মান্নানের নির্দেশে ঢাকায় খালেদার মুক্তির শ্লোগানে সোনারগাঁয়ের নেতাকর্মীরা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপির সমাবেশে কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য আজহারুল ইসলাম মান্নানের নির্দেশে যোগদান করেছেন সোনারগাঁও বিএনপির নেতাকর্মীরা।

কারাগারে থাকা বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ১৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার দুপুর ২টায় রাজধানীর নয়াপল্টন থেকে শুরু করে জাতীয় প্রেসক্লাব পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করার প্রস্তুতি নেয় বিএনপি। কিন্তু পুলিশের বাধার কারণে নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করতে না পেরে নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে করেন।

ওই সমাবেশে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য আজহারুল ইসলাম মান্নানের নির্দেশে সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী যোগদান করেছেন।

ওই সমাবেশে গিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান, জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান স্বপন, সোনারগাঁও পৌর বিএনপির সদস্য সচিব কাউন্সিলর মোতালেব, যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুম মোল্লা, নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাসেল রানা, সহ-সাধারণ সম্পাদক সেলিম হোসেন দিপু, নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিক দলের যুগ্ম সম্পাদক জসিম উদ্দিন, সোনারগাঁ থানা যুবদল নেতা আশরাফ প্রধান, আশরাফ ভূঁইয়া, আমির হোসেন, সুমন ভূঁইয়া, আব্দুল আলী, আলমাছ, শাহিন আলম জুবায়ের, বাদল, রিপন, আতাবুর, সোনারগাঁ থানা ছাত্রদল নেতা কাওসার, সোহেল রানা, নোবেল মীর, ইমরান ফারুক, আল-আমিন, সোনারগাঁ থানা শ্রমিক দল নেতা আবু সাঈদ, সোহাগ, সালাউদ্দিন, ওসমান, বিল্লাল মুন্সী, জয়নাল মীর, ফারুক, সোনারগাঁ থানা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা নাসির, জলিল, নয়ন, ডালিম সিকদার, নুরু মিয়া, রিপন, শহীদুল্লাহ, সোনারগাঁ পৌর যুবদল নেতা মফিজুর রহমান সোহেল, মন্টু, আবু সাঈদ, হান্নান, আসলাম সহ বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

ওই সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘খালেদা জিয়া সারাজীবন গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছেন। আজ ২ বছর ৭ মাস তাকে বিনা অপরাধে আটকে রাখা হয়েছে। তিনি খুব অসুস্থ। আমরা বারবার তার মুক্তি দাবি করেছি। জামিন চেয়েছি। তার চিকিৎসার দাবি জানিয়েছি। আমরা সরকারের কাছে থেকে কোনও সাড়া পাইনি।’

বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, ‘আজকের বেআইনি সরকার দেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চালু করার জন্য নির্যাতন-নিপীড়নকে বেছে নিয়েছে। আমাদের অসংখ্যা নেতাকর্মীকে তারা খুন, গুম করেছে।’ তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ছিল আমাদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি। কিন্তু সেই কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দিয়েছে। পুলিশ সকাল থেকেই এই অঞ্চলে আমাদের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করেছে। কার্যালয়ের সামনে বাধা দিয়েছে। ফজলুল হক মিলন সহ ১০-১২ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।’

সমাবেশে শেষে নেতাকর্মীদের শান্তিপূর্ণভাবে বাড়ি ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা কোনও সুযোগ দিতে চাইনা। দয়া করে শান্তিপূর্ণভাবে ঘরে যাবেন। আর পরবর্তী কর্মসূচি পরে ঘোষণা করবো।’

শিগগিরই খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার আশা প্রকাশ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আজ নেতাকর্মীদের মধ্যে যে সাহস দেখেছি, এভাবে যদি আপনারা রাস্তায় থাকেন, তাহলে অচিরেই তাকে মুক্ত করতে পারবো।’

দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমাদের বুকে সাহস নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। গুলি, গুম, হত্যা করে প্রতিবাদ দমানো যাবে না। যেকোনও প্রক্রিয়া নেতাকর্মীরা সফল হবেন। এবার খালেদা জিয়াকে মুক্ত করেই ছাড়বো।’

সরকার বিচার বিভাগকে প্রভাবিত করে খালেদা জিয়ার ন্যায্য পাওনা জামিনকে বাধাগ্রস্থ করছে বলে অভিযোগ করেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান। তিনি বলেন, ‘তাকে মুক্ত করে আমরা আবারও বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবো।’

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান ডা. জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল প্রমুখ।