বিশেষ ওএমএস কিউ-আর কার্ড, মোবাইল অ্যাপস উদ্বোধন করলেন ইউএনও নাহিদা বারিক

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণের কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অসহায়, নিম্নমধ্যবিত্ত, দিনমজুর, শ্রমিক এবং বিভিন্ন পেশার অভাবগ্রস্থ মানুষের মাঝে সরকারি সহায়তা হিসেবে খাদ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক পরিচালিত ‘বিশেষ ওএমএস’ কিউ-আর কার্ড এবং মোবাইল অ্যাপস উদ্বোধন করেছেন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা বারিক।

২৩মে শনিবার সকাল ১০টায় নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে একযোগে এ কিউ-আর কার্ড এবং মোবাইল অ্যাপস এর সহায়তায় কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন তিনি।

এ সময় তিনি বলেন, সরকারি সহায়তা ব্যবস্থাপনা সিস্টেম অ্যাপসের মাধ্যমে উপজেলার কুতুবপুর, ফতুল্লা, এনায়েতনগর এবং কাশীপুর ইউনিয়নের সর্বমোট ৫ হাজার জন উপকারভোগীর মাঝে এবং ৪জন ডিলারের মাধ্যমে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ‘বিশেষ ওএমএস’ এর ২০ কেজি চাল ১০ টাকা দরে এককালীন প্রত্যেক তালিকাভুক্ত উপকারভোগীর মাঝে বিক্রি করা হবে। উক্ত অ্যাপস এর মাধ্যমে ডিলার স্মার্টফোন ব্যবহার করে উপকারভোগীর কার্ড এর কিউ-আর কোড স্ক্যান করার মাধ্যমে উপকারভোগীর মাঝে চাল বিক্রি ডিজিটাল পদ্ধতিতে সম্পন্ন করছেন এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেই তথ্য সার্ভারে চলে যাচ্ছে। সেন্ট্রাল ড্যাশবোর্ড ও রিপোর্টিং সিস্টেম থাকায় আপডেটেড বিতরণ তথ্য সরাসরি উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ অফিসে বসে মনিটরিং করতে পারছেন।

‘সরকারি সহায়তা ব্যবস্থাপনা সিস্টেম’ ব্যবহার করে আজ ৪টি ইউনিয়নের উপকারভোগীর মাঝে ‘বিশেষ ওএমএস’ এর চাল বিক্রি করা হয়েছে।

‘সরকারি সহায়তা ব্যবস্থাপনা সিস্টেম’ অ্যাপস ব্যবহারের মাধ্যমে সরকারি সহায়তা ডিজিটাল উপায়ে অভাবী মানুষের কাছে পৌঁছাবে যার মাধ্যমে সরকারি সহায়তা বিতরণে বিভিন্ন অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতি ঠেকানো যাবে। এ পদ্ধতিতে যেমন তালিকাভুক্ত ব্যক্তির বাইরে অন্য কেউ কিউ-আর কার্ড ব্যতিত চাল কিনতে পারবে না তেমনি ডিলাররাও নির্দিষ্ট পরিমাণ চাল নির্দিষ্ট সময়ের জন্য একের অধিক উপকারভোগীর মাঝে বিক্রি করতে পারবেন না। এছাড়াও ডিলারদের কাছে ওজন মাপার মেশিন সরবরাহ করা হয়েছে যার মাধ্যমে সঠিক মাপে চাল বিতরণ নিশ্চিত হচ্ছে।

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা প্রশাসন, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বার, ইউপি সচিব, ইউডিসি উদ্যোক্তা সকলের সম্মিলিত প্রয়াসে অত্যন্ত অল্প সময়ের মধ্যে কিউ-আর কার্ড এবং ‘সরকারি সহাব্যবস্থাপনা সিস্টেম’ ব্যবহার করে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ‘বিশেষ ওএমএস’ চালু হওয়ার ফলে বিভিন্ন অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির ইতি ঘটবে।