আজাদের খাদ্য সামগ্রী বিতরণে সংকট, না পেয়ে রিক্সাচালকের চোখে জল!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

ছাত্রদলের উদ্যোগে আড়াইহাজার উপজেলায় শিবপুর এলাকায় ১ এপ্রিল বুধবার দুপুরে অসহায় পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। তবে খাদ্য সামগ্রী না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে গরীব অসহায় মানুষ ফিরে গেছেন। অনেকেই বলেছেন, এটা খাদ্য সামগ্রী বিতরণের নামে ছিল আজাদ সহ অন্যদের ফটোসেশন। হাতে গোনা কয়েকজনের মাঝে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিয়েই কেটে পড়েন আয়োজকেরা।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ। জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি অছাত্র বিবাহিত মোহাম্মদ উল্লাহর সভাপতিত্বে থানা ছাত্রদলের নেতা মোবারক হোসেনের তত্ত্বাবধানে দরিদ্র অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

উপস্থিত ছিলেন- জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি লুৎফর রহমান আব্দু, থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডকাত সর্দার হাবিবুর রহমান হাবু, জেলা বিএনপির সাবেক যুব বিষয়ক সম্পাদক জুয়েল আহমেদ, থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হাসান বাচ্চু, থানা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক খাজা মাইনউদ্দিন, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, আড়াইহাজার পৌরসভা যুবদলের আহ্বায়ক কবির হোসেন, থানা ছাত্রদল নেতা মেহেদী হাসান, জহিরুল মোল্লা, সুমন মিয়া, আবুল বাশার সুমন, ছালাউদ্দিন সুমন, শওকত হোসেন পরাণ, বাকির মোল্লা, ইয়াছিন আরাফাত, খাইরুল ইসলাম রাসেল ও শ্যামল প্রমূখ।

খাদ্য সামগ্রীর আশায় এ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন শতশত দরিদ্র মানুষ। তারা খাদ্য সামগ্রী না পেয়ে ফিরে গেলেন। এতে তাদের মধ্যে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কেউ কেউ অশ্রুসিক্ত চোখে বিদায় নিয়েছেন। খাদ্য সামগ্রী না পাওয়া বেশকজন নারী ও পুরুষ বলেছেন আমাদেরকে দেয়া হয়নি।

তবে জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে সামন্য কিছু খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। লোক সমাগম বেশীয় হওয়ায় আমরা তাদেরকে কিছুই দিতে পারেনি।

এদিকে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা বাছেদ নামে এক রিকশা চালক বলেন, আমাদের ডেকে এনে খাদ্য সামগ্রী না দিয়েই আজাদসহ তার অনুগতরা চলে যান। তারা সামান্য কিছু খাদ্যের প্যাকেট নিয়ে এলাকায় এসে শতশত লোককে ডেকে না আনলেও পারতেন। এমন অনেকেই তার মতো ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে। এ ছাড়াও বেশকজন রিক্সাচালক দীর্ঘক্ষন লাইনে দাড়িয়েও খাদ্য সামগ্রী না পেয়ে কেঁদে ফেলেন।