‘কুত্তা মারলেও বিচার হতো কিন্তু ২১ বছর বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়নি’

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মোহাম্মদ বাদল অতীতের কথা টেনে বলেছেন, দেশে একটা মুরগী ও কুত্তা মারলেও বিচার হতো, ২১ বছর জাতির পিতার হত্যার বিচার হয়নি। তখন তার নাম উচ্চারণ করা যাবেনা। জাতির পিতার বিচার যাতে না হয় সেইজন্য পার্লামেন্টে আইন পাশ করা হয়েছিল। এ আইনের নাম ছিলো ইন্ডিমিনিটি অধ্যাদেশ, কালো অধ্যা। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে ১০০ বছর পিছিয়ে দেয়া হয়েছিল। আর বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর নিম্ম আয়ের দেশকে মধ্যম আয়ের দেশ হিসাবে পরিনত করা হয়েছে। এখন সেই পাকিস্থানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তাদের দেশের মানুষকে বলে বাংলাদেশকে ফলো করো। পাকিস্থানীরা আমাদের সাথে যুদ্ধ করে ৩০ লাখ শহিদদের রক্ত নিয়েছে। ওরা নিজেরাও এখন দু:খ প্রকাশ করে অথচ জামাত ইসলাম দু:খ প্রকাশ করে না।

৮ ফেব্রুয়ারি শনিবার ফতুল্লার পাগলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পাগলা বাজার সমিতির উদ্দেগে মুজিব জন্ম শত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে এবং ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের নব-নির্বাচিত সভাপতি এম সাইফউল্লাহ বাদল ও সাধারণ সম্পাদক শওকত আলীকে গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামীলীগ মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটিয়েছেন। জনগনের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। আওয়ামীলীগের আমলে মানুষ ভাল আছেন। আল্লাহর হুকুম হওয়ার কারনে শেখ হাসিনা দেশ পরিচালনা করছে। তারই বাবা যে মানুষটাকে ফাসির মঞ্চ গিয়েও অন্যায়ের সাথে আপোষ করেনি, বাংলাদেশের মানুষের কথা বলেছেন। আমাকে হত্যা করো কোন সমস্যা নাই। আমি মুসলাম আমি বাঙ্গালী, আমি আল্লাহকে ছাড়া কারো কাছে মাথানত করবো না। যাকে পাকিস্থানীরা হত্যা করতে পারেনি। তাহলে বুজা যায় আওয়ামীলীগের মধ্যে খন্দকার মোস্তাকরা লুকিয়ে ছিলো। বঙ্গবন্ধুকে তারাই হত্যা করেছে। আর্ন্তজাতিক ও দেশীয় চক্রান্তে ঐ খন্দকার মোস্তাকরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে। এখনো সেই খন্দকারের বংসধররা লুকিয়ে রয়েছে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। আর বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা সুন্দর ভাবে দেশের দায়িত্ব পালন করছেন।

ভিপি বাদল আরও বলেন, আমরা অন্যায়ের কাছে কোন আপোষ করবো না। শামীম ওসমান এলাকার উন্নয়ন ও মানুষের সুখ দেয়ার জন্য দিন রাত খেটে মরছে আর আপনারা দলের নাম ভেঙ্গে অপকর্ম করবেন তা কিছু হতে দেয়া যাবে না। দলের নাম ভেঙ্গে কেউ অপরাধ করবে তা কিছুতেই মেনে নিবো না। ভাল লোকেরা আওয়ামীলীগের দায়িত্ব পালন করবে। যাদেরকে আমাদের মা বোনেরা এবং মুরুব্বীরা ভাল বলবে তারাই দলের নেতৃত্ব দিবে।

তিনি আরও বলেন, জামাত ইসলামের ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাককে (উনি জামাতের জেনারেল সেক্রেটারী ছিলেন) বিবিসির সাক্ষাতে উনি বলেছিলেন মহান স্বাধীনতার যুদ্ধে জামাতের ভুলের জন্য জামাতের ক্ষমা চাওয়ার জন্য। অথচ তারা এখনো তারা ক্ষমা চান না। ওনারা ভাঙতে চায়, মানুষের রগ কাটতে চায় এবং দেশের মধ্যে অরাজকতা সৃষ্টি করতে চায়। ওদেরকে এই বাংলার মাটি থেকে প্রত্যাক্ষান করতে হবে। ওরা নানা রুপে জেগে উঠে। ওদেরকে চেনা বড় কঠিন।

অনুষ্ঠানে পাগলা বাজার কমিটির সাবেক সভাপতি শাহ আলম গাজী টেনুর সভাপতিত্বে কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম ও সাধারণ সম্পাদক বাচ্চুর তত্ত্বাবধায়নে বক্তব্য রাখেন ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম সাইফউল্লাহ বাদল, সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী, মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম, ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এইচএম ইসহাক, সাবেক কুষি বিষয়ক সম্পাদক ইউনুছ দেওয়ান, সদর উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা মনির, জেলা পরিষদের সদস্য মোস্তফা হোসেন চৌধুরী, জাহাঙ্গীর হোসেন, কুতুবপুর ইউনিয়ন ২নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আলাউদ্দিন হাওলাদার, ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি ফরিদ আহম্মেদ লিটন, জেলা যুবলীগের সদস্য এসএম খোকন প্রমুখ।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক জাহেদুল হক খোকন, যুব ও ক্রীয়া বিষয়ক সম্পাদক শফিউদ্দিন সফি, কাশিপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) আইয়ুব আলী, সাধারণ সম্পাদক এমএ সাত্তার, বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: বাবুল মিয়া, ফতুল্লা থানা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রেহান শরীফ বিন্দু, থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ মান্নান, কুতুবপুর আওয়ামীলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলমসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।