সোনারগাঁয়ে চেয়ারম্যান মাসুমের উদ্যোগে খাদ্য সামগ্রী পাবে ৮ হাজার পরিবার

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দেশের সরকারি বেসরকারি সহ সকল প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এতে দিনমজুর নিম্ম আয়ের খেটে খাওয়া মানুষের জীবিকা নির্বাহের পথও বন্ধ হয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের গরীব অসহায় পরিবারগুলোর। এদের পাশে দাড়িয়েছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম। এবার তার উদ্যোগে উপজেলা আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে ৮ হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হবে।

শুরু থেকেই নিয়মিত তিনি গরীব অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করছেন। একই সঙ্গে তিনি করোনাভাইরাস প্রতিরোধে শুরু থেকেই জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে মাস্ক ও স্যানিটাইজার বিতরণে নেমেছিলেন। ৪ এপ্রিল শনিবার ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুুম ৭০ জন হিজড়া সম্প্রদায়ের মাঝে ৫০ হাজার টাকার অনুদানের চেক তুলে দেন এবং ২৫০ জন প্রতিবন্ধির মাঝেও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন। ৫ এপ্রিল রবিবার পিরোজপুর ইউনিয়নের তিনটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন তিনি। ৮ হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি।

ইতিমধ্যে তিনি পর্যাপ্ত খাদ্য সামগ্রী মজুদ করে সেগুলোকে প্যাকেট করেছেন। পিরোজপুরে তার ব্যক্তিগত গোডাউনে অর্ধশতাধিক শ্রমিক নিয়ে প্রতিদিন কাজ করছেন। এজন্য উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে খাদ্য সামগ্রীগুলো বিতরণ করতে সামান্য একটু বিলম্ব হচ্ছে বলে জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম বলেছেন, করোনাভাইরাসের প্রার্দূভাবের কারনে বেকার হয়ে পড়া উপজেলার ৮ অস্বচ্ছল পরিবারকে উপজেলা আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে খাদ্য সামগ্রী প্রদান করা হবে। আমরা ইতিমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। এক সাথে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ওয়ার্ড পর্যায়ে নামের তালিকা করে আমাদের আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে খাবারগুলো বিভিন্ন ইউনিয়নে পৌছে দিব। সেজন্য একটু বিলম্ব হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, এসব সামগ্রীর মধ্যে আমার পিরোজপুর ইউনিয়নে ১৫’শত পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করবো। আমি নিজে উপস্থিত হয়ে আমার ইউনিয়নে খাবারগুলো অসহায়দের মধ্যে বিতরণ করবো। এর আগেও আমরা সীমিত আকারে অসহায় প্রতিবন্ধী ও হিজড়াদের মধ্যে নগদ অর্থ ও খাবার সামগ্রী বিতরণ করেছি।