মালেশিয়া চলে যাচ্ছেন আজহারী, যা বললেন দেশবাসীকে

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

মালেশিয়া চলে যাচ্ছেন দেশের আলোচিত মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী। আগামী এক বছরের জন্য তার কোন ধরণের তাফসির বাংলাদেশে আর হবে না। ফলে একটি বছর তার ওয়াজ মাহফিল থাকবে না। এ নিয়ে মিজানুর রহমান আজহারী তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাজও দিয়েছেন।

মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী তার ফেসবুকে লিখেছেন, পারিপার্শ্বিক কিছু কারণে, এখানেই এ বছরের তাফসির প্রোগ্রামের ইতি টানতে হচ্ছে। তাই, মার্চ পর্যন্ত আমার বাকী প্রোগ্রামগুলো স্থগিত করা হল। রিসার্চের কাজে আবারো মালয়েশিয়া ফিরে যাচ্ছি। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সুযোগ করে দিলে, আবারও দেখা হবে ও কথা হবে কুরআনের মাহফিলে ইনশাআল্লাহ।

তিনি আরও লিখেছেন, এ বছর বেশীর ভাগ প্রোগ্রামগুলোতেই পারিবারিক ও সামাজিক ক্রাইসিস নিয়ে কথা বলেছি, পাশাপাশি কয়েকটি সূরার তাফসিরও করেছি। আশাকরি, আলোচনাগুলো থেকে আপনারা উপকৃত হবেন। পরিবারের সবাই মিলে আলোচনাগুলো শুনুন এবং কথাগুলো বাস্তব জীবনে মেনে চলার চেষ্টা করুন। তাহলে দেখবেন ধীরে ধীরে, আমাদের পরিবার ও সমাজ সুখময় এবং শান্তিময় হয়ে উঠবে ইনশাহআল্লাহ।

‘আমি একজন নগন্য মানুষ। মহাগ্রন্থ আল কুরআনের ছাত্র। কুরআনের ছাত্র হয়েই বেঁচে থাকতে চাই ও নিরলস কাজ করে যেতে চাই। তাই সুপ্রিয় শ্রোতাদেরকে বলব, প্লিজ আমাকে নিয়ে অতিরিক্ত মাতামাতি করবেন না। আমাকে জড়িয়ে কোন ব্যাপারে কাউকে গালাগালি করবেন না, অন্য কোন মতাদর্শের আলেমদেরকে হেয় বা ছোট করে কিছু বলতে যাবেন না। যদিও তাদের কেউ কখনো আমাকে ছোট করে কথা বলে। অনুরূপভাবে, কোথাও আমাকে ডিফেন্ড করে তর্ক বা কমেন্ট করতে চাইলে, ভদ্রতা বজায় রেখে, যৌক্তিকভাবে এবং বিনয়ের সাথে সেটা করুন। সত্য একদিন উন্মোচিত হবেই হবে ইনশাআল্লাহ।’

‘আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানিতে, দেশের আপামর জনতার যে ভালোবাসা পেয়েছি, জানিনা সিজদায় পড়ে কতটুকু অশ্রু ঝড়ালে এবং কোন ভাষায় শোকরগোজার হলে এর যথাযথ শুকরিয়া আদায় হবে। মালিকের দরবারে আলীশানে লাখো কোটি শুকর এবং সুজুদ। ওয়ালহামদু লিল্লাহি ‘আলান্নি’আম।’

‘প্রোগ্রামগুলো বাস্তবায়নে যারা সার্বিক সহযোগিতা করেছেন, তাদের সবার জন্য রইল আন্তরিক ভালোবাসা ও দোয়া। বিশেষ করে পুলিশ, প্রশাসন এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রোগ্রামগুলো সুন্দরভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে। তাদেরকে আল্লাহ তায়ালা উত্তম প্রতিদান দান করুক।’

‘আমার এ জীবনের ছোট্ট অভিজ্ঞতায় যা দেখলাম, সেটা হল: আমরা আমাদের জীবনের একটা উল্লেখযোগ্য সময় কাটিয়ে দেই অন্যকে হিংসা করতে করতে। নিজেরা কাজ না করে অন্যের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাতে আমরা মহা ব্যস্ত। আসলে, অপপ্রচার করে তেমন কোন লাভ নেই। অপপ্রচারে আমি কখনো মন:ক্ষুন্ন হইনা। আমার বিশ্বাস আপনারাও হবেন না। কারন অপপ্রচারগুলোই আমাদের প্রচারণার দায়িত্ব পালন করেছে আলহামদুলিল্লাহ। হক্বের পথে বাঁধা, বিপত্তি আসবেই। এটাই স্বাভাবিক। যে পথে কাঁটা নেই সেটা পথ নয়, সেটা কার্পেট। আর কার্পেটে হেটে মজলিশে পৌঁছানো যায়, মনজিলে নয়।’

পরিশেষে তিনি লিখেন, মন্তব্য কখনো গন্তব্য ঠেকাতে পারেনা।