আড়াইহাজারে ছাত্রদলের নেতৃত্ব প্রত্যাশি এক ডজন, সঙ্গে বিবাহিত অছাত্ররা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

কমিটি গঠনের বিষয়ে নিষেধাজ্ঞার পর ইতিমধ্যে সারাদেশে ছাত্রদলের বিভিন্ন ইউনিটের কমিটি গঠন শুরু করেছে ছাত্রদল। এমন খবরে আড়াইহাজার উপজেলা ছাত্রদলের নেতৃত্ব প্রত্যাশি নেতারাও নড়েচড়ে বসেছেন। তারাও আশা দেখছেন আড়াইহাজার উপজেলা ছাত্রদলের কমিটি হতে যাচ্ছে। যদিও জেলা ছাত্রদল এখনও নিশ্চিত করেনি কবে নাগাদ কমিটি গঠন করা হবে।

ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন- নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের আওতাধীন বিভিন্ন ইউনিট কমিটি গঠনের বিষয়ে আটকে আছে বয়স ও বিবাহিতের বিষয় নিয়ে। কেন্দ্র থেকে যে বয়সের সময়সীমা বেধে দিয়েছে সেটা মানতে পারছেনা এখানকার ছাত্রদল নেতারা। কারন অধিকাংশ ছাত্রদল নেতাদের বয়স পেড়িয়ে গেছে। কেউ কেউ বিয়ে করে সংসার করছেন। ফলে বেশ বেকায়দায় পড়েছেন আড়াইহাজার উপজেলা ছাত্রদলের রাজনীতি করে আসা অনেক নেতা।

যদিও জেলা ছাত্রদলের শীর্ষ নেতারা বিভিন্ন সময় দাবি করে আসছেন- কমিটি গঠনের বিষয়টি অনেকটা এগিয়ে গেছেন। ইতিমধ্যে সবগুলো থানা থেকে সদস্য ফরম কার্যক্রম শেষ হয়েছে। সদস্য ফরম যাচাই বাছাইও প্রায় শেষ পর্যায়ে। যেকোন সময় ছাত্রদলের থানা/উপজেলা কমিটিগুলো ঘোষণা হতে পারে বলে জানিয়েছেন ছাত্রদলের শীর্ষ নেতারা।

স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন- আড়াইহাজার উপজেলা ছাত্রদলের কমিটিতে শীর্ষ পদে স্থান পেতে এক ডজনেরও বেশি নেতা পদ প্রত্যাশি। যাদের মধ্যে আলোচনায় মোহাম্মদ, রুহুল আমিন, তুষার মোল্লা, আসাদুজ্জামান আসাদ, মেহেদী হাসান রানা, মোতাহের হোসেন রাফেল, জুবায়ের হোসেন জিকু, রাসেল মিয়া, সমির হোসেন, ইয়ামিন হাসান, রতন মিয়া, এএইচ হাসান, মেহেদী হাসান। তবে এদের বেশির ভাগই বিবাহিত ও অছাত্র। আবার কেউ কেউ এক সন্তানের বা দুই সন্তানের পিতা।

তবে তৃণমূলের দাবি- আড়াইহাজার ছাত্রদলের শীর্ষপদে যারাই আসবেন তারা যেন হয় অবিবাহিত ও ছাত্র আছে এমন ছাত্র নেতা। কিন্তু বয়স ও বিবাহিত বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় কোন সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা আসেনি।

তবে নেতাকর্মীদের দাবি- আড়াইহাজার ছাত্রদলের কমিটির নেতৃত্বে তৃণমূলের অনেকটা পছন্দের দৃষ্টিতে আছেন মোহাম্মদ ফারুক, রুহুল আমিন ও রাসেল মিয়া। সেই সঙ্গে বেশ জোড়ালো আলোচনায় আছেন মেহেদী হাসান, আসাদুজ্জামান আসাদ, সমির হোসেন, জুবায়ের হোসেন জিকু সহ বেশকজন। কিন্তু এদের পাশ কাটিয়ে আড়াইহাজার ছাত্রদলের নেতৃত্বে ওঠতে চাচ্ছেন ইয়ামিন হাসান ও এএইচ হাসান। এদের দুজনের একজনেরও ছাত্রত্ব নেই। হাসান বিবাহিত ও সন্তানের বাপ। সম্প্রতি ইয়ামিন রাজনীতি থেকে অবসর নিয়েছেন। পদ নিয়ে তার কোন ভাবনা নেই ও রাজনীতিতে তিনি নিষ্ক্রিয়।