অবশেষে হতদরিদ্র মানুষের পাশে দাড়ালেন সেলিম ওসমান

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

এতদিন তার শূন্যতার পর অবশেষে সাধারণ মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন এমপি একেএম সেলিম ওসমান। প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের প্রভাবে সারাদেশের মত নারায়ণগঞ্জেও যখন অচলাবস্থা, খেটে খাওয়া মানুষগুলো যখন বেকার হয়ে দিশেহারা তখন সেই সকল খেটে খাওয়া মানুষদের নীরবে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিলেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান।

পাশাপাশি সাধারণ রোগীরা যাতে হাসপাতালে গিয়ে ডাক্তারদের কাছ থেকে যথাযথ চিকিৎসা সেবা পায় সেই ব্যবস্থা করতে দুটি হাসপাতালের চিকিৎসকদের মাঝে পিপিই পোশাক প্রদান করেছেন।

৩০ মার্চ সোমবার নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের আওতাধীন ৭টি ইউনিয়ন এলাকায় ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ১৪০০ বস্তা (৭০ হাজার কেজি) চাল জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে বিতরণের জন্য পাঠানো হয়েছে। সেই সাথে নারায়ণগঞ্জের ২টি হাসপাতাল সহ বিভিন্ন স্থানে ২৪০ পিছ পিপিই পোশাক প্রেরণ করা হয়েছে।

প্রতিটি ইউনিয়ন এলাকায় চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে এলাকার হতদরিদ্র অসহায় মানুষদের মাঝে ওই সকল চাল বিতরণের জন্য লিখিতভাবে অনুরোধ জানিয়েছেন এমপি সেলিম ওসমান। প্রতিটি ইউনিয়ন এলাকায় প্রতিজনকে ১০ কেজি করে মোট ১ হাজার জনকে ১০ হাজার কেজি চাল বিতরণ করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

সব মিলিয়ে ৭টি ইউনিয়ন এলাকায় ৭ হাজার মানুষকে ৭০ হাজার কেজি চাল বিতরণের জন্য পাঠানো হয়েছে। সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের ব্যক্তিগত অর্থায়নে নির্মিত ৭টি ইউনিয়নে ৭টি স্কুলে ওই সকল চালের বস্তা পাঠানো হয়েছে। সেই সাথে প্রতিটি ইউনিয়ন এলাকায় ১০টি করে মোট ৭০টি পিপিই পোশাক পাঠানো হয়েছে।

সেই সাথে তিনি প্রেরিত চিঠিতে জনপ্রতিনিধিদের কাছে অনুরোধ করেন যাতে করে এলাকার হতদরিদ্র মানুষদের কাছে সেই সকল চাল পৌছে দেওয়া হয় এবং কোন অবস্থায় যাতে চাল বিতরন করতে গিয়ে জনসমাগম না ঘটে সেই দিকে বিশেষ দৃষ্টি রেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। প্রেরিত চালগুলো বর্তমানে কর্মহারা প্রতিটি মানুষের বাড়িতে বাড়িতে পৌছে দিতে প্রতিটি এলাকার চেয়ারম্যান, মেম্বার, স্কুল কমিটির নেতৃবৃন্দদের প্রতি সবিনয় অনুরোধ করেছেন।

অন্যদিকে পাশাপাশি তিনি খানপুর ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের জন্য ৫০পিছ, ১০০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জন্য ৩০ পিছ, জেলা প্রশাসকের জন্য ২০পিছ, জেলা পুলিশ সুপারের জন্য ২০পিছ, সদর উপজেলার নির্বার্হী কর্মকর্তার অফিসের জন্য ২৫পিছ এবং বন্দর উপজেলার নির্বার্হী কর্মকর্তার অফিসের জন্য ২৫পিছ পিপিই পোশাক প্রেরণ করেছেন। প্রতিটি দপ্তরের কর্মকর্তারা সেই পিপিই পোশাক বুঝে নিয়েছেন। প্রেরিত পোশাকগুলো ধুয়ে একাধিকবার ব্যবহার যোগ্য।