সোনারগাঁয়ে লকডাউনে ইউপি চেয়ারম্যানের বিচার শালিস!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

লকডাউনে বিচার শালিস করেছেন নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ। বিচার শালিসে লকডাউন অমান্য করে জনসমাগম করে বিচার শালিস করেছেন তিনি। তবে চেয়ারম্যান দাবি করেছেন সেখানে অল্প সংখক লোক নিয়ে বৈঠকে বসেছেন। অনেক লোক বের করে দিয়েছেন পরিষদ কার্যালয় থেকে।
জানাগেছে, ৩০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় লকডাউন অমান্য করে তিনি জনসমাগম করে শালিস বৈঠকের আয়োজন করেছেন বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

শালিসী বৈঠকে বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ইসমাইল হোসেন, আবুল হোসেন, মজিবুর রহমান, বাদি বিবাদী সহ ওই এলাকার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ তার ইউনিয়নের সোনাময়ী, নগরজেয়ার ও রায়পুর গ্রামের একটি সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে এ বিচার শালিস ডাকেন ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে।

বিচার শালিসে ৩ গ্রাম রায়পুর, নগরজোয়ার ও সোনাময়ি এলাকার শতশত লোক অংশ নেয়। ওই বিচার শালিসে কোন রকম শারীরিক বা সামাজিক দূরত্ব বজায় ছিল না। এতে করো করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে যায়।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার মধ্যে সবচেয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের দিক থেকে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন। ইতোমধ্যে এ ইউনিয়নে ৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। নতুন করে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। আরো আক্রান্তের সম্ভাবনা রয়েছে। এ অদৃশ্য রোগের বিস্তার না ঠেকিয়ে লোক সমাগম করে চেয়ারম্যান এ ইউনিয়নের মানুষকে ঝুঁকির দিকে ঠেলে দিচ্ছেন।

তবে এ বিষয়ে বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. এম এ আব্দুর রউফ বলেন, কয়েকদিন আগে সোনাময়ী এলাকায় টেঁটা বল্লম নিয়ে একটি মারামারি হয়। এ বিচার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে গেলে তিনি আমাকে দায়িত্ব দেন। এ মারামারি মীমাংসা করতে গিয়ে বৈঠকে বসতে হয়েছে। না হলে এখানে মার্ডার হয়ে যেতো।
তিনি দাবি করেন, বৈঠকে তেমন লোকজন ছিল না। ছবিতে অনেক লোক দেখা গেছে এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি দাবী করেন, ওই সময়ে তিনি তার কক্ষে অবস্থান করেছিলেন।

তবে সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সাইদুল ইসলাম স্থানীয় মিডিয়া কর্মীদের কাছে বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। এমন ঘটনা ঘটে থাকলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।