চাকুরীচ্যুত দুই সেনা সদস্য মাদক পাচারকারী, সিদ্ধিরগঞ্জে র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের চিটাগাংরোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‌্যাব-১১) দুই মাদক পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই সময় তাদের কাছ থেকে ৯৮০ পিস ইয়াবা টেবলেট উদ্ধার করা হয়। ২৫ মার্চ বুধবার বিকেলে এ তথ্য জানিয়েছেন র‌্যাব-১১ এর মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দীন।

তিনি জানান, গোপনসূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ২৫ মার্চ ভোরে র‌্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী অভিযানে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন চিটাগংরোড হতে ৯৮০ পিস ইয়াবা সহ ও মাদক বিক্রির নগদ ৫ হাজার ৯’শ টাকা সহ ২ জন মাদক পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- মাহেন্দ্র নাথ (৩২) ও মোঃ জিহাদ ইসলাম (৩২)।

র‌্যাব আরও জানায়, কক্সবাজারের ২জন ইয়াবা পাচারকারী দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিতভাবে অভিনব কৌশলে বাসযোগে ইয়াবা পাচার করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২৫ মার্চ উক্ত ইয়াবা পাচারকারীরা একই কৌশলে কক্সবাজার হতে বাসযোগে ঢাকায় ইয়াবা নিয়ে আসছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-১১ এর একটি আভিযানিক দল ভোর সাড়ে ৩টার নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চিটাগাংরোডে চেকপোষ্ট স্থাপন করে। চেকপোষ্টে গাড়ী থামিয়ে তল্লাসীকালে কক্সবাজার হতে ঢাকাগামী ষ্টার লাইন স্লিপিং কোচ থেকে নেমে দ্রুত গতিতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সন্দিগ্ধ হিসেবে মাহেন্দ্র নাথ ও মোঃ জিহাদ ইসলামকে আটক করা হয়।

আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মাহেন্দ্র নাথ এবং মোঃ জিহাদ ইসলামের কথা ও আচরণে অসংলগ্নতা ও অস্বাভাবিকতা প্রকাশ পেলেও ইয়াবা পাচারের বিষয়ে তারা অস্বীকার করে। অতঃপর নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ এবং তাদের দেহ তল্লাশী করে ৯৮০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাব আরও জানায়, গ্রেপ্তারকৃত মহেন্দ্র নাথের বাড়ি লালমনিরহাট জেলার কালিগঞ্জ থানাধীন দক্ষিণ গোপাল রায় এলাকায় এবং মোঃ জিহাদ ইসলাম এর বাড়ি ঢাকা জেলার ধামরাইল থানাধীন বেলীশ¡র এলাকায়। গ্রেপ্তারকৃত আসামী ২জনই চাকুরীচ্যুত সেনা সদস্য। মহেন্দ্র নাথ ২০১৭ সালে চুরির দায়ে তাকে চাকুরীচ্যুত করা হয় এবং জিহাদ ইয়াবা সেবনের দায়ে ২০১৮ সালে চাকুরীচ্যুত করা হয়। চাকুরীচ্যুত হয়ে তারা মাদক ব্যবসা শুরু করে। সে দীর্ঘদিন যাবৎ অভিনব কৌশলে কক্সবাজারের টেকনাফ হতে বাসযোগে নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায় অভিনব পন্থায় নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য ইয়াবা পাচার ও সরবরাহ করে আসছিল। জিজ্ঞাসাবাদে আরো স্বীকার করে যে, তারা পরস্পর যোগসাজসে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ব্যবসা করে আসছে এবং তাদের একমাত্র পেশা ছিল মাদক ব্যবসা।