সোনারগাঁয়ে যেভাবে মানবতার সেবায় একজন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলায় একটি পৌরসভা ও দশটি ইউনিয়ন। এসব এলাকার একজন মেয়র ও ১০ জন চেয়ারম্যান ছাড়াও জনপ্রতিনিধি হিসেবে পৌরসভায় রয়েছেন ৯জন কাউন্সিলর ও তিনজন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর। তেমনি প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে রয়েছেন আরও ১২ জন করে ওয়ার্ড মেম্বার (সদস্য) ও সংরক্ষিত নারী মেম্বার। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সহ আরও দুজন ভাইস চেয়ারম্যান।

পুুরো সোনারগাঁও উপজেলা নিয়ে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসন যেখানে এমপি হিসেবে রয়েছেন লিয়াকত হোসেন খোকা। মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারনে অর্ধাহারে অনাহারে থাকা দিনমজুর খেটে খাওয়া দুস্থ গরীব অসহায় মানুষের মাঝে কার কি ভুমিকা সেটা স্থানীয়রাই সবচেয়ে ভাল দেখছেন। যেখানে সোনারগাঁয়ে দিনরাত পরিশ্রম করছেন এমপি খোকা। হটলাইন চালু করেছেন তিনি যেখানে ফোনে কেউ খাদ্য সামগ্রীর অভাবের কথা জানালে এমপির পক্ষে খাদ্য সামগ্রী পৌছে যাচ্ছে মানুষের ঘরে ঘরে। এর আগে থেকেই এমপি নিজ হাতে রাতের আঁধারে ঘরে ঘরে গিয়ে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন। যে কারনে মানুষ তাকে সোনারগাঁয়ে বাংলার হাতেম তাঈ হিসেবেও আখ্যায়িত করেছেন।

স্থানীয় এমপি খোকার মতই তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানবতার সেবায় নেমেছেন সোনারগাঁয়ের একজন ইউপি চেয়ারম্যান। নিজ ইউনিয়ন পিরোজপুরে প্রতিদিন শত শত পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করছেন পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম। শুধু তাই নয় ২৫০ জন প্রতিবন্ধিদের মাঝেও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন। ৫০ জন হিজড়া সম্প্রদায়ের মাঝেও আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন তিনি। পিরোজপুর ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডের আনাচে কানাচে তার খাদ্য সামগ্রী পৌছে যাচ্ছে। শুধু তিনি তার ইউনিয়নের মানুষের মাঝেই নয় তিনি পুুরো সোনারগাঁয়ে খাদ্য সামগ্রী বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছেন। ইতিমধ্যে সোনারগাঁও পৌর এলাকায় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ শুরু করেছেন তিনি। দু’একদিনের মধ্যে তিনি বেদে সম্প্রদায়ের মাঝেও খাদ্য সামগ্রী বিতরণে নামবেন বলেও জানা গেল। খাদ্য সামগ্রীর কারো প্রয়োজন হলে তার হটলাইন নম্বরে যোগাযোগ করা হলেও তিনি খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিবেন বলেও ঘোষণা দিয়েছেন।

এই চেয়ারম্যান শুধু গরীব দিনমজুর খেটে খাওয়া দুুস্থ অসহায় মানুষের সেবাতেই নয়, যেসব মানুষ কারো কাছে হাতে পেতে চেয়ে নিতে পারেন না, তেমন মধ্যবিত্ত পরিবারের মাঝেও তিনি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। যা তিনি প্রকাশ করেন না। কারন তিনি খাদ্য সামগ্রী বিতরণকে ত্রাণ কিংবা অনুদান বলতে নারাজ। তিনি মনে করেন অনুদান হিসেবে নয় তিনি উপহার হিসেবে মানুষের পাশে এভাবে দাড়িয়েছেন। যেমনটা তিনি সোনারগাঁও থানা পুলিশ ও স্থানীয় সাংবাদিকদের পাশেও দাড়িয়েছেন।

স্থানীয় সাংবাদিকদের নিরাপত্তার স্বার্থে তিনি তাদের নিরাপত্তার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে সাংবাদিকদের মাঝে পিপিই প্রদান করেছেন। সেই সঙ্গে থানা পুুলিশের মাঝেও তিনি পিপিই প্রদান করেছেন। যা সোনারগাঁয়ের সচেতন মানুষের মাঝে ব্যাপক প্রসংশিত হয়েছে।

এ ছাড়াও সরকারি বরাদ্দকৃত ত্রাণ সামগ্রী তিনি প্রতিটি ওয়ার্ডের মেম্বারদের নিয়ে সুুষ্ঠুভাবে বিতরণ করছেন। সরকারি বরাদ্দ ইউনিয়নের মানুষের জন্য অপ্রতুল হওয়ায় সরকারি বরাদ্দের সঙ্গে ভর্তুকি দিয়ে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম। এসব কারনে সোনারগাঁয়ে যেসব ইউপি চেয়ারম্যান রয়েছেন তাদের চেয়ে বেশি আলোচিত ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম।

স্থানীয়রা বলছেন- করোনা প্রাদুর্ভাবের কারনে উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের প্রতিটি অসহায় ও হতদরিদ্র মানুষের মুখে খাবার তুলে দিতে দিন-রাত অব্যাহত চেষ্টা করে যাচ্ছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক ও পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মানুষ।

করোনা প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকে ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম পিরোজপুরবাসীকে সচেতন করতে লিফলেট মাস্ক, স্যানিটাইজার ও সুরক্ষা সামগ্রী প্রদান করা থেকে শুরু করে বাজার মনিটরিং, সাধারণ মানুষকে ঘরে থাকতে মাইকিং সহ নানামুখী কার্যক্রম পালন করেছেন তিনি।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম বলেন, মানুষ মানুষের জন্য। আজ পৃথিবী এমন একটি সময় পার করছি যা আমাদের প্রজম্ম দেখেনি। সারা পৃথিবীর এমন ক্রান্তিলগ্নে আমি একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে ঘরে বসে থাকতে পারিনা। আমি আমার যতটুকু সামর্থ আছে তা নিয়ে জনগণের পাশে দাড়াতে চাই। আল্লাহ যদি আমাকে কবুল করেন তাহলে আমি পিরোজপুর ইউনিয়নের একটি অসহায় পরিবারকেও না খেয়ে থাকতে দিব না। সেই লক্ষ্যেই আমি কাজ করে যাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আমার ৯টি ওয়ার্ডের মেম্বারদের হাতে ত্রান তুলে দিচ্ছি অসহায়দের মাঝে বিতরণ করতে। আমি নিজেও আমার আশপাশের সকল অসহায়দের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করছি। আমি জনগণের সেবার জন্য একটি হটলাইন নাম্বার ফেসবুকে দিয়ে দিয়েছি। কেউ যদি সে নাম্বারে কল করে তাহলে সাথে সাথে আমার লোক তার বাড়িতে খাবার পৌছে দিবে।

তিনি জানান, এছাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক হিসেবে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভায় ত্রাণ সামগ্রী পৌছে দিচ্ছেন। এ চেষ্টা তার ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি দাবি করেন।