করোনার পরীক্ষা বাড়ালে সরকারের চরম ব্যর্থতা ফুটে ওঠবে: সাখাওয়াত

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

মহামারি করোনা পরিস্থিতিতে সরকারের পদক্ষেপ ও ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নারায়ণগঞ্জের আলোচিত আইনজীবী নেতা ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান।

তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি দিনকে দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে অথচ সরকারের সেদিকে কোন খেয়াল নেই। প্রতিদিনই করোনায় মৃতের সংখ্যা বাড়ছে, সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যাও। সরকার করোনা টেষ্টের সংখ্যা বাড়াচ্ছেনা। আরো বেশী পরিমানে টেষ্ট বাড়ানো গেলে করোনার প্রকৃত চিত্র উঠে আসতো, আর এতে করে করোনা মোকাবেলায় সরকারের ব্যর্থতার কাহিনী জনগণের সামনে প্রকাশ হয়ে যেতো। তাই সরকার টেষ্টের পরিমান বাড়াচ্ছেনা।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৯তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর সিদ্ধিরগঞ্জে ৮নং ওয়ার্ড বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের উদোগে আয়োজিত মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ১২ জুন শুক্রবার বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জের ৮নং ওয়ার্ডের তাঁতখানা এলাকায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

সাখাওয়াত হোসেন খান আরো বলেন, বর্তমান সরকার করোনা ভাইরাসকে মোকাবেলায় পুরোপুরিভাবে ব্যর্থ হয়েছে। চীনে যখন করোনা ভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পরেছে তখনই পৃথিবীর অনেক দেশ প্রতিরক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলো। সে সময় যেসব দেশ পূর্ব প্রস্তুতি নিয়েছিল তাদের আক্রান্তের পরিমান খুবই কম। কিন্তু আমাদের দেশের সরকার তখন ব্যস্ত ছিল তাদের বিভিন্ন অনুষ্ঠান বাস্তবায়নের কাজে। তাছাড়া সরকারের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এ ধরণের পরিস্থিতি মোকাবেলায় ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণা দিয়ে যুদ্ধ ক্ষেত্রে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন জিয়াউর রহমান এবং ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ছিনিয়ে এনেছিলেন লাল সবুজ পতাকার স্বাধীন বাংলাদেশ। স্বাধীনতার পরে যখন দেশে আবারো এক দলীয় বাকশালী দু:শাসন কায়েম করে দেশের মানুষের অধিকার হরণ করা হয়েছিলো, তখন দেশের সিপাহী জনতাকে সাথে নিয়ে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন জিয়াউর রহমান এবং গঠন করেছিলেন জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। কিন্তু ১৯৮১ সালের ৩০ মে একটি কুচক্রি মহল চট্রগ্রাম সর্কিট হাউজে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর সেনানী গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে। আমরা শহীদ জিয়ার সৈনিকেরা তার আদর্শ বাস্তবায়নে এখনো সংগ্রাম করে যাচ্ছি।

সাখাওয়াত বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্রের আপোষহীণ নেত্রী তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানের দিক নির্দেশনায় আমরা করোনার বিপর্যস্ত সাধারণ মানুষের পাশে এসে দাড়িয়েছি। আমাদের সামর্থ অনুযায়ী আমরা চেষ্টা করছি আপনাদের পাশে এসে দাড়াতে। আপনারা মানবতার মা বেগম খালেদা জিয়া ও তার পুত্র তারেক রহমানের জন্য আল্লাহর দরবারে দোয়া করবেন।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম মুসার সার্বিক তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত আয়োজনে আরো উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি মনির হোসেন খান, বন্দর থানা বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট বিল্লাল হোসেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর তাঁতীদলের আহবায়ক মীর আলমগীর হোসেন, সদস্য সচিব ইকবাল হোসেন, মহানগর যুবদলের কার্যকরী সদস্য সম্রাট হাসান সুজন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর তাঁতীদলের যুগ্ম আহবায়ক অপু রহমান, হযরত আলী, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা তাঁতীদলের আহবায়ক তাইজুল ইসলাম, বন্দর থানা তাঁতীদলের যুগ্ম আহবায়ক হানিফ খান, তাঁতীদল নেতা ইউনুস, টিটুসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

এ সময় করোনা ভাইরাস থেকে মানবজাতির মুক্তি কামনায়, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বিদেহী আত্মার শান্তি, বিএনপির চেয়ারপার্সণ বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সুস্থ্যতা কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয় এবং অসহায় দুস্থ্যদের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়।