সাখাওয়াতের ঈদ উপহার বন্দরের নেতাকর্মীদের ঘরে পৌছে দিচ্ছেন শাহিন

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

মহামারি করোনা পরিস্থিতিতে চলে আসছে ঈদ উল ফিতর। এমন পরিস্থিতিতে নারায়ণগঞ্জের বন্দরের সমস্যায় থাকা নেতাকর্মীরে ঘরে ঘরে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করেছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান। গত ১৯ মে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার মুসাপুর ইউনিয়নে কয়েকশ নেতাকর্মীর মাঝে ঈদ উপহার নিজ হাতে বিতরণ করেন সাখাওয়াত হোসেন খান। সেই সঙ্গে পরবর্তীতে সাখাওয়াত হোসেন খানের ঈদ উপহার সামগ্রী আরও অন্যান্য নেতাকর্মীদের বাসায় পৌছে দিচ্ছেন জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহিন আহম্মেদ। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন উপজেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ ইব্রাহীম।

জানাগেছে, বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনা ভাইরাসের পরিস্থিতির শুরু থেকেই অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান। সঙ্গে জনগণকে সচেতন করতে মাস্ক ও লিফলেট বিলি করেছিলেন শুরু থেকেই। সেই সঙ্গে তিনি সমস্যায় থাকা নেতাকর্মীদের পাশেও দাঁড়িয়েছেন। নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের নেতাকর্মীদের মাঝে ঈদ উপহার পাঠিয়েছেন তিনি।

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে বিএনপি নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়ান তিনি। গত ১৯মে মঙ্গলবার বিকেলে বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের মুছাপুর এলাকায় ৫টি ইউনিয়নের বিএনপির নেতাকর্মীদের হাতে ঈদ উপহার তুলে দেন নারায়ণগঞ্জের আলোচিত বিএনপির এই নেতা।

ওইদিন ঈদ উপহার বিতরণ শেষে অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছিলেন, বিএনপি হলো বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ এবং সবচেয়ে জনপ্রিয় দল। আর তাই গত ১৪ বছরের হামলা মামলা আর নির্যাতনেও বিএনপির প্রতি মানুষের ভালোবাসা এতোটুকু কমেনি বরং দিনকে দিন আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। করোনা ভাইরাসের কারনে বাংলাদেশের মানুষ অসহায় হয়েছে দুই মাস হলো, আর বিএনপির নেতাকর্মীরা অসহায় জীবন যাপণ করছে দীর্ঘ ১৪ বছর যাবত। তাই দেশের সাাধারণ জনগণের পাশাপাশি বিএনপির প্রাণ তৃণমূল নেতাকর্মীদের পাশেও দাড়াতে হবে।

তিনি আরও বলেন, মনে রাখতে হবে মাঠ পর্যায়ের এসব নেতাকর্মীদের ভালোবাসা আর ত্যাগের কারনেই এতো অত্যাচার অবিচারের পরেও টিকে আছে বিএনপি। তাই নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলাধীণ পাঁচটি ইউনিয়নের নেতাকর্মীদের প্রতি সামান্য ঈদ উপহারের ব্যবস্থা করেছি। আমাদের দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানের পক্ষ থেকে নেতাকর্মীদের প্রতি এটা আমার শুভেচ্ছা উপহার।

বন্দরের নেতাকর্মীদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, বর্তমানে প্রাণঘাতি নভেল করোনা ভাইরাসের কারনে মহামারি ছড়িয়ে পরেছে। এই মহামারি থেকে বাঁচতে হলে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। সেইসাথে ধৈর্য ধারনে করে আগামীর আন্দোলন সংগ্রামের জন্য মানসিক শক্তি ধরে রাখতে হবে এবং ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

ওইদিন উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক আপ্যায়ণ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট এইচএম আনোয়ার প্রধান, বন্দর উপজেলা যুবদলের সভাপতি মনিরুল ইসলাম মনু, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ ইব্রাহীম, জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহীন আহমেদ, যুবদল নেতা বাবুল মেম্বার ও মহানগর যুবদলের সদস্য সম্রাট হাসান সুজন সহ বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এখানে উল্লেখ্যযে, মহামারি করোনাভাইরাসে লকডাউনে যখন বিপাকে পড়েছেন নারায়ণগঞ্জের গরীব অসহায় দুুস্থ দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুুষগুলো। তখন এসব পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন নারায়ণগঞ্জের আলোচিত আইনজীবী নেতা ও মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান। নারায়ণগঞ্জে কয়েক দফা তিনি খাদ্য সামগ্রী ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেছেন।

করোনা পরিস্থিতিতে নিয়মিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ২১ মে বৃহস্পতিবার মহানগর তাঁতীদলের উদ্যোগে যুগ্ম আহ্বাযক এন.আর.বি মামুনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ৮নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ এনায়েতনগর এলাকায় ১২’শ গরীব অসহায় দুস্থ দিনমজুর খেটে খাওয়া পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ করেছেন অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান।

২০ মে বুধবার নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ৮নং ওয়ার্ডের মোল্লা বাড়ির মাজার এলাকায় নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আয়োজনে মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাগর প্রধানের উদ্যোগে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম মুসার সার্বিক তত্ত্বাবধানে ৮’শ পরিবারের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেছিলেন অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান।

১৮ মে সোমবার বিকেলে বন্দর থানা তাঁতী দলের সার্বিক তত্ত্বাবধানে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের বন্দরের ২৪নং ওয়ার্ডের ৩ হাজার গরীব অসহায় দুস্থ দিনমজুর খেটে খাওয়া পরিবারের মাঝে ঈদ সামগ্রী (আতপচাল, পোলাও চাল, ডাল, সেমাই ও চিনি) বিতরণ করেছিলেন তিনি।

গত ১৬ মে শনিবার সকালে নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর বন্দরের লক্ষণখোলা এলাকায় ২ হাজার গরীব অসহায় দুস্থ দিনমজুর খেটে খাওয়া পরিবারের মাঝে চাল ডাল সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছিলেন অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান।

গত ১৫ মে শুক্রবার সকালে নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর ১৭নং ওয়ার্ডের পাইকপাড়া এলাকায় মহানগর মহিলা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ডলি আক্তারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে দ্বিতীয় দফায় করোনা ভাইরাসে বিপর্যস্ত নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছিলেন অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান।

গত ৮ মে শুক্রবার মহানগরীর ১৭নং ওয়ার্ডের পাইকপাড়া ভূঁইয়াপাড়া এলাকায় প্রথম দফায় মহানগর যুবদল নেতা হৃদয় ভূঁইয়া ও মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম আহমেদ বাবুর তত্ত্বাবধানে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছিলেন তিনি।

গত ১০ মে রবিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর বন্দরে ২৩নং ওয়ার্ডে মহানগর তাঁতীদলের সদস্য সচিব ইকবাল হোসেনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে কয়েকশত পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছিলেন নারায়ণগঞ্জের আলোচিত এই আইনজীবী নেতা।

গত ৫ এপ্রিল রবিবার সকাল থেকে নারায়ণগঞ্জ শহরের উকিলপাড়া রেললাইন সহ বিভিন্ন এলাকায় গরীব অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এ ছাড়াও বন্দরের বিভিন্ন এলাকায় গরীব অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহ এসব খাদ্য সামগ্রী স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের কাছে পৌছে দেন। এসব খাদ্য সামগ্রী টিমওয়ার্কের মাধ্যমে বিএনপির নেতাকর্মীরা গরীব অসহায় মানুষের ঘরে ঘরে পৌছে দেন।

এ ছাড়াও গত ২৪ মার্চ নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ায় করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিএনপির লিফলেট বিতরণ ও মাস্ক বিতরণ করেছিলেন সাখাওয়াত হোসেন খান।

২৬ মার্চ নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৩নং ওয়ার্ডের মাসদাইর বাজার এলাকায় জেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এইচএম আনোয়ার প্রধানের উদ্যোগে ৫শতাধিক রিক্সাচালক ও পথচারী গরীব অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী ও মাস্ক বিতরণ করেছিলেন সাখাওয়াত হোসেন খান।

এখানে আরও উল্লেখ্যযে এসব কারনে নেতাকর্মীরা বলছেন- নারায়ণগঞ্জের বিএনপির রাজনীতিতে এক সাহসি নেতার নাম অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান। তার অদম্য সাহসিকতায় সাত খুনের ঘটনায় বাদী পক্ষের আইনজীবী এবং আইনজীবীদের নিয়ে আন্দোলন করে দেশব্যাপী যার পরিচিতি ছড়িয়ে যায়। বিএনপির আন্দোলন করতে গিয়ে মামলার শিকার শত শত নেতাকর্মীর আইনি সহায়তায় যিনি লড়াই করেন তিনি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত। মামলায় জর্জরিত নেতাকর্মীদের আস্থা ভরসাও তিনি। রাজপথেও রয়েছে তার সমান তালে ভুমিকা। রাজপথে আন্দোলন করতে গিয়ে হামলা মামলা নির্যাতন সহ বেশকবার কারাভোগের শিকার হয়েছেন তিনি। এবার মহামারি করোনা পরিস্থিতিতেও অসহায় জনগণের পাশে সেই সাখাওয়াত। করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে নারায়ণগঞ্জে যেসব বিএনপি নেতারা অসহায় জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছেন তাদের সবার আগে জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি।