সেলিম ওসমানের চাহিদাপত্রে ৩টি স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান পেল অ্যাম্বুলেন্স

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ সদর ও বন্দর এলাকার সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সেবার নিশ্চিত ও মানোন্নয়নের জন্য ৩টি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে নতুন করে তিনটি অ্যাম্বুলেন্স যুক্ত হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের চাহিদা পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের পক্ষ থেকে উক্ত তিনটি অ্যাম্বুলেন্স বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

বুধবার ১৫ জানুয়ারী দুপুর ১টায় ঢাকায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক উক্ত অ্যাম্বুলেন্সগুলোর চাবি হস্তান্তর করেন। এ সময় মন্ত্রী বরাদ্দ দেওয়া উক্ত অ্যাম্বুলেন্সগুলো ব্যবহার ও রক্ষনাবেক্ষনের জন্য স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে দায়িত্বশীল হওয়ার আহবান জানিয়েছেন।

অ্যাম্বুলেন্স বরাদ্দ পাওয়া স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান গুলোর মধ্যে রয়েছে খানপুর ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল, নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল এবং বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।

মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিজ নির্বাচনী এলাকার তিনি স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানে তিনটি অ্যাম্বুলেন্স বরাদ্দ দেওয়ায় নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান লিখিত ভাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তাকে আন্তরিক অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান পক্ষে খানপুর ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের ত্বত্তাবধাকায় ডা: আবু জাহের এর নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের আরএমও ডা: আসাদুজ্জান এবং বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: আব্দুল কাদের উক্ত অ্যাম্বুলেন্স গুলোর চাবি গ্রহন করেন।

প্রসঙ্গত, খানপুর হাসপাতালটিকে মেডিকেল কলেজে রূপান্তরিত করার লক্ষ্য নিয়ে সরকারী ভাবে খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালকে ৫০০ শয্যায় উন্নীতকরনের কাজ চলমান রয়েছে। সেই লক্ষ্যে ১৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে হাসপাতালে আধুনিক ভবন নির্মাণের কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।

উল্লেখ্য, সরকারী ভাবে উন্নয়ন শুরুর আগে হাসপাতালটি অত্যন্ত বেহাল দশায় পরিণত হয়ে ছিল। সেই সময় তিনি খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালের উন্নয়নে নিজস্ব ও ব্যবসায়ীদের সহযোগীতায় হাসপাতালে ১৪০টি বৈদ্যুতিক পাখা, বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থায় ১টি ডিপটিউওয়েল, সার্বক্ষনিক বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় সরকারী জেনারেটর সংস্কার, হাসপাতালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ৬৩টি সিসি টিভি ক্যামেরা স্থাপন, ২টি নতুন অ্যাম্বুলেন্স, হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষ আধুনিকায়ন, ডাক্তারদের ডিজিটাল হাজিরা মেশিন স্থাপন, সরকারী বিকল ২টি অ্যাম্বুলেন্স সংস্কার সহ বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড করা হয়। যার আনুমানিক ব্যয় হয়েছিল ৩ কোটি টাকা। এছাড়াও ১০০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের হাসপাতালে বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে ৪ লাখ টাকা ব্যয়ে পূর্বের সরকারী ডিপটিউবওয়েল মেরামত এবং নতুন করে আরো ২টি ডিপটিউবওয়েল স্থাপন করে দিয়েছেন।