সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে বন্ধ

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রকিবুর রহমান খানের হস্তক্ষেপে একাদশ শ্রেণিতে পড়–য়া এক শিক্ষার্থীর বাল্য বিয়ে বন্ধ করা হয়েছে। ৮ জানুয়ারি বুধবার দুপুরে উপজেলার শম্ভুপুরা ইউনিয়নের রামগোবিন্দেরগাঁও গ্রামে ওই মেয়েটির বাড়িতে গিয়ে বিয়ে বন্ধ করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, বুধবার সকালে উপজেলার সোনারগাঁ কাজী ফজলুল হক উইমেন্স কলেজের একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের এক ছাত্রী আমাকে ফোন করে তার নিজের বাল্য বিয়ে বন্ধ করার অনুরোধ জানায়। এমন সংবাদ পেয়ে মেয়ের বাবা কাজী সালাউদ্দিনের সাথে কথা বলে বাল্য বিয়ে বন্ধ করি। পরে আবারো সংবাদ পাই মেয়ের বাবা কাজী সালাউদ্দিন তার মেয়েকে বাড়ি থেকে অন্যত্র নিয়ে বিয়ে দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই খবরে সোনারগাঁ থানা পুলিশ, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ও শম্ভুপুরা ইউনিয়ন পরিষদের সচিবকে ঐ কলেজ ছাত্রীর বাড়িতে পাঠিয়ে বিয়ে বন্ধ করা হয় এবং মেয়ের অভিভাবকরা তাকে ১৮ বছর হওয়ার আগে বিয়ে দেওয়া হবেনা এ মর্মে লিখিত অঙ্গীকার করেন।

এ সময় উপজেলা মহিলা বিষয়ক কার্মকর্তা নাজমা আক্তার বলেন, কোনো নারী ১৮ বছরের আগে এবং কোনো পুরুষ ২১ বছরের আগে যদি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়, তবে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এক্ষেত্রে যারা বিয়ে পরিচালনা করেন এবং বিয়ে রেজিস্ট্রি করেন, তাদেরও শাস্তির আওতায় আনা হবে। অর্থাৎ শুধু অপ্রাপ্তবয়স্ক বর, কনে বা তাদের পরিবার না, সংশ্লিষ্ট সবাই আইনভঙ্গের শাস্তি পেতে হবে।