিরবাজার এলাকায় একটি জমি নিয়ে ডাকাত সর্দার হাবিবুর রহমান হাবু, ফারুক মেম্বার, সানু মেম্বার, আমজাদ হোসেন ও সানাউল্লাহ সিন্ডিকেট ও আব্দুল মতিনের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে।

এ নিয়ে শনিবার সকালে সোনারগাঁও থানায় একটি বিচার শালিস বসে। শালিসে সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন সহ ওই এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

শালিসী বৈঠকে আব্দুল মতিনের পক্ষে সকল কাগজপত্র সঠিক পায় বলে দাবি করে সালিশকারীরা। তবে শালিসকারীরা দুই পক্ষের লোকজনদের কাছ থেকে বিশেষ সুবিধা নিয়ে এসব শালিসি বৈঠক করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন সরেজমিনে তদন্ত করে শালিসি বিচারের রায় দেবেন বলে বৈঠকে জানানো হয়।

এদিকে রবিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন সরেজমিনে ওই জমির দেখতে যান। ওই জমির মালিক আব্দুল মতিনের পক্ষে যুবলীগ নেতা আমিনুল ইসলাম কথা বলার কারনে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন জমির স্থান ত্যাগ করার পর যুবলীগ নেতা আমিনুল ইসলামকে একা পেয়ে ডাকাত সর্দার হাবু ও তার ছেলে আশিক সহযোগী শাহজালাল ও ডালিম সহ ১০-১২ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র রামদা, ছোরা, চাপাতি, চাইনিজ কোড়াল ও লোহার রড দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়।

ঘটনাস্থল থেকে এলাকাবাসী মারাত্মক আহত অবস্থায় আমিনুলকে উদ্ধার করে সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পর তার অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, ডাকাত সর্দার হাবু ওই এলাকার ত্রাস সৃষ্টি করে মানুষের জমি দখল থেকে শুরু করে বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জহিরুল হকের প্রভাবে সে ওই এলাকায় অপকর্ম করে বেড়ায়। ডাকাত সর্দার হাবুর বিরুদ্ধে সোনারগাঁ থানাসহ বিভিন্ন থানায় ডাকাতি, চুরি, মাদক, অস্ত্রসহ ১৯টি মামলা রয়েছে।

সোনারগাঁও থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পাওয়া গেছে, তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।