সমালোচনাকারীদের জবাব দিলেন জেলা ছাত্রদল নেতা রফিক

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিকের নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নানা মিথ্যা বানোয়াট অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন। সেই অভিযোগ তুলে তিনি সমালোচনাকারীদের কঠোর জবাবও দিয়েছেন। স্থানীয় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা বলছেন আড়াইহাজার ছাত্রদলের আগামী কিিমটতে তিনিই হতে পারেন সভাপতি। যে কারনে একটি পক্ষ তার বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো শুরু করেছে। তবে ফেসবুকে অপপ্রচারের জবাব ফেসবুকেই দিয়েছেন রফিকুল ইসলাম রফিক।

নিজের ফেসবুকে এক পোস্টে রফিক ও তার পরিবারের সকলের পরিচয় দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন তার নাম মোঃ রফিকুল ইসলাম রফিক, পিতার নাম মোঃ সিদ্দিকুর রহমান, মাতার নাম মোসাঃ তাজেরা বেগম। পরিবারের সদস্য রয়েছেন পাঁচ ভাই ও এক বোন। বড় ভাই মোঃ তাইজুল ইসলাম পেশায় ব্যবসায়ী, মেজো ভাই মোঃ লোকমান হেকিম প্রবাসী, সেজো ভাই মোঃ শফিকুল ইসলাম প্রবাসী, ছোট ভাই মোঃ জামাল হোসেন সেলিম পেশায় পপুলার লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানীর সহকারী অফিসার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তাদের স্থানীয় বাড়ি আড়াইহাজার উপজেলার ছোট বাড়ৈপাড়া এলাকা।

সকলের পরিচয় দিয়ে রফিকুল ইসলাম রফিক লিখেছেন, যে বা যারা বর্তমানে আমার পরিবার সম্পর্কে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ধরণের বিভ্রান্তমূলূক মিথ্যা বানোয়াট এবং ষড়যন্ত্রমূলক অপপ্রচার চালাচ্ছেন, সত্যি এইগুলা খুবই অত্যন্ত দুঃখজনক। আমার পরিবারের সকল সদস্যই বিএনপির সমর্থিত। তারা কেউই আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে কোনভাবেই জড়িত নয়। আমার ছোট ভাই মোঃ জামাল হোসেন সেলিম বীমা কোম্পানিতে চাকরী করে। চাকরীর ক্ষেত্রে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রোগ্রামে এবং বিভিন্ন স্থানে অংশগ্রহণ করতে হয়।

ছাত্রদলের এই নেতা আরও লিখেছেন, আমি ২০০৬ সাল থেকে ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। আমি আমার ত্যাগ ও পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে পথ চলা। ১/১১ এর রাজনৈতিক কলংকময় অধ্যায় আমি তৎকালীন ছাত্রদলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছি। ২০০৮ সালে জাতীয় নির্বাচনে ধানের শীষে পক্ষে ছাত্রদলের বিভিন্ন ইউনিট ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় নির্বাচনী প্রচারণা করেছি। আমি আড়াইহাজার ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি প্রার্থী ছিলাম। পরবর্তীতে পৌরসভায় রূপান্তরীত হওয়ায় পৌরসভার ছাত্রদলের সভাপতি প্রার্থী ছিলাম। দীর্ঘ সময় ছাত্রদলের কমিটি না হওয়ায় পরবর্তীতে আমি থানা ছাত্রদলের সভাপতি প্রার্থী হিসেবে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল ঘোষিত সকল কর্মসূচি সফলভাবে পালন করে আসছি।

তিনি আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সমাবেস থেকে গ্রেপ্তার হই। দীর্ঘ এক মাস কারাবরণের পর জামিনে মুক্তি পাই। তারপর কিন্তু থেমে যাই নাই। আজ বিএনপির এর ক্লান্তিলগ্নে এবং দলের এই দুঃসময়ে একজন ক্ষুদ্র কর্মী হিসেবে নিজেকে বিসর্জন দিয়ে আসতেছি। কাজ করে যাচ্ছি দলের জন্য, খালেদা জিয়া মুক্তি জন্য……..।