আড়াইহাজারে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৩, উপসর্গ নিয়ে মৃতের সংখ্যা আরো বেশি

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

দিন দিন করোনা মহামারি নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে। ১৪ জুন রবিবার পর্যন্ত সরকারি হিসেবে এখন পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন ৩ জন। তবে করোনা উপসর্গ সহ অন্যান্য উপসর্গ নিয়ে এ পর্যন্ত আড়াইহাজারের অন্তত ১৩জন মৃত্যুবরণ করেছেন। এখানে মাত্র ১৮৪০ জনের স্যাম্পল সংগ্রহ করা হয়েছে। যেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৬৮ জন। ১৪ জুন রবিবার আড়াইহাজারকে ‘রেড জোন’ এর আওতায় আনা হয়েছে।

স্থানীয়দের সূত্রে জানাগেছে, করোনার উপসর্গ সহ অন্যান্য উপসর্গ নিয়ে গত ২৭ মে উপজেলার টেকপাড়া এলাকার মৃত আব্দুস সালামের ছেলে রিপন, ২৮ মে উপজেলার বাজবী তাঁতীপাড়া এলাকার মুল্লুক চাঁনের ছেলে মাওলানা আব্দুুর গাফফার ও ৩১ মে বিজয়নগর গ্রামের জাকারিয়ার স্ত্রী জোসনা আক্তার মৃত্যুবরণ করেন করেন।

একইদিন গোপালদী এলাকার মৃত আব্দুল নাঈমের ছেলে আব্দুল হালিম মৃত্যুবরণ করেন। তার হার্ট, কিডনি সমস্যা সহ করোনা উপসর্গ ছিল। ১ জুন আতাদি এলাকার মৃত মতিউর রহমান মোল্লার ছেলে আলমগীর মোল্লা করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করেন। তার বর্তমান ঠিকানা বড়বিয়ানচর।

এ ছাড়াও গোপালদী এলাকার ব্যবসায়ী আতাউর রহমান এবং কিডনি রোগ সহ জ¦র ঠান্ডা কাশি উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করেন কাপড় ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন।

নোয়াকান্দি গ্রামের মোশারফ হোসেনও মারা যান। জ্বর, ঠান্ডা, কাশি নিয়ে তিনি হয়ে ১জুন রাতে মারা যান। এ ছাড়াও দাইরাদী এলাকার আজিজুল হক মোল্লা, উলুকান্দি এলাকার মৃত মহানন্দ সাহার ছেলে প্রদীপ সাহা, বড়দিঘিরপাড়এলাকার মৃত কদম আলীর ছেলে এমএ আউয়াল, গোপালদী গাজিপুরা এলাকার আব্দুর রাজ্জাক, ব্রাক্ষন্দী পূর্বপাড়া এলাকার মানিক মিয়ার স্ত্রী আমেলা বেগম মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুবরণ করা এসব ব্যক্তিদের জ্বর ঠান্ডা কাশি শ্বাসকষ্ট ছাড়াও কিনডি সমস্যা, হার্টের সমস্যা সহ নানান সমস্যায় মৃত্যুবরণ করেছেন। মৃত্যুবরণের পর এদের অনেকের স্যাম্পল সংগ্রহ করা হয়নি। তারা করোনায় মৃত্যুবরণ করেছে নাকি অন্য কোন রোগে মৃত্যুবরণ করেছে সেটা জানতে পারেনি নিহতদের স্বজন ও স্থানীয়রা। ফলে মৃত ব্যক্তিদের আশপাশের লোকজন ভয়ে দিন কাটাচ্ছেন। অনেকেই স্বাভাবিক মৃত্যু বলেও চালিয়ে দিয়েছেন।