খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ঢাকার সমাবেশে সাখাওয়াত

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

কারাগারে থাকা বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ১৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার দুপুর ২টায় রাজধানীর নয়াপল্টন থেকে শুরু করে জাতীয় প্রেসক্লাব পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করার প্রস্তুতি নেয় বিএনপি। কিন্তু পুলিশের বাধার কারণে নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করতে না পেরে নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে করেন।

ওই সমাবেশে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ে যোগদান করেছেন নারায়ণগঞ্জের আলোচিত আইনজীবী নেতা ও মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান।

শনিবার দুপুরেই নেতাকর্মীদের নিয়ে ঢাকার পল্টনে জড়ো হন অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান। তারপর মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে যান এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে দাড়িয়ে দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে শ্লোগান দেন।

ওই সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘খালেদা জিয়া সারাজীবন গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছেন। আজ ২ বছর ৭ মাস তাকে বিনা অপরাধে আটকে রাখা হয়েছে। তিনি খুব অসুস্থ। আমরা বারবার তার মুক্তি দাবি করেছি। জামিন চেয়েছি। তার চিকিৎসার দাবি জানিয়েছি। আমরা সরকারের কাছে থেকে কোনও সাড়া পাইনি।’

বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, ‘আজকের বেআইনি সরকার দেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চালু করার জন্য নির্যাতন-নিপীড়নকে বেছে নিয়েছে। আমাদের অসংখ্যা নেতাকর্মীকে তারা খুন, গুম করেছে।’ তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ছিল আমাদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি। কিন্তু সেই কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দিয়েছে। পুলিশ সকাল থেকেই এই অঞ্চলে আমাদের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করেছে। কার্যালয়ের সামনে বাধা দিয়েছে। ফজলুল হক মিলন সহ ১০-১২ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।’

সমাবেশে শেষে নেতাকর্মীদের শান্তিপূর্ণভাবে বাড়ি ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা কোনও সুযোগ দিতে চাইনা। দয়া করে শান্তিপূর্ণভাবে ঘরে যাবেন। আর পরবর্তী কর্মসূচি পরে ঘোষণা করবো।’

শিগগিরই খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার আশা প্রকাশ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আজ নেতাকর্মীদের মধ্যে যে সাহস দেখেছি, এভাবে যদি আপনারা রাস্তায় থাকেন, তাহলে অচিরেই তাকে মুক্ত করতে পারবো।’

দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমাদের বুকে সাহস নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। গুলি, গুম, হত্যা করে প্রতিবাদ দমানো যাবে না। যেকোনও প্রক্রিয়া নেতাকর্মীরা সফল হবেন। এবার খালেদা জিয়াকে মুক্ত করেই ছাড়বো।’
সরকার বিচার বিভাগকে প্রভাবিত করে খালেদা জিয়ার ন্যায্য পাওনা জামিনকে বাধাগ্রস্থ করছে বলে অভিযোগ করেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান। তিনি বলেন, ‘তাকে মুক্ত করে আমরা আবারও বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবো।’

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান ডা. জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল প্রমুখ।