সোনারগাঁবাসীর প্রতি প্রশ্ন রাখলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুুল ইসলামের বিরুদ্ধে যখন ৪ হাজার ৫’শ টাকার দূর্নীতির অভিযোগ তুলে উচ্চপদস্থ দপ্তরে একজন ঠিকাদার লিখিত অভিযোগ করেছেন তখন বিভিন্ন প্রমাণাদি দেখিয়ে সোনারগাঁবাসীর প্রতি প্রশ্ন রেখেছেন কে আসল দূর্নীতিবাজ? ২৫ জুন বৃহস্পতিবার উপজেলা প্রশাসনের ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাজ পোস্টের মাধ্যমে বিষয়টি পরিষ্কার করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। তিনি প্রশ্ন রেখে লিখেছেন, সোনারগাঁয়ে কে আসল দূর্নীতিবাজ?

তিনি লিখেন, আমার প্রিয় সোনারগাঁবাসী,

আপনারা নিশ্চয়ই পত্রিকা মারফত অবগত হয়েছেন যে, আপনাদের ইউএনও একজন মহা দূর্নীতিবাজ!! এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বিরুদ্ধে দূর্নীতিদমন কমিশন সহ বিভিন্ন উর্ধ্বতন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ প্রেরণ করা হয়েছে। অভিযোগটির আদ্যপ্রান্ত ও প্রকৃত ঘটনা আপনাদের একজন সেবক হিসেবে আপনাদের জ্ঞাতার্থে সবিনয়ে তুলে ধরছি। যিনি অভিযোগ করেছেন তিনি একজন ঠিকাদার।

ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ

দুধঘাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চার কক্ষ বিশিষ্ট আধাপাকা একটি টিনশেড ভবন নিলামে বিক্রির জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। সর্বোচ্চ দরদাতা ২৫ হাজার ৫’শ টাকায় নিলামটি পেয়েছেন। যিনি দূর্নীতির অভিযোগ করেছেন তিনি দর দিয়েছিলেন ২১ হাজার টাকা। সর্বোচ্চ দরদাতাকে নিলামটি সরকারিভাবে প্রদান করে ২৫ হাজার টাকা চালানের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া হয় (ছবি সংযুক্ত)।

যিনি অভিযোগ করেছেন সেই ঠিকাদারের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস আপনাদের জন্য তুলে ধরছিঃ

১। অভিযোগে নাম ব্যবহার করা হয়েছে মোঃ মোরশেদ কিন্তু মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করা হয়েছে মোজাম্মেল হক এর (০১৮১২-১৫২৮৮১)।

২। ২০১৮ সালে কাঁচপুর হাইওয়ে থেকে মোশারফ চেয়ারম্যানের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তার কাজ না করেই বিল দাখিল করেন পিরোজপুর ইউনিয়নের মঙ্গলেরগাঁও গ্রামের ঠিকাদার মোঃ মোজাম্মেল হক এবং তাকে বিল না দেওয়ায় দুদকে মিথ্যা অভিযোগ করে সোনারগাঁয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলীকে গ্রেপ্তার করান।

৩। স্কুলে অতিব নিম্নমানের কাজ করায় এবং সঠিকভাবে কাজ বুঝে নিতে চাওয়ায় শাহচিল্লাহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগে থানায় জিডি দায়ের করেন।

৪। কাজ না করে বিল দাখিল করার কুখ্যাতি রয়েছে উক্ত ঠিকাদারের।

তিনি এসব বিষয় উত্থাপন করে লিখেছেন, এবার আপনারা বলুন কে আসল দূর্নীতিবাজ?

ইউএনও? অভিযোগকারী ঠিকাদার? যে সাংবাদিক যাচাই না করে অর্থের বিনিময়ে মনগড়া সংবাদ প্রকাশ করেছেন? নাকি যে প্রভাবশালী ব্যক্তি এই অভিযোগটি করিয়েছেন?

আপনাদের কাছে আমার ছোট্ট একটি প্রশ্ন সোনারগাঁয়ের ইউএনও যদি দূর্নীতি করতেই চায় তবে তাকে ৪ হাজার ৫’শ টাকার দূর্নীতি করতে হবে?

পুণশ্চঃ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা ও ঠিকাদারকে কালো তালিকাভুক্ত করার জন্য ইতোমধ্যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বাস রাখুন যারা সোনারগাাঁবাসীর অধিকারে এতটুকু হাত দেবে তারা কেউ ছাড় পাবেনা।
সুস্থ থাকুন, নিরাপদ থাকুন এই শুভকামনা সবসময়।’

এখানে উল্লেখ্যযে, করোনা পরিস্থিতিতে ব্যাপক ভুমিকা রেখে সোনারগাঁয়ের মানুষের মাঝে প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। সঙ্গত কারনে প্রভাবশালী কোন মহল তার এমন কর্মকান্ডে ইর্ষান্বিত হয়েছেন। গত ১০ জুন দ্বিতীয় দফায় উপজেলা পরিষদ কার্যালয় ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনের ১৭টি সিসি ক্যামেরা ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। এর আগেও একই ঘটনা ঘটে। একটি মটর সাইকেলও চুরি হয়। ইতিমধ্যে নির্বাহী কর্মকর্তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিও হেকারের কবলে পড়েছে।