দ্বিতীয় ধাপে আরো ৬ হাজার পরিবারে এমপি সেলিম ওসমানের উপহার

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

করোনা সংকট মোকাবেলায় রজমান মাসে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের আওতাধীন এলাকার প্রায় ২০ হাজার পরিবারের মাঝে সহযোগীতার ঘোষণার পর দ্বিতীয় ধাপে আরো ৬ হাজার পরিবারের মাঝে সেই সহযোগীতা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

যার পরিমান ৫৪ লাখ টাকা। এ নিয়ে ঘোষিত সহযোগীতার ১ কোটি ৮০ লাখ টাকার মাঝে দুই ধাপে ৯৯ লাখ টাকা সহযোগীতা প্রদান করা হয়েছে। তবে এরমাঝে প্রথম ধাপে প্রেরিত ১০টি ওয়ার্ডে ৫হাজার পরিবারের মাঝে পাঠানো আর্থিক সহযোগীতা বিকাশ একাউন্টে পাঠানো হয়েছে।

এরমধ্যে অনেকে বিকাশ একাউন্ট না খুলেই শুধুমাত্র মোবাইল নাম্বার প্রেরণ করায় ৩৪২ জনের কাছে সেই আর্থিক সহযোগীতা পৌছায়নি। যার তালিকা ওই ১০টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলদের কাছে প্রেরণ করা হয়েছে।

আগামী রোববারের মধ্যে সেগুলো সংশোধন করে পুনরায় প্রেরনের অনুরোধ জানানো হয়েছে। অন্যথায় তাদের বরাদ্দ বাতিল বলে গন্য হবে বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান। বৃহস্পতিবার ৭ মে দ্বিতীয় ধাপে ওই ৬ হাজার পরিবারের মাঝে আর্থিক সহযোগীতা প্রত্যেকের বিকাশ একাউন্টে পৌছে দেওয়া হয়েছে।

যার মধ্যে সিটি কর্পোরেশনের প্রতিটি কাউন্সিলরের মাধ্যমে ৫০০ জন করে মোট ৬জনের মাধ্যমে ৩হাজার জন্য এবং ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় ১হাজার জন করে মোট ৩টি ইউনিয়ন এলাকায় ৩হাজার জনকে প্রেরন করা হয়েছে।

সহযোগীতা প্রেরণ করা এলাকা গুলো হচ্ছে, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৫নং ওয়ার্ড, ১৬নং ওয়ার্ড, ২২নং ওয়ার্ড, ২৬নং ওয়ার্ড ও নারী কাউন্সিলরদের মাধ্যমে সংরক্ষিত ১৩,১৪,১৫ এবং ২৫,২৬,২৭নং ওয়ার্ড। ইউনিয়ন পরিষদগুলোর মধ্যে আলীরটেক, গোগনগর ও মদনপুর ইউনিয়ন।

এ ব্যাপারে সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান বলেন, অনেকের বিকাশ একাউন্ট না খুলেই আমার কাছে তালিকা প্রেরণ করা হয়েছে। যার ফলে ওই ৩৪২জন মানুষের কাছে সহযোগীতা পৌছে দেওয়া সম্ভব হয়নি। আমি তাদের কাছে দু:খ প্রকাশ করছি।

সেই সাথে আগামী রোববারের মধ্যে তাদের একাউন্ট গুলো খুলে আমার কাছে প্রেরণ করার জন্য প্রত্যেক কাউন্সিলরের কাছে লিখিত ভাবে প্রেরণ করা হয়েছে। আশা করছি নিভূল ভাবে তালিকা প্রেরণ করলে সকলের কাছে সঠিক সময়ে সহযোগীতা পৌছে দিতে পারবো।

উল্লেখ্য এমপি সেলিম ওসমানের ঘোষণা অনুযায়ী প্রথম ধাপে ৫ মে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১০জন কাউন্সিলরের মাধ্যমে ৫ হাজার পরিবারের কাছে সেই সহযোগীতা পৌছে দেওয়া হয়েছে। যার পরিমান ৪৫ লাখ টাকা।

প্রতিটি ওয়ার্ড এলাকায় ৫০০জন করে এই সহযোগীতা প্রদান করা হয়েছে। ওই ৫ হাজার মানুষের বিকাশ একাউন্ডে ২০ কেজি চালের সমপরিমান ৯০০ টাকা করে প্রত্যেকের বিকাশ একাউন্টে প্রেরন করা হয়েছে।

যেসকল ওয়ার্ড এবং যাদের মাধ্যমে প্রেরণ করা হয়েছে সেগুলো হলো, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জমশেদ আলী ঝুন্ট, ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শওকত হাশেম শকু, ১৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শফিউদ্দিন প্রধান, ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফয়সাল আহম্মেদ সাগর, ২০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর গোলাম নবী মুরাদ, ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন আহম্মেদ দুলাল প্রধান, ২৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আফজাল হোসেন, ২৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এনায়েত হোসেন, সংরক্ষিত ১১,১২ওয়ার্ড এর নারী কাউন্সিলর মিনুয়ারা বেগম এবং ১৮নং ওয়ার্ড এলাকায় কাউন্সিলর কবির হোসেনের না আসায় তার পরিবর্তে সাবেক কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্নার মাধ্যমে প্রেরিত বিকাশ একাউন্টে প্রত্যেককে ৯০০ টাকা করে মোট ৫ হাজার বিকাশ একাউন্টে মোট ৪৫ লাখ টাকা প্রেরণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় এমপি সেলিম ওসমান তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ২ কোটি ২৮ লাখ টাকার একটি প্যাকেজ ঘোষণা দিয়েছেন। যার মধ্যে তার নির্বাচনী এলাকার আওতাধীন ৭টি ইউনিয়ন ও সিটি কর্পোরেশনের ১৭টি ওয়ার্ড এলাকায় ২০ হাজার পরিবারের মাঝে প্রত্যেককে ২০ কেজি চালের সমপরিমান ৯০০ টাকা করে মোট ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা বিকাশ একাউন্টে প্রেরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

যার জন্য প্রতিটি কাউন্সিলর এবং চেয়ারম্যান মেম্বারদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এছাড়াও করোনা রোগীদের চিকিৎসা প্রদানকারী ডাক্তার নার্সদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ২০ লাখ টাকা ইতোমধ্যে প্রদান করা হয়েছে। বাকি ২৮ লাখ টাকায় প্রতিটি কাউন্সিলর এবং চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে প্রতিটি এলাকায় ২০জন করে শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতী মোট ৬০০জনকে সেচ্ছাসেবী হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার কর্মসূচী চলমান রয়েছে। যাদের প্রত্যেককে ৪৫০০ টাকা করে সম্মানী ভাতা প্রদান করা হবে।