ফখরুল ও মান্নার সভা ঠেকাতে সভাস্থলে ফুটবল ম্যাচ!

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

আগামী শুক্রবার নারায়ণগঞ্জের বন্দরের জনসভায় আসার কথা রয়েছে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা মাহামুদুর রহমান মান্না। তবে যেখানে সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে সেখানে বাধ সেধেছে নবাব সিরাজউদ্দৌলা ক্লাব। ক্লাবটির দাবি তারা এখানে শুক্রবার প্রীতি ফুটবল ম্যাচ খেলবেন এবং সমাবেশ করার চেষ্টা করা হলে হাত পা ভেঙ্গে দেয়া হবে ঘোষণা দিয়েছেন সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর বিএনপি নেতা সুলতান আহমেদ যিনি বর্তমানে মহাজোটের প্রার্থী এমপি সেলিম ওসমানের পক্ষে সরাসরি সমাবেশ করে ভোট প্রার্থনা করে আসছেন।

এমনটা অভিযোগ করে নারায়ণগঞ্জ-৫(শহর-বন্দর) আসনের ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা এসএম আকরাম সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

তিনি জানান, আগামীকাল ২১ ডিসেম্বর বিকেল ৩টায় নারায়ণগঞ্জের বন্দরের নবাব সিরাজউদ্দৌলা ক্লাব মাঠে জনসভার আয়োজন করেন ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা। এখানে বৃহস্পতিবার জনসভার সরাঞ্জাম নিয়ে গেলে বাধা দেয় সিরাজউদ্দৌলা ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক। মঞ্চ তৈরি করতে দেননি তিনি। এখানে প্রীতি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করেছে বলে দাবি করেছেন ক্লাবটির সেক্রেটারি নেয়ামত উল্লাহ। এছাড়াও নেয়ামত উল্লাহ প্যান্ডেল তৈরির সময় ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মীদের হুশিয়ার করে দিয়ে বলেছেন এখানে সমাবেশের চেষ্টা করা হলে হাত পা ভেঙ্গে দেয়া হবে।

২০ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের থানা পুকুরপাড় এলাকায় নির্বাচনী ক্যাম্পে এ সংবাদ সম্মেলন করেন ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী এস এম আকরাম।
সংবাদ সম্মেলনে এসএম আকরাম বলেন, বন্দরের নবাব সিরাজউদ্দৌলা ক্লাবের সামনের মাঠে আয়োজিত জনসভার জন্য সিটি করপোরেশন এবং থানায় অবহিত করি। দুই জায়গা থেকেই অনুমতি পাওয়া গেছে।

তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট আবুল কালামের সভাপতিত্বে ওই জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও প্রধান বক্তা থাকবেন নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুুর রহমান মান্না। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছেও এ ব্যাপারে আবেদন করেছি। কিন্তু তিনি ব্যস্ত থাকায় কি সিদ্ধান্ত নিলেন তা এখনো জানা যায়নি। সভা আয়োজনে আইনী কোন বাধা নেই। এ ব্যাপারে আমি রিটার্নিং কর্মকর্তার সাথে কথা বলেছি।

তিনি আরও বলেন, আমি তাকে বলেছি, যদি অনুমতি দেয়া না যায় তবে সেটিও আমাকে লিখিত দেন। নাগরিক হিসেবে এটি পাওয়ার অধিকার আমার রয়েছে। সভা আয়োজনের স্বল্প সময়। রিটার্নিং কর্মকর্তা কোন সিদ্ধান্ত না জানানোর কারনে আমি ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছি।

এসএম আকরাম অভিযোগ করে বলেন, নবাব সিরাজউদ্দৌলা ক্লাবের মাঠে প্যান্ডেল তৈরির সরঞ্জামাদি নিয়ে যাওয়ার পর সেখানে ক্লাবের কর্মকর্তা নেয়ামত উল্লাহ হঠাৎ করে বলেন সেখানে ফুটবল ম্যাচ আয়োজন করা হবে তারা সেখানে প্র্যাকটিস করবেন। আমার জানা মতে, সেই মাঠের নির্দিষ্ট কোন মালিক নেই। এটি হয়তো কোন খাস জমি, কিংবা দানসূত্রে জায়গার উপর অবস্থিত। আমি থানায় বলেছি, এটা আমার কোন নির্বাচনী প্রচারণাও নয়, শুধুমাত্র একটি সভা।

‘সেখানে আমি বাদেও ঐক্যফ্রন্টের আর চারপ্রার্থীও থাকবেন। কিন্তু এতো বাধা কেন দেয়া হচ্ছে সেটি বোধগম্য না। ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিএনপি নেতা সুলতান আহমেদ বলেছে, বিএনপির কোন নেতাকর্মী সে সভায় গেলে ঠ্যাং ভেঙে দেয়া হবে। আসল কথা হলো এসব করার মানে তোমাদেরকে উচিৎ শিক্ষা দিয়ে দেয়া হবে।’

কোথাও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই জানিয়ে এসএম আকরাম বলেন, ‘আমার সাথে বিএনপি নেতাকর্মীরা গ্রেপ্তার হওয়ার ভয়ে প্রচারণায় নামতে পারছেনা। তারপরেও প্রচারণায় অনেক লোক হচ্ছে। মহাসচিব একজন। তাকে নিয়ে এসে একটি সভা করতে চাচ্ছিলাম। সবাইকে দাওয়াত দিয়েছি।’